আর্জেন্টিনা ভিসা বাংলাদেশ - আর্জেন্টিনা যেতে কত টাকা লাগে

আর্জেন্টিনাকে আমরা অনেকেই ফুটবলের দেশ হিসেবে চিনে থাকি। অনেকেই আর্জেন্টিনাতে বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে বা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যেতে চান। তখন আর্জেন্টিনা ভিসা করার প্রয়োজন হয়ে থাকে। ধরুন আপনি একজন বাংলাদেশী নাগরিক আপনি আর্জেন্টিনা ভ্রমণ করতে চান তাহলে আপনাকে ভিসা করতে হবে।
আর্জেন্টিনা
আর্জেন্টিনা
অতীতে আর্জেন্টিনা ভিসা পাওয়ার তেমন পদ্ধতি না থাকলেও বর্তমানে আর্জেন্টিনা দূতাবাস চালু হওয়ার কারণে এখন অনেকেই আর্জেন্টিনা ভ্রমণের জন্য ভিসা পাচ্ছে বাংলাদেশ থেকেই ।অনেকের কিছুদিন আগে বিনা ভিসাতেও আর্জেন্টিনা ভ্রমণের সুযোগ হয়েছে। 

তাই আজকের পোস্টে আর্জেন্টিনা ভিসা পাওয়ার উপায় ও আর্জেন্টিনা ভিসা পেতে কত টাকা লাগে সেই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করবো।তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাকঃ

আর্জেন্টিনা ভিসা পাওয়ার উপায়?

আর্জেন্টিনা তে যাওয়ার জন্য অনেক ধরনের ভিসা রয়েছে। নিচে ভিসার ধরন তুলে ধরা হলোঃ
  • স্বল্প মেয়াদী ভিসা
  • দীর্ঘমেয়াদী ভিসা
  • স্বল্প মেয়াদী ভিসা
আর্জেন্টিনায় স্বল্প মেয়াদী ভিসা প্রদান করা হয়ে থাকে। এই সকল ভিসা গুলো কেউ চাইলে ভ্রমণ বা তার ব্যবসার কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে এই ভিসা ব্যবহার করে আর্জেন্টিনায় গিয়ে কোন ধরনের কাজে নিয়োজিত হওয়া যায় না। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ভিসার নাম নিচে তুলে ধরা হলোঃ
  • আর্জেন্টিনা টুরিস্ট ভিসা
  • আর্জেন্টিনার ট্রানজিট ভিসা
  • আর্জেন্টিনা বিজনেস ভিসা

আর্জেন্টিনা টুরিস্ট ভিসা?

ভ্রমণের উদ্দেশ্যে আর্জেন্টিনা যেতে হলে অবশ্যই আর্জেন্টিনা টুরিস্ট ভিসার প্রয়োজন হবে। আর্জেন্টিনা টুরিস্ট ভিসায় গিয়ে নির্দিষ্ট একটি সময় পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করতে পারবেন এবং পরবর্তীতে আবার ব্যাক আসতে হবে। আর্জেন্টিনা এম্বাসি থেকে সরাসরি গিয়ে তাদের শর্তাদি পূরণ করে আর্জেন্টিনা টুরিস্ট ভিসা পেতে পারেন।

আর্জেন্টিনা ট্রানজিট ভিসা?

ট্রানজিট ভিসা হচ্ছে এমন এক ধরনের ভিসা যে ভিসাটির উদ্দেশ্য হচ্ছে অন্য দেশে যাওয়ার সময় স্বল্প সময় ওই দেশে থাকার ভিসা। ট্রানজিট ভিসার মেয়াদ সাধারণত কয়েক সপ্তাহ থেকে শুরু করে কয়েক দিন পর্যন্ত হতে পারে। এই ভিসার মাধ্যমে কখনোই দীর্ঘদিন আর্জেন্টিনায় অবস্থান করা যাবে না।

আর্জেন্টিনা বিজনেস ভিসা?

ব্যবসায়িক কাজের জন্য যদি আর্জেন্টিনা তে ঘন ঘন যাওয়ার প্রয়োজন হয়ে থাকে তাহলে আর্জেন্টিনা বিজনেস ভিসা করা যেতে পারে। তবে আর্জেন্টিনা বিজনেস ভিসা করার জন্য প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ কিছু ডকুমেন্ট তাদেরকে দেখাতে হবে তারপর আর্জেন্টিনা বিজনেস ভিসাটি নিতে পারবেন। তাছাড়া আর্জেন্টিনা বিজনেস ভিসা নেওয়ার প্রক্রিয়া অনেকটা কঠিন যার মাধ্যমে সবাই নিতে পারবেন না।

দীর্ঘ মেয়াদী ভিসা?

