কসোভো বেতন কত - কসোভো কাজের ভিসা
কসোভো দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের একটি দেশ। বর্তমানে বিশ্বের যত উন্নয়নশীল দেশ রয়েছে তাদের মধ্যে কসোভো অন্যতম। বাংলাদেশ থেকে কসোভোতে কাজের ভিসায় খুব সহজেই যাওয়া যায়। কসোভেতে কাজের দারুন সব সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি হওয়ায় এখন অনেকেই কাজের উদ্দেশ্যে সেখানে যাচ্ছেন।
![]() |
কসোভো |
আজকের আর্টিকেলটিতে কসোভো কাজের ভিসা পাওয়ার উপায়, কসোভো যেতে কত টাকা লাগে ও কসোভো কাজের বেতন কত এই নিয়ে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাকঃ
কসোভো কাজের ভিসা পাওয়ার উপায় | কসোভো ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে খুব সহজেই কসোভো যাওয়া যাবে। কসোভো ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া খুবই সহজ। যেহেতু বাংলাদেশের কসোভো এম্বাসি চালু হয়েছে তাই যেকোনো ব্যক্তি চাইলে এম্বাসিরর মাধ্যমে অল্প সময়ের মাধ্যমেই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করে নিতে পারবেন। এম্বাসির মাধ্যমে ভিসা আবেদন করলে দুই থেকে চার মাসের মধ্যেই কসোভো ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেয়ে যাবেন।
যারা সরকারিভাবে বাংলাদেশ থেকে কসোভো যেতে চান তাদের এই ক্ষেত্রে সময় কিছুটা বেশি লাগতে পারে। তাছাড়া বাংলাদেশে অনেক সরকারি এজেন্সি রয়েছে যারা বিভিন্ন দেশে যাওয়ার জন্য ভিসা দিয়ে থাকে তাদের সাথে যোগাযোগ করে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই কসোভো ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেয়ে যাবেন।
তবে দালালের মাধ্যমে কসোভো না যাওয়াটাই ভালো হবে কেননা দালালের মাধ্যমে কসোভো গেলে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। কসোভো ভিসা যারা করতে চান তারা চাইলে অনলাইন এর মাধ্যমে খুব সহজেই আবেদন করতে পারবেন।
কসোভোর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে উক্ত ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে। অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করা যদি ঝামেলার মনে হয়ে থাকে তাহলে সরাসরি এম্বাসিতে গিয়ে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার শর্তাদি পূরণ করে আবেদন করতে পারেন।
কসোভো যেতে কত টাকা লাগে | কসোভো কাজের ভিসা কত টাকা
কসোভোতে যারা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে চান তাদেরকে ভিসা আবেদনের জন্য ৬০ ইউরো আবেদন ফি দেওয়া লাগে। তারপরে আরো আনুষাঙ্গিক অনেক খরচ রয়েছে। যারা এম্বাসির মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করে যেতে চান তাদের ৬ থেকে ৭ লাখ টাকার মতো খরচ হতে পারে বিমান ভাড়া সহ সবকিছু মিলিয়ে।
যদি কেউ কসম হতে সরকারি ভাবে যেতে চান তাহলে তার খরচের পরিমাণ অনেক কমবে এই ক্ষেত্রে তিন থেকে চার লাখ টাকা হলেই কত হতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে চলে যেতে পারবেন। অনেক ক্ষেত্রে টাকার পরিমাণ তার থেকেও কম লাগতে পারে।
তবে কোন এজেন্সির মাধ্যমে কসোভো ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করলে ৯ থেকে ১০ লক্ষ টাকা খরচ আসতে পারে। কসোভো ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করার জন্য সবথেকে বেশি খরচ হয় দালালের মাধ্যমে গেলে।
কসোভোতে কোন কাজের চাহিদা বেশি?
কসোভোতে যাওয়ার আগে অবশ্যই কসম হতে কোন কাজের চাহিদা বেশি বা বর্তমানে বাঙালিরা কসোভোতে গিয়ে কি ধরনের কাজ করে এই বিষয়ে কিছুটা ধারণা নিতে হবে। কসোভোতে কনস্ট্রাকশন ও ফ্যাক্টরি কাজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
বেশিরভাগ বাঙালি যারা কসোভেতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যায় তারা এই কাজগুলো করে থাকেন। তাছাড়া কসভোতে গ্রীষ্ম কালের দিকে রেস্টুরেন্টের কাজের উপর ভালো চাহিদা থাকে। কেননা এই দেশটা অনেক সুন্দর হওয়ায় বিশ্বের অনেক দেশ থেকে প্রচুর পরিমাণ পর্যটক ঘোরাঘুরির উদ্দেশ্যে এখানে এসে থাকেন।
কসোভো বেতন কত?
ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় কসোভোতে বেতনের পরিমাণ অনেকটাই কম। কসোভোতে যারা প্রথম অবস্থায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যান তারা প্রতি মাসে ৩০০ থেকে ৪০০ ইউরো বেতন পেয়ে থাকেন।
যা বাংলাদেশী টাকায় হিসেব করলে ৩৫ হাজার টাকা থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকার মধ্যে। তাছাড়া সেখানে পরবর্তীতে কাজের অভিজ্ঞতা বাড়ার পাশাপাশি বেতনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। বেতনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলেও কসভোতে সরকারি ট্যাক্স ব্যতীত কিছু টাকা কেটে নেওয়া হয় যার কারণে বেতন অনেকটা কমে যায়।
কসোভো সর্বনিম্ন বেতন কত?
কসভোতে যারা ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় নতুন যাচ্ছেন তাদের প্রথম অবস্থায় সর্বনিম্ন বেতন দেওয়া হয় ২৬৪ ইউরো।যা বাংলাদেশী টাকায় হিসেব করলে ৩১ হাজার থেকে ৩২ হাজার টাকার মধ্যে।
কসোভোর মুদ্রার নাম কি | কসোভো ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা
কসোভোর মুদ্রার নাম কি বা কসোভোর টাকার মান কত কসোভো যাওয়ার আগে অবশ্যই এটা সম্পর্কেও জানতে হবে। কসোভোর মুদ্রার নাম হল ইউরো। বর্তমানে কসোভোর ১ ইউরো সমান বাংলাদেশী ১২০ টাকার কাছাকাছি। কসোভোর ১০০ ইউরো সমান বাংলাদেশি ১২ হাজার টাকার কাছাকাছি।
কসোভো কি সেনজেন দেশ?
কসোভো ইউরোপের দেশ হলেও কত বছর এখনো সেনজেনভুক্ত দেশ হয়ে ওঠেনি। সেনজেন ভুক্ত দেশের তালিকায় এখনো কসোভোর নাম নেই।
বর্তমান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url