ঘরে বসে টাকা আয় করার উপায়

ঘরে বসে সহজে টাকা ইনকাম, কথাটা শুনে আপনি কি অবাক হচ্ছেন। অবাক হওয়ার কিছুই নেই। বর্তমানে আপনারা চাইলে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে সেটি করতে হলে আপনাদেরকে অবশ্যই সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। 
ঘরে বসে টাকা আয় করার উপায়
ঘরে বসে টাকা আয় করার উপায়
বর্তমানে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার অসংখ্য উপায় হয়েছে। যদি সঠিকভাবে সেই কাজগুলো আপনারা ঘরে বসে সম্পূর্ণ করতে পারেন। তাহলে আপনারাও খুব সহজে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

আর তাই আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমি আপনাদের জানাবো কিভাবে ঘরে বসে টাকা উপার্জন করা যায় (How to earn money form home) সেই সম্পর্কে।

ঘরে বসে টাকা আয় করার উপায়?

বর্তমানে আমরা তথ্য প্রযুক্তি সম্পূর্ণ ডিজিটাল যুগে বসবাস করছি। ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা এখন অনেক কিছুই করতে পারছি। আপনারা এখন চাইলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসে খুব সহজে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

তাহলে চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার সেরা কয়েকটি উপায় সম্পর্কে। যেমনঃ

১. ফ্রিল্যান্সার হয়ে আয়

বর্তমান সময়ে যদি ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার কথা বলা যায়। তাহলে অবশ্যই আপনাকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কথা ভাবতেই হবে। কেননা ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই ঘরে বসে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

বর্তমানে আমাদের দেশে অসংখ্য ফ্রিল্যান্সার রয়েছে যারা ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতেছে। তাই আপনারা যদি সঠিকভাবে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ গুলো শিখে মার্কেটপ্লেসগুলোতে যেতে পারেন তাহলে অবশ্যই এখান থেকে ভাল টাকা ইনকাম করতে পারবেন এতে কোন সন্দেহ নেই। 

তাই বর্তমান সময়ে যদি আপনি ভেবে থাকেন যে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করবেন তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিংকে বেছে নিতে পারেন। কেননা ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার এটি একটি খুবই কার্যকারী উপায়। 

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনি অনেক ধরণের কাজ পেয়ে যাবেন। যেমনঃ
১.কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ
২.ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর কাজ
৩.গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাজ
৪.ওয়েবসাইট ডিজাইন এর কাজ
৫.ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ

আপনারা চাইলে এইসব বিষয় গুলোর মধ্য থেকে যেকোন বিষয়ে ভাল করে পড়াশোনা করে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী কাজ খুঁজে বের করতে পারেন। 

আপনি যদি একজন দক্ষতা সম্পূর্ণ ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই আপনি এখান থেকে ভাল পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

২.আর্নিং অ্যাপে কাজ করার মাধ্যমে ইনকাম

আপনারা এখন ইন্টারনেটে খুঁজলে অসংখ্য অ্যাপ পেয়ে যাবেন যেগুলোর মাধ্যমে আপনারা ঘরে বসেই মোবাইল এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। আপনাকে এর জন্য তেমন বেশি কষ্ট করতে হবে না। গুগলের প্লে স্টোরে গিয়ে অনলাইন আর্নিং লিখে সার্চ করলে আপনারা বিভিন্ন ধরণের অ্যাপ পেয়ে যাবেন। 

যে অ্যাপ গুলোর মাধ্যমে অনলাইনে টাকা ইনকাম করা যায়। তবে আপনি যদি লাইফটাইম টাকা ইনকাম করতে চান। তাহলে কিন্তু এগুলোর মাধ্যমে আপনারা সহজে ইনকাম করতে পারবেন না। আপনার টাকা আয়ের পরিমাণটা অনেকাংশে নির্ভর করবে আপনি কতক্ষণ পর্যন্ত সেই অ্যাপ এ কাজ করছেন তার উপরে। 

আপনার হাতে যদি পর্যাপ্ত পরিমানে সময় থেকে থাকে তাহলে আপনি এই অ্যাপ গুলোতে কাজ করতে পারেন। আপনারা এই অ্যাপ গুলো থেকে এড দেখে ক্যাপচা পূরণ করে এবং আরও অনেক ধরণের টুকিটাকি কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন। 

