ফ্রি ইনকাম সাইট - ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার উপায়

ফ্রিতে টাকা ইনকাম করতে চাই, কি করা যায় বলুন তো? একদম কোন প্রকার টাকা খরচ করতে পারবো না। কাজ করবো এরপরেই টাকা ইনকাম করবো এবং থাকবে না কোন ইনভেস্টমেন্ট আর থাকবে না কোন এড ফি এর ভেজাল।

আছে এমন কোন উপায় যেখানে ফ্রি টাকা ইনকাম করা যায়? হুম অবশ্যই আছে, আপনি যদি ফ্রিতে টাকা ইনকাম করতে চান এবং এই বিষয়ক যথাযথ গাইডলাইন খুজে থাকেন। তবে এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্য।
ফ্রি ইনকাম সাইট
ফ্রি ইনকাম সাইট
আসুন জেনে নেই রহস্য, ফ্রিতে টাকা ইনকাম আসলেই কি সম্ভব? প্রাথমিক ভাবে উত্তর এখানে হ্যাঁ আবার নাও। খুলে বলতেছি এটা কোন ভাবেই সম্ভব না যে আপনি একদম ঘরে চুপ করে বসে থাকলেন আর টাকা উড়ে উড়ে আপনার কাছে চলে আসলো। 

আপনি অবশ্যই ফ্রিতেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে তার জন্য আপনাকে অবশ্যই কিছু ভ্যালু প্রোভাইড করতে হবে যার জন্য আপনাকে যেকোন ব্যক্তি টাকা প্রদান করতে ইচ্ছুক হয়ে উঠবে।

আপনাকে অবশ্যই এমন একটা সার্ভিস অথবা প্রোডাক্ট খুজে বের করতে হবে। যেটাকে কেন্দ্র করে মূলত আপনি এই বিষয়টি ঘটাবেন। আর হ্যাঁ কোন প্রকার ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই অর্থাৎ ফ্রিতে টাকা ইনকাম করা যায় এমন অনেক উপায়ই রয়েছে। 

আজকের এই আর্টিকেলটিতে মূলত এই সকল উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন দেরি না করে দেখে নেওয়া জাক কিভাবে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করা যায়।

ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার উপায় সমূহ?

আমরা এখন মোট ১০ টি পৃথক পৃথক উপায় সম্পর্কে জানবো যেগুলোর একটি কিংবা একাধিক অনুসরণের মাধ্যমে আপনি ফ্রিতে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক উপায় গুলো। যেমনঃ

ক্যাপচা এন্ট্রি করে আয়

আপনি যদি অনলাইনে সহজ কোন কাজের মাধ্যমে ফ্রিতে টাকা উপার্জন করতে চান তবে ক্যাপচা এন্ট্রি করে আয় করার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারেন। ক্যাপচা এন্ট্রি হচ্ছে অনলাইনে সবচেয়ে সহজ কাজ গুলোর মধ্যে অত্যতম। 

আপনি ঘরে বসে অনলাইনে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রে ক্যাপচা এন্ট্রি করে ভাল পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারেন। অন্যদিকে ক্যাপচা হচ্ছে এমন একটি ছবি বা পিকচার। 

যা রোবট অথবা স্প্যাম থেকে মানুষকে আলাদা করতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ক্যাপচা এন্ট্রি হল সেই ক্যাপচার ছবি দেখে সঠিক উত্তর টাইপ করা। ক্যাপচা এন্ট্রি টাকা উপার্জন করার জন্য আপনাকে প্রথমে একটি নির্ভরযোগ্য সাইটে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। 

ক্যাপচা এন্ট্রি করে প্রতি এক হাজার ক্যাপচা টাইপ করার জন্য সাধারণত এক থেকে দেড় ডলার দেওয়া হয়ে থাকে। অর্থাৎ আপনি প্রতি ঘন্টায় প্রায় ৩০০ ক্যাপচা টাইপ করলে আপনি মাসে ত্রিশ হাজার থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা ইনকাম  করতে পারবেন। 

