আজারবাইজান বেতন কত - আজারবাইজান যেতে কত টাকা লাগে

আজারবাইজান হচ্ছে এশিয়া মহাদেশের একটি দেশ। আজারবাইজান কাজের জন্য মাঝেমধ্যেই বিদেশী শ্রমিক নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। আজারবাইজানে বর্তমানে গার্মেন্টস কর্মী ও পরিছন্নতা কর্মী হিসেবে লোক নেওয়া হচ্ছে। আজারবাইজান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে এই ধরনের কাজগুলো সেখানে করা যাবে।
আজারবাইজান
আজারবাইজান
আজারবাইজানে অনেকেই যার জন্য আগ্রহী হলেও সঠিক দিক নির্দেশনা ও গাইডলাইন জানেন না যার কারণে এই বিষয়ে সামনে এগোতে পারেন না।আজকের পোস্টে আজারবাইজান কাজের ভিসা পাওয়ার উপায়, আজারবাইজানে কোন কাজের চাহিদা বেশি ও আজারবাইজান কাজের বেতন কত এই নিয়ে মূল্যবান কিছু তথ্য দেওয়া হয়েছে।

আজারবাইজান কাজের ভিসা পাওয়ার উপায়?

বাংলাদেশ থেকে আজারবাইজান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া অনেক সহজ। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ওপর ভিত্তি করে বায়োসেল ও বি আম আই টি এ ব্যবহার করে যোগাযোগ করে খুব সহজেই আজারবাইজান যেতে পারবেন। তাছাড়া বাংলাদেশের সরকারি বেসরকারি অনেক এজেন্সি রয়েছে যারা আজারবাইজান নিয়ে যাওয়ার জন্য লোক খুঁজে থাকে। 

সরাসরি আপনারা এদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন। তবে এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চাইলে অবশ্যই সরকার স্বীকৃত কিছু এজেন্সি রয়েছে এদের মাধ্যমে যেতে হবে। আজারবাইজান যাওয়ার সবথেকে বিশ্বস্ত উপায় হচ্ছে বিএমটিএ ও বায়োসেল।

তবে অবশ্যই আজারবাইজান যেতে হলে দালাল থেকে সাবধান হতে হবে। দালালের মাধ্যমে যারা আজারবাইজান যাবেন তাদের পরবর্তীতে অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হওয়া লাগতে পারে।

আজারবাইজান ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া?

যারা বাংলাদেশ থেকে আজারবাইজান ভিসা নিতে চান তাদেরকে বাংলাদেশে অবস্থিত প্রবাসী কল্যাণ ভবন অথবা বি এম টি এর মেইন ভবন থেকে যোগাযোগ করে আজারবাইজান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সংগ্রহ করতে পারেন।

আপনার ভিতরে যদি দক্ষতা থাকে ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকে তাহলে আজারবাইজান ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে। নিম্নে আজারবাইজান কাজের ভিসা পাওয়ার জন্য কি কি ডকুমেন্ট লাগে তা উল্লেখ করা হলোঃ

আজারবাইজান কাজের ভিসা পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র?

আজারবাইজান কাজের ভিসা নিতে হলে কিছু ডকুমেন্ট লাগবে। এই ডকুমেন্টগুলো ব্যতীত কোনভাবেই আজারবাইজান ভিসা প্রসেসিং সম্ভব হবে না। যেমনঃ
  • ছয় মাস মেয়েদের একটি বৈধ পাসপোর্ট লাগবে।
  • জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি লাগবে।
  • দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি প্রয়োজন হবে।
  • চেয়ারম্যান কর্তৃক স্বাক্ষরিত নাগরিক সনদ লাগবে।
  • নির্দিষ্ট কাজের উপরের ট্রেনিং প্রাপ্ত এর সার্টিফিকেট লাগবে।
  • আজারবাইজানে যাওয়ার জন্য কোন কোম্পানির ইনভাইটেশন লেটার লাগবে।
আজারবাইজান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে হলে প্রথম পর্যায়ে উক্ত কাগজপত্র গুলো প্রয়োজন হয়।এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা নিতে হলে এই ডকুমেন্টগুলো জমা দিতে হবে।

আজারবাইজান যেতে কত টাকা লাগে?