আপনারা চাইলে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার জন্য এই মোবাইল অ্যাপ গুলো ব্যবহার করতে পারেন। কেননা এই অ্যাপ গুলো বর্তমান সময়ের খুবই জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত অ্যাপ। যেমনঃ
  • Rozdhan
  • Google Pay
  • Dream11
  • Pocket money app
আপনারা চাইলে এই অ্যাপ গুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে খুব সহজেই ঘরে বসে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাদের দেওয়া সঠিক নিয়মে আপনি যদি কাজ করতে পারেন তাহলে খুবই সহজ হবে আপনার জন্য এই অ্যাপ গুলোতে কাজ করা।

৩. ব্লগিং করার মাধ্যমে আয়

ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার আরেকটি কার্যকারী উপায় হল ব্লগিং। বর্তমানে অনলাইনে ইনকাম করার যত মাধ্যম রয়েছে তারমধ্যে ব্লগিং কে সবার উপরে রাখা হয়ে থাকে। ব্লগিং হচ্ছে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার এমন একটি মাধ্যম যে মাধ্যম ব্যবহার করে আপনারা খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন। 

যেকোন কাজের পাশাপাশি চাইলে ব্লগিং পেশাটিকে বেছে নিতে পারেন অথবা ঘরে বসে টাকা ইনকাম করতে চান। তাহলে ব্লগিং কে বেছে নিতে পারেন। আপনি যদি সঠিকভাবে এই ব্লগিং প্লাটফর্মে টিকে থাকতে পারেন। 

তাহলে এখান থেকে আপনি দুই থেকে তিন বছরের মধ্যেই সফল হতে পারবেন এতে কোন সন্দেহ নেই। বর্তমানে ব্লগিং থেকে অনেক ভাবে ইনকাম করা যাচ্ছে আপনারা চাইলে সে সকল পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন। ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার জন্য ব্লগিং এর চেয়ে ভাল উপায় আর নেই।

৪. ক্যাপচা পূরণ করে আয়

ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার যত কাজ রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় কাজ ধরা হয়ে থাকে ক্যাপচা পূরণ করার এই কাজকে। আপনারা ইন্টারনেট খুঁজলে এরকম অসংখ্য ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন যে ওয়েবসাইটগুলোতে ক্যাপচা পূরণ করার মাধ্যমে টাকা দেওয়া হয়ে থাকে। 

ক্যাপচা টাইপিং করা এই কাজগুলোর সুবিধা হচ্ছে আপনি এই কাজগুলো শুধুমাত্র মোবাইল ব্যবহার করার মাধ্যমেই করতে পারবেন। আপনি যদি প্রতিদিন সঠিকভাবে দুই থেকে তিন ঘণ্টা এই কাজ করেন। তাহলে অনায়াসেই মাসে ১০,০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

অনেকে ক্যাপচা পূরণের এই কাজ করে মাসে ত্রিশ হাজার টাকারও বেশি ইনকাম করে থাকে। তবে এই কাজগুলো করার আগে আপনাকে বিশ্বস্ত কিছু ওয়েবসাইট খুলতে হবে। যে সকল ওয়েবসাইট গুলো ক্যাপচা পূরণের মাধ্যমে টাকা দিয়ে থাকে। 

নিম্নে সেরা কয়েকটি বিশ্বস্ত ক্যাপচা পুরন এর ওয়েবসাইট এর নাম দেওয়া হলঃ
১. 2Captcha
২. Kolotibablo
৩. Megatypers
৪. Protypers

আপনারা চাইলে এই ওয়েবসাইটগুলোতে ক্যাপচা পুরনের কাজ করার মাধ্যমে মাসিক ভাল একটি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। ক্যাপচা পুরন করে ইনকাম করার জন্য এগুলো খুবই বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট।

৫.কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ করে

অনলাইনে যত কাজ রয়েছে সেগুলোর মধ্যে কনটেন্ট রাইটিংয়ের কাজকে সবচেয়ে সম্মানজনক পেশা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আপনারা চাইলে খুব সহজেই কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ শিখে একজন কনটেন্ট রাইটার হয়ে অনলাইন থেকে ভাল পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

এখন অনলাইনে আপনারা অসংখ্য ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন। যে ওয়েবসাইটগুলোতে আপনারা কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ ২০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০ টাকা রেটে আপনারা করতে পারবেন। 

এছাড়া আপনি যদি একজন দক্ষ কনটেন্ট রাইটার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করতে পারেন। সেখান থেকে আপনি অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবেন শুধুমাত্র কনটেন্ট রাইটিং করে। 

আর আপনি যদি কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ লোকালভাবে করতে চান তাহলে বিভিন্ন ওয়েবসাইট মালিকদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন অথবা কনটেন্ট রাইটিং সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরণের গ্রুপে আপনি আপনার কাজের বিষয়ে বলতে পারেন। 