ক্যাপচা এন্ট্রি করে ইনকাম করার জন্য নিম্নে কিছু ভাল সাইট উল্লেখ করা হলঃ
  • MegaTypers
  • 2Captcha
  • CaptchaTypers
  • Kolotibablo
  • ProTypers

ব্লগিং করে আয়

ব্লগিং করে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনাকে অবশ্যই প্রথমে একটি ভাল মানের ব্লগ তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার ব্লগের কন্টেন্ট অবশ্যই আকর্ষক ও তথ্যপূর্ণ হতে হবে। 

যাতে মানুষ আপনার ব্লগ পড়ে উপকৃত হতে পারে। এছাড়াও আপনাকে আপনার ব্লগের জন্য প্রতিদিন উচ্চ মানের কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে। Blogging করে টাকা উপার্জন করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য ধরতে হবে। 

প্রথমদিকে আপনার আয় খুব বেশি নাও হতে পারে। তবে ধীরে ধীরে আপনার ব্লগের জনপ্রিয়তা বাড়লে আপনার আয়ও বেশি হবে এবং আপনি একটা সময় এই ব্লগিং করে মাসে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

এটাকে অনেকটা ফ্রিতে টাকা উপার্জন করা বলা যেতে পারে। কেননা আপনাকে ব্লগিং এর মাধ্যমে কোন প্রকার টাকা খরচ করতে হবে না। যদিও ব্যাসিক পর্যায়ে আপনার কিছু খরচ হতে পারে। 

যেমন ডোমেইন, হোস্টিং এবং ওয়েবসাইট বিল্ড এর জন্য আপনাকে কিছু টাকা বেয় করতে হবে। তবে আপনি যদি নিজেই নিজের ওয়েবসাইটের জন্য কন্টেন্ট তৈরি করেন কিংবা লিখে থাকেন। 

তবে এক্সট্রা করে কোন খরচ হবে না বরং আপনার এখান থেকেই প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট হবে।

আর্টিকেল লিখে আয়?

বর্তমান সময়ে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার জন্য আর্টিকেল লিখে আয় করা থেকে ভাল উপায় আর অন্যটি নেই। এটি এমন এক ধরণের কাজ যেখানে আপনি ভাল পরিমাণ টাকা উপার্জন করতে পারবেন। 

এবং এই কাজে আপনাকে কোন টাকা খরচ করতে হবে না। একদম ফ্রিতেই আর্টিকেল লিখে আপনি সেটার উপর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। লেখালেখি হচ্ছে মূলত একটি শখ, আবার কারও জন্য এটি পেশাও হতে পারে। 

আপনি যদি ভাল লেখালেখি করতে পারেন, তাহলে তা থেকে আপনার আয় করার সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে আর্টিকেল লিখে আয় করার বেশ কিছু উপায় রয়েছে। যেমনঃ

১. অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ করা?

এখন অনলাইনে বেশ কিছু মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেখানে আর্টিকেল লিখে টাকা উপার্জন করা যায়। এই মার্কেটপ্লেসগুলোতে বিভিন্ন রকম কাজের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। 

আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী মার্কেটপ্লেসগুলোতে যেকোন একটি বিষয়ে কাজের জন্য আবেদন করতে পারেন। যেহেতু এখন আলোচনা হচ্ছে আর্টিকেল লিখা বিষয়ক তাই কেবল এই বিষয়টি আপনারা ফোকাস করুন।

নিচে জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেখানে আর্টিকেল লিখে আয় করা যায় তা উল্লেখ করা হলঃ
  • আপওয়ার্ক
  • ফাইভার
  • ফ্রিল্যান্সার
এই মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই একটি প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। প্রোফাইলে আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং কাজের নমুনা সুন্দর করে উল্লেখ করতে হবে। 

এরপর আপনি যে বিষয়ে কাজ করতে চান (আর্টিকেল রাইটিং) সে বিষয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ক অফার আপনি খুঁজে বের করতে পারেন। ওয়ার্ক অফারে কাজের ধরণ, সময়সীমা এবং পেমেন্টের পরিমাণও উল্লেখ করা থাকে। 

