ভোটার অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম - ভোটার অঙ্গীকারনামা pdf

ভোটার অঙ্গীকারনামা লিখতে গিয়ে অনেকে সমস্যায় পড়ে থাকেন। যাদের ইতিমধ্যে ভোটার হওয়ার বয়স পেরিয়ে গিয়েছে কিন্তু ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করেননি তাদের ক্ষেত্রে ভোটার অঙ্গীকারনামা লেখা লাগে। বিশেষ করে যারা দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে কাজ করছেন এবং দেশে এসে ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে চান।

ভোটার অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম
ভোটার অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম
তাদের ক্ষেত্রে ভোটার অঙ্গীকার নেওয়া খুবই জরুরী। যাদের বয়স বিশেষ ক্ষেত্রে ৩০ বছরের বেশি হয়ে গিয়েছে তাদের ভোটার অঙ্গীকারনামা প্রয়োজন হবে। যেহেতু তাদের এনআইডি কার্ড নেই, তাই voter list এ তাদের নামও এক্ষেত্রে আসে না। অর্থাৎ কোন ব্যক্তি যদি ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ভোটার হয়ে না থাকেন এভাবে চলতে গিয়ে যদি বয়সসীমা ৩০ পালিয়ে যায়। 

তাহলে অবশ্যই ভোটার অঙ্গীকার নামা লেখার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের জেনে নিতে হবে। আজকের পোস্টে ভোটার অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম বা কিভাবে খুব সহজে ভোটার অঙ্গীকার নামের লেখা যায়, এই নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাকঃ

ভোটার অঙ্গীকারনামা কি?

অনেকেই ভোটার অঙ্গীকারনামা কি এই বিষয়ে জানেন না। ভোটার অঙ্গীকারনামা হচ্ছে এক ধরনের লিখিত স্টেটমেন্ট। অর্থাৎ আমি ইতিপূর্বে কখনো ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করিনি এবং একাধিকবার যদি ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করে থাকি। তাহলে এর প্রমাণপত্র পেলে আইনিগত ব্যবস্থা নেওয়ার লিখিত অঙ্গীকারকেই ভোটার অঙ্গীকারনামা বলা হয়ে থাকে।

অঙ্গীকার নামাতে নিজের নাম পিতামাতার নামসহ ভোটার না হওয়ার কারণ উল্লেখ করতে হবে এবং এর আগে কখনো ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করেননি এটাও লিখিতভাবে অঙ্গীকার করতে হবে।

ভোটার অঙ্গীকারনামা কেন প্রয়োজন | ভোটার অঙ্গীকারনামার প্রয়োজনীয়তা

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যাদের ভোটার আইডি কার্ডে কোন ভুল তথ্য থাকার কারণে তারা আবার নতুন করে ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করে থাকেন।আবার এমন অনেকেই আছেন যারা ভোটার নিবন্ধনের সময় কোন কারনে এলাকায় না থাকার কারণে ভোটার আবেদন করতে পারেননি।

যেহেতু একজন ব্যক্তির একাধিকবার ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করা দণ্ডনীয় একটি অপরাধ তাই এখানে অঙ্গীকারনামা লেখার মাধ্যমে ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে হয়।অঙ্গীকারনামা না করে যদি কোন ব্যক্তি আবার পুনরায় ডাবল ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করে থাকেন তাহলে সে অনায়াসেই ফিঙ্গার দেওয়ার সময় ধরা পড়ে যায়। 

আর এই ক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে আইনিগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে। তাই অবশ্যই একজন ভোটারের বয়স ত্রিশ বছরের বেশি হয়ে গেলে বা কোন ভোটার যদি তাদের আইডি কার্ডে ভুলবশত কোন কারনে নতুন করে আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে চান তাহলে অবশ্যই অঙ্গীকারনামা দরকার হবে।

ভোটার অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম?