তারা যদি আপনার কাজের বিষয় সম্পর্কে জেনে আপনার প্রতি ইন্টারেস্টেড হয়ে থাকে। তাহলে সেখান থেকে আপনারা কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ পাবেন এবং ইনকাম করতে পারবেন। ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার জন্য এটি হচ্ছে খুবই সুবর্ণ সুযোগ।

৬.ইউটিউব থেকে আয়

বর্তমানে ইউটিউব কতটা জনপ্রিয় তাতো আপনারা সকলেই ভাল জানেন। আপনি যদি ইউটিউব চ্যানেলের সঠিক ব্যবহারটা করতে পারেন তাহলে খুব সহজেই আপনি এখান থেকে ভাল টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ব্লগিং এর মত ইউটিউব ও কিন্তু জনপ্রিয় একটি উপায় অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য। 

আপনাকে ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম করতে হলে আপনার ইউটিউব চ্যানেলটিতে নিয়মিত ভাল ভাল ভিডিও বানিয়ে পাবলিশ করতে  হবে। আপনি যদি আপনার চ্যানেলে নিয়মিত কাজ করে যেতে পারেন এবং ভাল ভিডিও আপলোড দিতে থাকেন। 

তাহলে অবশ্যই কিছুদিন পর আপনার চ্যানেলে অনেক সাবস্ক্রাইবার হয়ে যাবে এবং যার ফলে আপনার আপলোড করা ভিডিও গুলোতে ভিউ বেড়ে যাবে। এরপরে এক সময় আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলটিতে মনিটাইজেশন এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। 

আপনি যদি ইউটিউব এর সকল কন্ডিশন মেনে আপনার চ্যানেলটি মনিটাইজেশন এর জন্য আবেদন করেন তাহলে খুব দ্রুতই তারা আপনাকে মনিটাইজেশন দিয়ে দিবে। আর আপনার ইউটিউব চ্যানেলের মনিটাইজেশন হয়ে গেলে আপনি তখন আপনার চ্যানেল থেকে গুগল এডসেন্স বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন। 

এছাড়া আপনার চ্যানেল টি বড় হয়ে গেলে আপনারা আরও অনেক ধরণের উপায় অবলম্বন করার মাধ্যমে ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম করতে পারবেন। ইউটিউব চ্যানেল থেকে যেসব উপায়গুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে আপনারা ইনকাম করতে পারবেন সেগুলো নিচে দেওয়া হলঃ
  • গুগল এডসেন্স থেকে আয়
  • নিজের প্রোডাক্ট বিক্রি করে আয়
  • পেইড রিভিউ করে আয়
  • এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে
আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি যদি খুবই জনপ্রিয় হয়ে যায় তাহলে আপনারা চাইলে এসব উপায়গুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে সেখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন। 

তাহলে অবশ্যই বুঝতে পারছেন যে বর্তমান সময়ে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার জন্য ইউটিউব হচ্ছে সবচেয়ে কার্যকরী একটি উপায়।

৭. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়

যদি ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার কথা ভেবে থাকেন তাহলে আপনাকে এই উপায়টি নিয়ে ভাবতে হবে। এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে বর্তমানে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার সবচেয়ে সেরা এবং জনপ্রিয় একটি উপায়।

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি অন্যের প্রডাক্ট কে আপনার ওয়েব সাইট অথবা ইউটিউব চ্যানেল বা যেকোন মাধ্যম ব্যবহার করে বিক্রি করতে পারবেন। আপনি তাদের যে প্রোডাক্টটি বিক্রি করে দিবেন। সে বিক্রিকৃত টাকা থেকে লাভের কিছু অংশ আপনাকে দিবে। 

বর্তমানে অনেকে এই পদ্ধতিতে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইনের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করে চলেছে। অনলাইনে এমন অসংখ্য ই-কমার্স সাইট রয়েছে যারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার সুযোগ দিয়ে থাকে। সেরা কয়েকটি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার সাইট সমূহের নাম নিচে দেওয়া হলঃ
আপনারা চাইলে এই ওয়েবসাইট গুলোর মাধ্যমে খুব সহজেই এফিলিয়েট মার্কেটিং করে সেখান থেকে ভাল পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এই ওয়েবসাইট গুলো খুবই বিশ্বস্ত এবং জনপ্রিয় ওয়েবসাইট এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য।