আপনি আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে যেকোন একটি ওয়ার্ক অফারে আবেদন করতে পারেন। এই সেক্টরে কাজ করে প্রতিদিন অনেক টাকা আয় করা যায়। স্বাভাবিকভাবে একটা এক হাজার ওয়ার্ডের আর্টিকেলের ক্ষেত্রে পেমেন্ট ধার্য করা হয় দুই ভাবে। 

এক, আপনি যদি ওয়ার্ড ভিত্তিক লিখেন। দুই,  আপনি যদি প্রজেক্ট ভিত্তিক লিখেন। ওয়ার্ড ভিত্তিক হলে প্রতি ওয়ার্ডের জন্য সাধারণত বাংলা আর্টিকেলে ০.৩০ টাকা ধার্য হয়ে থাকে অন্যদিকে ইংরেজির ক্ষেত্রে সর্বনিম্ম ০.৫০ টাকা প্রতি শব্দে ধার্য করা হয়ে থাকে।

২. বই বা ইবুক প্রকাশ করা

আপনি যদি কোন বিষয়ে ভাল জানেন এবং লেখতে পারেন। তাহলে সে বিষয়ে বই অথবা ইবুক প্রকাশ করতে পারেন। আপনার লেখা বই বা ইবুক আপনার পাঠকদের কাছে জনপ্রিয় হলে তা থেকে আপনি ভাল টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

বই বা ইবুক প্রকাশ করার জন্য আপনি যদি চান তাহলে নিজেই প্রকাশক হতে পারেন। কিংবা কোন প্রকাশকের সাথে কাজ করতে পারেন।

৩. নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইটে আর্টিকেল প্রকাশ করে আয়?

আপনি যদি নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করেন। তাহলে তা থেকে ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে। আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে আকর্ষণীয় এবং তথ্যপূর্ণ আর্টিকেল প্রকাশ করলে পাঠকদের আকৃষ্ট করতে পারবেন। 

পাঠকদের আকৃষ্ট করতে পারলে আপনি আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন (Google Adsense) প্রদর্শন করে ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও, আপনি আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পণ্য কিংবা সেবা বিক্রি করেও টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

৪. নিবন্ধন বা সাক্ষাৎকার দিয়ে আয় করা?

আপনি যদি কোন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হন, তাহলে সে বিষয়ে লিখিত পরামর্শ (আর্টিকেল) কিংবা সাক্ষাৎকার দিয়ে ইনকাম করতে পারেন। বিভিন্ন পত্রিকা, ওয়েবসাইট ও টিভি চ্যানেল বিভিন্ন বিষয়ে আর্টিকেল প্রকাশের এবং সাক্ষাৎকারের জন্য লেখকদের খোঁজে থাকে। 

আপনি যদি এই ধরণের কোন সুযোগ পান, তাহলে তা গ্রহণ করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। যদিও এর জন্য আপনাকে অবশ্য জনপ্রিয়তার কাতারে থাকতে হবে।

৫. আর্টিকেল রাইটিং কোর্স তৈরি করে আয়?

আপনি যদি লেখালেখিতে বেশ ভাল দক্ষ হন, তাহলে লেখালেখির কোর্স বা সেমিনার করে ইনকাম করতে পারেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান লেখালেখির কোর্স অর্থাৎ সেমিনার পরিচালনা করে থাকে। 

আপনি যদি এই ধরণের কোন কোর্স বা সেমিনার পরিচালনা করেন, তাহলে তা থেকে ভাল পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ডাটা এন্ট্রি করে আয়?