ভোটার অঙ্গীকারনামা হচ্ছে ভোটার হওয়ার জন্য লিখিত এক ধরনের কমিটমেন্ট। অর্থাৎ আপনার বয়স ত্রিশ হয়ে গিয়েছে কিন্তু আপনি এখনো ভোটার হতে পারেননি এখানে আপনাকে কারণ দর্শানোর জন্য অঙ্গীকারনামা লেখার প্রয়োজন পড়ে। অর্থাৎ কি কারনে এখনো ভোটার হতে পারেননি সেটার সুস্পষ্ট তথ্য এখানে দেওয়া লাগে।

তাছাড়া আপনি পূর্বে কখনো Nid card বা ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন কিনা অঙ্গীকারনামার মাধ্যমে সেটি খুব সহজেই বোঝা যায়। তাহলে অবশ্যই বুঝতে পারছেন যে একজন ভোটারের এই পদ্ধতিতে দুইবার ভোটার হওয়ার কোন উপায় নেই। 

তারপরও ভবিষ্যতে যদি আবেদনকারী ভোটার ডাবল ভোটার হয়েছেন এর প্রমাণপত্র পাওয়া যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনিগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে। নিম্নে ভোটার অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম উল্লেখ করা হলঃ

এই মর্মে স্বীকার করছি যে আমি মোঃ ছাদেকুল ইসলাম, পিতা মোঃ আলাউদ্দিন মিয়া, মাতা মোছাঃ হালিমা বেগম, গ্রামঃ ভাদাই দক্ষিণ পাড়া, পোস্ট অফিসঃ কিসামত বড়াইবাড়ী ৫৫১০, উপজেলাঃ আদিতমারী, জেলাঃ লালমনিরহাট অত্র এলাকার একজন স্থায়ী বাসিন্দা।

দীর্ঘ সময় বিদেশে কর্মরত থাকার কারণে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রমের সময় এলাকায় উপস্থিত থাকতে পারেনি। তাই এখন নতুন করে ভোটার নিবন্ধন করার জন্য আবেদন করতেছি। ছাড়া আমি এই মর্মে অঙ্গীকার করছি যে আমি ইদিপূর্বে বাংলাদেশের কোথাও ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করিনি।

একাধিকবার ভোটার হওয়া আইনিগত দণ্ডনীয় একটি অপরাধ তাই ভবিষ্যতে যদি এর কোন প্রমাণপত্র মেলে তাহলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন তার বিরুদ্ধে আইনিগত ব্যবস্থা নিলে আমি সেটা নির্বিঘ্নে মেনে নিব।

এতমবস্থায় আমাকে নতুন ভোটার করার জন্য আপনার নিকট সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি।

স্বাক্ষর

মোছাঃ রহিমা বেগম

পিতাঃ আব্দুল

গ্রামঃ ভাদাই দক্ষিণ পাড়া পোস্টঃ কিসামত বড়াইবাড়ি।

উপজেলাঃ আদিতমারী, জেলাঃ লালমনিরহাট।

ভোটার অঙ্গীকারনামা ফরম Pdf ডাউনলোড করার নিয়ম?

যারা ভোটার হওয়ার জন্য অঙ্গীকারনামা ফর্ম কিভাবে লিখতে হয় এই বিষয়ে জানেন না তারা নিচের দেওয়া লিংক থেকে খুব সহজেই ফর্মটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

ডাউনলোড বাটনটি ব্যবহার করে খুব সহজে মোবাইলে বা কম্পিউটারের মাধ্যমে ভোটার অঙ্গীকার নামার পিডিএফ ফাইলটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

ভোটার অঙ্গীকারনামা কাদের ক্ষেত্রে প্রয়োজন?

যাদের বয়স ২০ বছরের বেশি হয়ে গিয়েছে অথবা যারা দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন তাদের ক্ষেত্রে একাধিকবার ভোটার না হওয়ার জন্য ভোটার অঙ্গীকারনামা প্রয়োজন। তাছাড়া কারো যদি ভোটার আইডি কার্ডে কোন ভুল থেকে থাকে তাহলে তাকে পুনরায় ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে হলে ভোটার অঙ্গীকারনামা লাগবে।

ভোটার অঙ্গীকারনামা কোথায় জমা দেওয়া লাগে?

ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করার পরে যখন আইডি কার্ডের ছবি ও আঙ্গুলের ছাপ নেওয়ার জন্য আপনাকে এসএমএস দেওয়া হবে তখনই সাধারণত ভোটার অঙ্গীকারনামা অন্যান্য কাগজপত্র গুলোর সাথে জমা দিতে হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বর্তমান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url