আর্জেন্টিনাতে দীর্ঘমেয়াদি  ভিসার মধ্যে রয়েছে কাজের উদ্দেশ্যে যাওয়া, পড়াশোনার জন্য যাওয়া ও পরিবারের সদস্যদের সাথে সময় কাটানোর জন্য যাওয়া। নিচে আর্জেন্টিনার দীর্ঘমেয়াদীর ভিসার নাম উল্লেখ করা হলোঃ
  • স্টুডেন্ট ভিসা
  • ম্যারেজ ভিসা
  • ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

আর্জেন্টিনা স্টুডেন্ট ভিসা?

আর্জেন্টিনা স্টুডেন্ট ভিসায় গিয়ে সেখানে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত পড়াশোনা করা যাবে।আর্জেন্টিনা স্টুডেন্ট ভিসায় গিয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের কাজ করে টাকা ইনকাম করে থাকেন।কোর্সের মেয়াদ কালের ওপর স্টুডেন্ট ভিসায় থাকার সময়সীমা নির্ভর করে থাকে।

আর্জেন্টিনা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা?

আর্জেন্টিনাতে গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য অন্য দেশ থেকে লোক নিয়োগ করার প্রয়োজন পড়ে তখন আর্জেন্টিনা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দেওয়া হয়। আর্জেন্টিনা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কে কাজের ভিসা হিসাবে অনেকে চিনে থাকেন। 

আর্জেন্টিনা তে যাওয়ার জন্য লোক নিয়োগ দিলে আর্জেন্টিনা এম্বাসি থেকে খুব সহজেই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সংগ্রহ করা যাবে। উপরে উক্ত ভিসা ক্যাটাগরি গুলোর মধ্যে সেটা টার্গেট করে সময় অনুযায়ী ভিসা আবেদন অফিস থেকে ভিসা আবেদন ফরমটি সংগ্রহ করে আনতে হবে। 

তাছাড়া কেউ যদি চায় তাহলে আবেদন ফরমটি ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে খুব সহজেই পূরণ করতে পারবেন। তাছাড়া আর্জেন্টিনা ভিসা পাওয়ার জন্য আরো কিছু শর্তাদি রয়েছে। যেমনঃ
  • পাসপোর্টে নূন্যতম ছয় মাসের বেশি মেয়াদ থাকতে হবে।
  • সম্প্রতি তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি জমা দিতে হবে।
  • আর্জেন্টিনায় থাকার জন্য ব্যাংকে অনেক বেশি পরিমাণে টাকা থাকা লাগবে বা ভালো ব্যাংক স্টেটমেন্ট থাকা লাগবে।

আর্জেন্টিনা এক টাকা বাংলাদেশের কত টাকা?

অনেকেই আর্জেন্টিনার টাকার মান সম্পর্কে জানতে চাই। আর্জেন্টিনার স্থানীয় মুদ্রার নাম হচ্ছে পেসো। আর্জেন্টিনার পেসো সমান বাংলাদেশি  ০.৪৭ টাকা।আর্জেন্টিনার একশ পেশো সমান বাংলাদেশি টাকা ৪৭.২৭ টাকা।

আর্জেন্টিনা যেতে কত টাকা লাগে?

আর্জেন্টিনা যেতে কত টাকা লাগবে বা আর্জেন্টিনা ভিসা ফি কত টাকা এটা সঠিকভাবে বলা কোনভাবে সম্ভব নয়। কেননা এগুলোর রেট সকল সময় কম বেশি হয়ে থাকে। তাছাড়া যেহেতু আর্জেন্টিনার অনেক ধরনের ভিসা ক্যাটাগরি রয়েছে তাই ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী টাকার পরিমান কম বেশি হতে পারে। তাই সরাসরি এম্বাসি থেকে কোন ভিসা করতে চান এবং সেটা খরচ কেমন হবে জেনে নিতে পারেন।

বাংলাদেশ থেকে আর্জেন্টিনা বিমান ভাড়া কত?

বাংলাদেশ থেকে আর্জেন্টিনায় বিমানে করে ভ্রমণ করলে ২৫ ঘন্টার বেশি সময় লেগে থাকে। অর্থাৎ একদিনের বেশি সময় লাগে। তাহলে অবশ্যই বুঝতে পারছেন যে বাংলাদেশ থেকে আর্জেন্টিনা বিমান ভাড়া একটু বেশিই হবে। বাংলাদেশ থেকে আর্জেন্টিনায় যেতে ১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিমান ভাড়া আসতে পারে।

শেষ কথা, আশা করি আজকের পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আর্জেন্টিনার যাওয়ার উপায় ও আর্জেন্টিনা ভিসা কিভাবে করতে হয় এই বিষয়ে মোটামুটি ধারণা পেয়েছেন। তারপরেও যদি পোস্টটি পড়ে কোন বিষয় সম্পর্কে বুঝবেন কোন ধরনের অসুবিধা হয়ে থাকে বা এই নিয়ে কোন ধরনের প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বর্তমান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url