ডাটা এন্ট্রি হচ্ছে একটি সহজ কাজ কিন্তু বেশ চাহিদাপূর্ণ। এই কাজটিতে মূলত বিভিন্ন ধরণের তথ্যকে কম্পিউটারে ইনপুট করা হয়ে থাকে। ডাটা এন্ট্রি কাজের জন্য কোন বিশেষ শিক্ষা কিংবা যোগ্যতার প্রয়োজন হয় না। 

তবে কিছু প্রাথমিক কম্পিউটার দক্ষতা থাকলে কাজটি করা খুবই সহজ হয়। ডাটা এন্ট্রি করে ইনকামেন পরিমাণ নির্ভর করে কাজের ধরন, কাজের পরিমাণ, কাজের মান এবং কাজের অভিজ্ঞতার উপর। 

সাধারণত অফলাইন ডাটা এন্ট্রি কাজের বেতন ঘণ্টা প্রতি একশত টাকা থেকে ডেরশো টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। অনলাইনে ডাটা এন্ট্রি কাজের বেতন প্রতি কীস্ট্রোক অথবা প্রতি পৃষ্ঠার ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়ে থাকে। 

সাধারণত প্রতি কীস্ট্রোক কিংবা প্রতি পৃষ্ঠার জন্য পাঁচ থেকে দশ টাকার মধ্যে বেতন দেওয়া হয়।আপনি অনলাইনে কিংবা অফলাইনে ডাটা এন্ট্রি কাজের প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। 

অনলাইনে এখন অনেক ফ্রি এবং পেইড কোর্স পাওয়া যায়। অফলাইনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ডাটা এন্ট্রি কাজের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

অসুবিধা সমূহ?

  • এই কাজটি একঘেয়ে হতে পারে। এবং
  • এই কাজটি অনেক সময় ধরে করতে হয়।

সুবিধা সমূহ?

এই কাজটি শিখতে খুব একটা সময় লাগে না। এই কাজটি ঘরে বসে বা অন্য কোন জায়গা থেকে করা যায়। এই কাজের চাহিদা সবসময়ই অনেক বেশি থাকে। আপনি যদি অনলাইন থেকে ফ্রী কোর্স গুলোর মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রির কাজ শিখতে পারেন। 

তবে আপনার কোন প্রকার টাকা খরচ করা ছাড়াই ডাটা এন্ট্রির কাজের মাধ্যমে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ইউটিউব থেকে আয়?

ইউটিউব থেকে টাকা উপার্জন করার প্রধান উপায় হচ্ছে বিজ্ঞাপন। ইউটিউব ভিডিওর মাঝে এবং ভিডিওর আগে ও পরে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করা হয়ে থাকে। এই বিজ্ঞাপন থেকে ইউটিউব এবং ভিডিও ক্রিয়েটর উভয়ই অর্থর আয় করে থাকে। 

ইউটিউব কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের ইনকাম নির্ভর করে তার ভিডিওর ভিউ সংখ্যা, ভিডিওর বিষয়বস্তু, এবং বিজ্ঞাপনদাতার আগ্রহের উপর। অন্যদিকে ইউটিউব থেকে ইনকাম করার আরও একটি উপায় হল স্পনসরশিপ। 

কোন ব্র্যান্ড কিংবা কোন কোম্পানি তাদের পণ্য বা পরিষেবা প্রচার করার জন্য ইউটিউব নির্মাতার সাথে চুক্তি করতে পারে। এই চুক্তির আওতায়, ইউটিউব নির্মাতা তার ভিডিওতে ব্র্যান্ড বা কোম্পানির পণ্য কিংবা পরিষেবা প্রচার করে থাকে। 

এই ধরণের চুক্তি থেকে ইউটিউব কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ভাল পরিমাণে টাকা উপার্জন করতে পারে। ইউটিউব থেকে টাকা উপার্জন করার জন্য একজন ইউটিউবারকে অন্তত এক হাজার সাবস্ক্রাইবার এবং চার হাজার ঘন্টা ওয়াচটাইম অর্জন করতে হবে। 

এই ন্যূনতম যোগ্যতা পূরণ করলে ইউটিউবাররা তাদের চ্যানেলকে মনিটাইজেশন এর জন্য আবেদন করতে পারবে এবং এপ্রুভ হলে ইউটিউব দ্বারা এডস দেখানো হবে। 

অর্থাৎ চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হতে শুরু করবে এবং তারা সেই বিজ্ঞাপনগুলো থেকে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

মাইক্রো জব করে আয়?