আজারবাইজান কাজের ভিসায় যেতে সাধারণত তিন থেকে ছয় লক্ষ টাকার মতো খরচ এসে থাকে।এখানে খরচের বিষয়টা নির্ভর করে থাকে ভিসার ক্যাটাগরির উপর। অর্থাৎ আপনি কোন ধরনের ভিসা নিয়ে আজারবাইজান যেতে চাচ্ছেন এর উপরে। 

কোন সরকারি এজেন্সির মাধ্যমে যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিশনে আজাদ ভাই যান যেতে চান তাহলে তিন থেকে চার লক্ষ টাকার মতো খরচ এসে থাকে।আজারবাইজানে যারা সেলসম্যান হিসেবে কাজ করে থাকেন তাদের ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকার মতো খরচ আসতে পারে। 

তবে এখানে যে হিসাবটা দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে আজারবাইজান যাওয়ার টিকিট খরচের দাম ধরা হয়নি। আজারবাইজান যাওয়ার বিমান খরচ বা বিমান ভাড়া সম্পূর্ণ ব্যক্তিকে বহন করতে হবে।

আজারবাইজানে কোন কাজের চাহিদা বেশি?

আজারবাইজানে বিভিন্ন কাজের জন্য লোক নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। এই সকল কাজ সমূহের মধ্যে রয়েছে গার্মেন্টস  কর্মী, ফুড প্যাকেজিং কর্মী, ও ড্রাইভিং এর কাজের জন্য প্রচুর লোক নেওয়া হয়। তাছাড়া আজারবাইজানে কনস্ট্রাকশন কাজ, হোটেল রেস্টুরেন্ট ও টাইলসের কাজের জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে লোক নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। 

তাহলে অবশ্যই বোঝা যাচ্ছে যে আজারবাইজানে এই ধরনের কাজগুলোর ভালো চাহিদা রয়েছে। এই কাজগুলোতে দক্ষতা সম্পন্ন ব্যক্তিরা খুব সহজে আজারবাইজান ওয়ার্ক পারমিট বা কাজের ভিসা করে আজারবাইজান চলে যেতে পারেন।

আজারবাইজান বেতন কত?

আজারবাইজানে যাওয়ার আগে অনেকেই শ্রমিকদের কত টাকা বেতন দেওয়া হয়ে থাকে এই বিষয়ে জানার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। বর্তমানে আজারবাইজানের ন্যূনতম মজুরি হচ্ছে ৩০০ মানত।যা বাংলাদেশী টাকায় হিসাব করলে ২০ হাজার টাকার কাছাকাছি। আজারবাইজানে যারা কনস্ট্রাকশন এর কাজ করে থাকেন তারা প্রতিমাসে ৪০০ থেকে ৫০০ মানত বেতন পেয়ে থাকে। 

আজারবাইজানের সব থেকে বেশি বেতন পেয়ে থাকে ড্রাইভিং ভিসার কর্মরত ব্যক্তিরা। তারা প্রতি মাসে ৭০০ থেকে ৮০০ মানত বেতন পেয়ে থাকে। যারা হোটেল ও রেস্টুরেন্টে কাজ করে থাকেন তারা প্রতি মাসে ১৯০০ থেকে ২০০০ মানত প্রতিমাসে বেতন পেয়ে থাকেন।

আজারবাইজান টাকার মান | আজারবাইজান মুদ্রার নাম কি

আজারবাইজানে মুদ্রা কে মানত বলা হয়ে থাকে। বর্তমানে আজারবাইজানের এক মানাত সমান বাংলাদেশি ৬৪.৭১ টাকার কাছাকাছি। আজারবাইজানের ১০০০ মানাত সমান বাংলাদেশী ৬৪৭০ টাকা।

উপসংহার

আজারবাইজান এশিয়ার মধ্যে অর্থনৈতিক দিক থেকে শক্তিশালী একটি দেশ। আজারবাইজানে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে দক্ষতা অনুযায়ী কাজের জন্য আবেদন করা যায়। তাহলে খুব কম সময়ে আজারবাইজান যাওয়া সম্ভব হবে। 

এ বিষয়ে যদি আরো কর প্রশ্ন থাকে বা আজারবাইজান কাজের ভিসা নিয়ে আরো কিছু জানতে চান তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বর্তমান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url