৮.ভিডিও এডিটিং এর কাজ শিখে

বর্তমান সময়ে ইউটিউবে জয়জয়কার চলছে। ইউটিউব হচ্ছে খুবই জনপ্রিয় ওয়েবসাইট। যারা অনলাইনে থেকে থাকেন তারা দিনে একবার হলেও ইউটুউবে উঁকি মেরে থাকেন। এছাড়া বর্তমান সময়ে ইউটিউব থেকে এখন অনেকে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করে চলেছে। আর যারা ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করে থাকে। 

তারা বিভিন্ন ধরণের ভিডিওর মাধ্যমে এই কাজটা করে থাকে। অনেকে এসব ইউটিউব ভিডিও সুন্দর করে বানানোর জন্য বা ভিডিও এডিটিং করার জন্য লোক নিয়ে থাকে। আপনি যদি একজন সঠিক দক্ষতা সম্পন্ন ভিডিও এডিটর হয়ে থাকেন। 

তাহলে আপনি এসব বড় বড় চ্যানেলের মালিকদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনি যদি তাদের ভাল কাজের পারফরম্যান্স দেখাতে পারেন। তাহলে তারা পরবর্তী ভিডিও এডিটরের কাজ টা আপনাকে দিতে পারে। এবং আপনি সেখান থেকে ভাল পরিমাণ টাকা উপার্জন করতে পারেন। 

এছাড়া অনলাইনে আরও অসংখ্য ওয়েবসাইট রয়েছে যে ওয়েবসাইটগুলোতে ভিডিও এডিটরের কাজ দেওয়া হয়ে থাকে। তাই আপনি যদি মনে করে থাকেন। এই উপায়টি অবলম্বন করার মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।

৯. গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ শিখে আয়

বর্তমানে অনলাইনে গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের চাহিদা রয়েছে অনেক। ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসগুলোতেও গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের কাজের জন্য তেমন ভোগান্তির শিকার হতে হয় না। একজন ভাল গ্রাফিক্স ডিজাইনার খুব সহজেই তার কাঙ্ক্ষিত কাজটি পেয়ে যান। 

তাই আপনারা চাইলে এই গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাজটি শিখে বাড়িতে বসে খুব সহজেই ইনকাম করতে পারেন। বর্তমানে অনলাইনে ইনকামের যতগুলো সেরা উপায় রয়েছে তাদের মধ্যে এই গ্রাফিক্স ডিজাইন অন্যতম। 

অনলাইনে এমন অসংখ্য ওয়েবসাইট রয়েছে যে সকল ওয়েবসাইটগুলোতে গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের কাজ রয়েছে। আপনারা চাইলে এই সকল ওয়েবসাইট গুলোর মাধ্যমে গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাজ করতে পারেন এবং সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

১০. ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর কাজ করার মাধ্যমে

ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার জন্য এটি হচ্ছে একটি দারুন কাজ। বর্তমান সময়ে আমরা বিভিন্ন ধরণের তথ্য ইন্টারনেটে দেখে থাকি। আপনারা কি কেউ জানেন এ তথ্য গুলো কোথা থেকে আসে। এই তথ্যগুলো মূলত কোন না কোন ওয়েবসাইটের। ইন্টারনেটে এমন অসংখ্য ওয়েবসাইট রয়েছে যেসব ওয়েবসাইট গুলোর মাধ্যমে আমরা কোন কিছুর দরকার হলে তথ্য নিয়ে থাকি। 

আর এই ওয়েবসাইট গুলো কোন না কোন ওয়েব ডেভলপার তৈরি করে থাকেন। ইন্টারনেটে ওয়েবসাইটের কাজ যতদিন থাকবে। ততদিন ওয়েব ডেভলপারদের চাহিদাও থাকবে। তাই যদি সঠিকভাবে আপনি ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ শিখতে পারেন। 

তাহলে ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেস অথবা লোকাল মার্কেট প্লেস সব জায়গাতেই আপনি ভাল টাকা উপার্জন করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং পেশা গুলোর মধ্যে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ খুবই জনপ্রিয় একটি কাজ। আপনার ভিতরে যদি সঠিক দক্ষতা থাকে। তাহলে আপনি খুব সহজেই এই কাজটি করার মাধ্যমে মাসে কয়েক লাখ টাকা উপার্জন করতে পারেন। 

ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ করার জন্য অনলাইনে অসংখ্য ওয়েবসাইট রয়েছে যে সকল ওয়েবসাইট গুলোর মাধ্যমে আপনারা কাজ পেতে পারেন। যেমনঃ

আপনি যদি ভালভাবে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ শিখতে পাড়েন। তাহলে উপরের উল্লেখিত ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসগুলোতে যেতে পারেন এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ করতে পারেন।

১১. ফেসবুক থেকে আয়

ফেসবুক হল বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। আপনারা চাইলে খুব সহজেই এই মাধ্যম কে কাজে লাগিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন অনলাইনের মাধ্যমে। অনেকে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার জন্য এই মাধ্যমটি অনেক দিন ধরে ব্যবহার করে আসছে। 

আপনারা চাইলে ফেসবুকের মাধ্যমে কয়েকটি পদ্ধতি অবলম্বন করে সেখান থেকে ইনকাম করতে পারেন।

ফেসবুক ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে আয়?