মাইক্রো জব বলতে বুঝানো হয় ছোট ছোট কাজ গুলোকে, যেগুলো করা তুলনামূলক ভাবে সহজ এবং অল্প সময়ের মধ্যে করে ফেলা যায়। এমন বেশ কিছু কাজ রয়েছে যেমনঃ
  • ওয়েবসাইট ভিজিট
  • ভিডিও দেখা
  • ইমেইল একাউন্ট তৈরি করা
  • রেফার করা
  • ফেসবুক একাউন্ট সেল করা
  • গেম ডাউনলোড
  • মোবাইল অ্যাপ ইন্সটল করা
  • লাইক, শেয়ার, কমেন্ট, রিভিউ এর মত কাজ
তাহলে বুজতে পারছেন ঠিক কি ধরণের কাজ গুলোকে সাধারণত মাইক্রো জব বলা হয়। এবার কথা হচ্চে এগুলো করার জন্য আপনাদের কেন টাকা দেয়া হবে? 

আর টাকা আপনি কোথায় কাজ করে পাবেন রাইট? এখানে মূলত দুটি পক্ষ থাকে। একটি পক্ষ কাজ দেয় আর আরেকটি পক্ষ কাজ গুলো করে থাকে। 

মাঝখানে যে মাধ্যমটির অবস্থান সেটিকে মূলত মাইক্রো জব সাইট বলা হয়। এমন অনেকগুলো মাইক্রো জব সাইট রয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় কিছু মাইক্রো জব ওয়েবসাইট হলঃ
  • RapidWorkers
  • Clickworker
  • Microworkers
  • PeoplePerHour
  • Zeerk
  • SproutGigs
  • Remotasks
এখন আপনারা যেহেতু সাইট গুলোর নামও জেনে গেছেন তাহলে এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে, এখানে কাজ করে ঠিক কত টাকা উপার্জন করা সম্ভব। সত্যি কথা বলতে এই কাজগুলো যেহেতু একেবারে ব্যাসিক পর্যায়ের কাজ। 

এই কাজ করার জন্য খুব বেশি একটা দক্ষতার প্রয়োজন পরে না। প্রয়োজন কেবল ডিভাইজ, ইন্টারনেট কানেক্টশন, একটু সময় এবং ধৈর্য্য। 

তাই সেই হিসেবে এখানে পেমেন্ট পাওয়া যায়। তাও খুব বেশি না হলেও ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রে মোটামুটি সন্তুষ্টজনক।

সার্ভে করে আয়?

এখনকার দিনে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার জন্য সার্ভে করা হচ্ছে একটি সহজ এবং সবচেয়ে কম পরিশ্রমী উপায়। আপনি যদি আপনার মতামত প্রকাশ করতে খুবই আগ্রহী হয়ে থাকেন। 

তাহলে আপনার জন্য সার্ভে করা একটি ভাল অপশন হতে পারে। সার্ভে করে টাকা উপার্জন করার জন্য আপনাকে একটি সার্ভে সাইটে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। আপনি গুগলে সার্ভে সাইট লিখে সার্চ করলে অনেকগুলো সাইটের লিঙ্ক পেয়ে যাবেন। 

এর মধ্যে থেকে আপনার পছন্দের সাইটে আপনি রেজিস্ট্রেশন করুন। এসব সাইটে আপনাকে অবশ্যই আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, শিক্ষাগত যোগ্যতা, আগ্রহের বিষয় ইত্যাদি প্রদান করতে হবে। 

এরপর আপনি বিভিন্ন কোম্পানি বা বিভিন্ন সংস্থার সার্ভেতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। সার্ভেতে অংশগ্রহণের জন্য আপনাকে অবশ্যই কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। 

প্রশ্নগুলো মৃলত হবে আপনার পছন্দ, মতামত, ব্যবহারের অভিজ্ঞতা ইত্যাদি সম্পর্কিত। সার্ভে সাইট এবং সার্ভেটির ধরণ অনুযায়ী রেভেনিউের পরিমাণ ভিন্ন হতে পারে। 

মূলত একটি সার্ভে সম্পন্ন করার জন্য আপনাকে $0.1 থেকে $5 পর্যন্ত অর্থ দেওয়া হতে পারে। এবার আপনাদের নিশ্চই জানতে ইচ্ছা করছে বর্তমানে জনপ্রিয় সার্ভে সাইট গুলো সম্পর্কে?

দাড়ান আমি এই পর্যায়ে কিছু সার্ভে সাইট সম্পর্কে আপনাদেরকে জানিয়ে দিচ্ছি। সার্ভে করে টাকা ইনকাম করার জন্য কিছু জনপ্রিয় সাইট হলঃ
  • InboxDollars
  • MyPoints
  • Survey Junkie
  • Survey Monkey
  • Prolific Academic
  • User Interviews
  • Swagbucks
  • Opinion Outpost
বাংলাদেশে সার্ভে করে টাকা ইনকাম করার জন্য কিছু জনপ্রিয় সাইট হলঃ
  • ইনবক্স ডলার
  • মাইপয়েন্টস
  • সার্ভে জ্যাঙ্কি
  • মতামত পোস্ট
  • ইনকাম ৪ ইউ
  • সার্ভে মনি
  • সার্ভে জোন
  • সার্ভে ফ্ল্যাশ

রেফার করে আয়?

ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার মাধ্যমে গুলো মধ্যে রেফার করে ইনকাম করাও একটি সেরা মাধ্যম। এই পদ্ধতিতে আপনি কোনও কোম্পানি বা ওয়েবসাইটের সাথে যুক্ত হয়ে তাদের পণ্য কিংবা সেবাগুলো অন্যদের কাছে প্রচার করবেন। 

যদি কেউ আপনার রেফারেল লিঙ্ক ব্যবহার করে সেই কোম্পানি কিংবা ওয়েবসাইটে যোগদান করে। তাহলে আপনি সেখান থেকে একটি নির্দিষ্ট কমিশন পাবেন। এই কমিশনের পরিমাণ মূলত আপনার রেফারেলের কার্যক্রমের উপর নির্ভর করবে। 

এজন্য আপনাকে প্রথমে এমন একটি কোম্পানি কিংবা ওয়েবসাইট খুঁজে বের করতে হবে। যা রেফারেল প্রোগ্রাম অফার করে থাকে। একবার আপনি একটি কোম্পানি কিংবা ওয়েবসাইট খুঁজে পেলে আপনাকে অবশ্যই তাদের রেফারেল প্রোগ্রামে যোগদান করতে হবে। 

এই প্রক্রিয়াটি মূলত খুবই সহজ। আপনাকে সাধারণত আপনার নাম আপনার ইমেল ঠিকানা আরও অন্যান্য কিছু তথ্য প্রদান করতে হবে। রেফারেল প্রোগ্রামে যোগদান করার পর। সেখানে আপনি আপনার রেফারেল লিঙ্ক পাবেন। 

আর এই লিঙ্কটি আপনি চাইলে আপনার পরিচিতদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। তারা এই লিঙ্কটি ব্যবহার করে সেই কোম্পানি কিংবা ম ওয়েবসাইটে যোগদান করলে আপনি সেখান থেকে একটি নির্দিষ্ট কমিশন পাবেন। 

বেশির ভাগ রেফারেবল ওয়েবসাইট কিংবা অ্যাপ গুলো দশ টাকা থেকে শুরু করে পঞ্চাশ টাকা অব্দি কমিশন দিয়ে থাকে, যা একেবারেই আপনার ফ্রিতে টাকা ইনকাম।

আমি এই পর্যায়ে আপনাদেরকে এমন কিছু ওয়েবসাইট ও অ্যাপ সম্পর্কে জানাচ্ছি যেখান থেকে আপনারা সরাসরি রেফারের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। যেমনঃ
১.Vikas / Nagad / Rocket / (Mobile Financial Services)
২. Amazon, Mypoints.com, (ওয়েবসাইট সমুহ)
৩.TikTok, Shanke Video app, Betterment App, Mylo App (অ্যাপ সমূহ)
৪. Amazon prime student
৫.Ibotta
৬. BeFrugal
৭.TopCashBack
৮. Living Society

ড্রপশিপিং করে আয়?