ইউটিউব চ্যানেলে যেমন মনিটাইজ করার মাধ্যমে সেখান থেকে ইনকাম করা যায় এখন ফেসবুক ভিডিও গুলোতে মনিটাইজ করে ইনকাম করা যাচ্ছে। আপনারা চাইলে ফেসবুক পেজে ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে এখন খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন। তবে তাদের কিছু শর্ত রয়েছে। 

যে কন্ডিশন গুলো পূরণ করার মাধ্যমে আপনারা সেখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন। যদি শর্তগুলো পূরণ করতে পারেন তাহলে আপনারা এখান থেকে খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন। ফেসবুক পেজে মনিটাইজ পাওয়ার কিছু শর্ত যেমনঃ
১. আপনার ফেসবুক পেজ টিতে অবশ্যই এক হাজার ফলোয়ার থাকতে হবে।

২. শেষ ৬০ দিনে ১,৮০,০০০ মিনিট ভিউ হতে হবে। এবং ৩০,০০০ মিনিট ভিউ হতে হবে। আর অবশ্যই মনে রাখবেন অ্যাভারেস তিন মিনিটের বেশি করে থাকবে হবে।

এছাড়া বর্তমানে আপনারা ফেসবুকে লাইভ করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যা অনলাইনে ইনকাম করার সহজ উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম।

লিংক শর্ট করে আয়?

আপনি চাইলে আপনার ফেসবুক পেজের মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের লিঙ্ক শেয়ার করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।তবে এক্ষেত্রে আপনাকে কিছু লিংক শর্ট ওয়েবসাইটের শরণাপন্ন হতে হবে। 

যে ওয়েবসাইট গুলো আপনাকে লিঙ্ক করার মাধ্যমে টাকা দিবে। নিচে জনপ্রিয় কয়েকটি লিংক শর্ট করার ওয়েবসাইট এর নাম উল্লেখ করা হলঃ
আপনি চাইলে এই সকল ওয়েবসাইট গুলোর মাধ্যমে লিংক শর্ট করে খুব সহজেই ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করতে পারেন। যা সাধারণত ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার দারুন একটি মাধ্যম।

ফেসবুক পেজ বিক্রি করার মাধ্যমে আয়?

আপনি ফেসবুক পেজ বিক্রি করার মাধ্যমে খুব সহজেই সেখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন। তবে এই ক্ষেত্রে আপনি যে ফেসবুক পেজটি বিক্রি করতে চাচ্ছেন সেই পেজে অসংখ্য ফলোয়ার এবং লাইক থাকা লাগবে। 

বর্তমানে অনলাইনে এমন অসংখ্য লোক রয়েছে যারা শুধুমাত্র ফেসবুক পেজ বিক্রি করার মাধ্যমে মাসে ভাল একটি অ্যামাউন্ট ইনকাম করে নিচ্ছে। তাই আপনারা চাইলে ফেসবুক পেজ তৈরি করে লাইক এবং ফলোয়ার বাড়িয়ে সেখান থেকে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

১২. ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হয়ে আয়

আপনারা চাইলে ঘরে বসে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হয় সেখান থেকে ইনকাম করতে পারেন। আপনি যদি মনে করেন তাহলে ঘরে বসেই পৃথিবীর যে কোন কোম্পানির হয়ে তাদের ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করতে পারেন। 

বর্তমানে অসংখ্য মানুষ ঘরে বসে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হওয়ার মাধ্যমে অনলাইনের মাধ্যমে ভাল টাকা ইনকাম করছে। তাই আপনি যদি ঘরে বসে টাকা ইনকাম করতে চান। তাহলে এই ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজটি করতে পারেন।

শেষ কথা, বর্তমান সময়ে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার উপায় গুলো সবচেয়ে সেরা উপায় গুলোর মধ্যে পরে। আপনারা চাইলে এই উপায়গুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে খুব সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। 

অনলাইনে ইনকাম সম্পর্কিত বিষয়ে কোন ধরণের প্রশ্ন থাকলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন আমরা আপনার প্রশ্নটির উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। আর আমাদের আর্টিকেলটি যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বর্তমান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url