ড্রপশিপিং হচ্ছে এমন একটি ব্যবসায়িক মডেল যেখানে একজন ব্যবসায়ী একজন উৎপাদক বা সরবরাহকারীর কাছ থেকে পণ্য বিক্রি করে থাকে। কিন্তু সেই পণ্যগুলোকে নিজের কাছে মজুদ না রেখে পণ্যগুলো সরাসরি গ্রাহকের কাছে পাঠায়। 

অর্থাৎ একজন ড্রপশিপার পণ্যগুলোর মালিক হয় না। তবে তিনি সেগুলোর জন্য বিক্রয় করে কমিশন পান। বাংলাদেশে ড্রপশিপিং ব্যবসায়টি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর কারণ হচ্ছে এটি একটি কম বিনিয়োগের ব্যবসায় যা খুব সহজেই শুরু করা যায়। 

ড্রপশিপিং ব্যবসায়টি শুরু করতে হলে একজন ব্যবসায়ীকে শুধুমাত্র একটি ওয়েবসাইট কিংবা ইকমার্স প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হবে। এবং এরপর সেই প্ল্যাটফর্মে পণ্যগুলো সুন্দর করে তালিকাভুক্ত করতে হয়। 
পণ্যগুলোর বিক্রয় হলে, ব্যবসায়ী উৎপাদক এবং সরবরাহকারীর কাছ থেকে সেগুলো সরাসরি গ্রাহকের কাছে পাঠাতে দেয়। ড্রপশিপিং এর মাধ্যমে আপনি একদম ফ্রিতে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। 

এখানে যেহেতু আপনার কোনরকম প্রোডাক্ট কিনে মজুদ করতে হচ্ছে না। আবার প্রোডাক্ট ডেলিভারি সংক্রান্ত কাজ না থাকায় কোন খরচও নেই তাই যতটা কমিশন আসবে তার পুরোটাই আপনার লাভ হিসেবে গণ্য হবে। 

বর্তমানে বাংলাদেশে ড্রপশিপিং এর কাজে সফল হতে হলে অবশ্যই সঠিক পণ্য বাছাই করতে হবে। টার্গেট অডিয়েন্স সেট করতে হবে এবং খুবই ভাল ভাবে প্রোডাক্ট গুলো তাদের সামনে তুলে ধরতে হবে। যাতে করে তারা পণ্যের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবনের পাশাপাশি গ্রহনের মন মানসিকতাও রাখে।

ফ্রি লটারী খেলে টাকা ইনকাম?

বর্তমান সময়ে ফ্রি লটারী খেলে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। তবে এটি একটি সম্ভাব্য উপায়, কিন্তু নির্ভরযোগ্য কিন্তু নয়। লটারী খেলার ফলে আপনার লাভ হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম। 

তবে আপনি যদি সৌভাগ্যবান হন, তাহলে আপনি প্রচুর পরিমাণে টাকা লটানীতে জিততে পারেন। ফ্রি লটারী খেলে টাকা উপার্জন করার জন্য আপনাকে প্রথমে বিভিন্ন ফ্রি লটারী ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপ্লিকেশন খুঁজে বের করতে হবে। 

এই ওয়েবসাইট কিংবা অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে সাধারণত বিভিন্ন ধরণের লটারী খেলা হয়ে থাকে। তবে আপনি আপনার পছন্দের লটারী খেলা বেছে নিতে পারেন। 

এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে ফ্রি লটারী খেলে টাকা উপার্জন করার সুযোগ রয়েছে। এমন জনপ্রিয় কিছু ওয়েবসাইট হলঃ

Pick My Postcode

এখানে আপনি ফ্রি টাকা ইনকাম করতে পারবেন খুবই সহজে। এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই আপনার এরিয়া পোস্ট কোড দিতে হবে। আর একটা নাম্বার আপনাকে পিক করতে হবে। 

এখানে প্রতিদিন ড্র হয়ে থাকে এবং ড্রতে যদি আপনার নাম্বারটি লেগে যায়। তবে আপনি ফ্রিতে অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবেন লটারী খেলার মাধ্যমেই।

Free Birthday Lottery

এটা এমন একটা লটারী সাইট এখানে আপনার জন্মদিনকে কেন্দ্র করে লটারি ড্র করা হয়ে থাকে।প্রতিদিন একটা করে জন্মদিন ড্র করা হয়। 

আর সেখানে আপনার জন্মদিনটা যদি জিতে তাহলে আপনি হবেন উইনার আর পেয়ে যাবেন £10 এরা মূলত ওয়েবসাইটে এডসের মাধ্যমে উপার্জন করে। আর সেখান থেকেই তারা লটারির প্রাইজ মানি দিয়ে থাকে।

1xbet

এটাও একটা সুন্দর লটারি খেলার ওয়েবসাইট। যদিও এখানে আপনাকে বিড করে উপার্জন করতে হবে। প্রতিটি ম্যাচে নিদিষ্ট পরিমাণ পয়েন্ট ও সেখানে টাকা খাটানোর সুযোগ রয়েছে। 

এখানে জিতলে আপনি অনেক বেশি টাকা পাবেন আর হারলে কিছু লস খাবেন। যদিও এটা খুব রিস্কি তবে ভাল ভাবে খেলতে পারলে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

টাকা ইনকাম করার সাইট?

ইতিমধ্যে আপনকরা জানতে পারলেন বেশ কিছু উপায় সম্পর্কে। যেগুলো অনুসরণ করলে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করা যায়। মূলত আপনি যে কাজই করেন না কেন সেটা যদি হয়ে থাকে অনলাইন সংক্রান্ত তাহলে অবশ্যই ওয়েবসাইটের প্রয়োজন হবে। 

এমন অনেক সাইট বা ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে ফ্রিতে টাকা উপার্জন করা যায়। তবে মনে রাখবেন এসব সাইটে অবশ্যই আপনাকে একদম বিনা কারণে টাকা দিবে না। বরং আপনাকে এখানে হয়তো কোন সার্ভিস প্রদান করতে হবে। 

কিংবা কিছু সেল করতে হবে। মোট করা হচ্ছে আপনি ফ্রিতে টাকা উপার্জন করতে তো পারবেন, তবে অবশ্যই আপনাকে কাজ করতে হবে। অনলাইন থেকে অর্থ উপাঅজন করার জন্য অনেকগুলো সাইট রয়েছে। 

আপনি আপনার দক্ষতা এবং আগ্রহ অনুযায়ী ভাল একটা সাইট দেখে কাজ করতে পারেন। নিচে কিছু জনপ্রিয় টাকা উপার্জন করা সাইটের নাম উল্লেখ করা হলঃ

ফ্রিল্যান্সিং সাইট

এই সাইটগুলোতে আপনি আপনার বিভিন্ন দক্ষতা ও অবিজ্ঞতা ব্যবহার করে কাজ করতে পারেন। যেমনঃ
  • গ্রাফিক ডিজাইন
  • লেখালেখি
  • প্রোগ্রামিং
  • ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট
  • মার্কেটিং
  • Fiverr, Upwork, Freelancer,  PeoplePerHour, Guru, Toptal, ইত্যাদি হচ্ছে কিছু জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সাইট ইত্যাদি।

ব্লগ

আপনি একটি সুন্দর ব্লগ তৈরি করে এবং সেই ব্লগে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট

এই সাইটগুলোতে আপনি অন্য কোম্পানির পণ্য কিংবা পরিষেবা বিক্রি করে কমিশন ইনকাম করতে পারেন। Flipkart, eBay, Amazon, Clickbank, CJ Affiliate, ShareASale, ইত্যাদি হচ্ছে কিছু জনপ্রিয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট।

ইউটিউব

YouTube এ ভিডিও তৈরি করে এবং সেই ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারেন।

কিছু কথা

আশাকরি আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনি সম্পূর্ণ মনযোগ সহকারে পড়েছেন। এবং এই আর্টিকেল পড়ে আপনি অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। এরকম জানা অজানা তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট এর সাথে থাকুন। ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বর্তমান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url