ব্রাজিল ভিসা বাংলাদেশ - ব্রাজিল যেতে কত টাকা লাগে

ব্রাজিলকে আমরা অনেকেই ফুটবলের দেশ হিসেবে চিনে থাকি।ফুটবলের দেশ ছাড়াও ব্রাজিলের রয়েছে অনেক ঐতিহ্য ও ইতিহাস।কেননা বিশ্বের সবথেকে বড় আমাজন জঙ্গলের বেশিরভাগ অংশই ব্রাজিলে অবস্থিত। বিশ্বের অনেক দেশ থেকে প্রতিবছর অসংখ্য লোক ব্রাজিলে আসেন।

ব্রাজিল
ব্রাজিল
আজকের পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে জানতে পারবেন ব্রাজিল যাওয়ার উপায় ও কোন ভিসার মাধ্যমে ব্রাজিল যাওয়া যায়,ব্রাজিল ভিসা পেতে কত টাকা খরচ হতে পারে এই বিষয়ে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাকঃ

ব্রাজিল যাওয়ার উপায়?

ব্রাজিল যাওয়ার সবথেকে সহজ উপায় হচ্ছে টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যাওয়া।তাছাড়া ব্রাজিলে আরো কয়েক ধরনের ভিসা নিয়ে যাওয়া যায়। তবে এই ভিসা গুলো সকল সময় পাওয়া যায় না যার কারণে অনেকেই টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করে থাকেন।

বাংলাদেশ থেকে ব্রাজিল যেতে হলে টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে খুব সহজেই যাওয়া যাবে। নিচে বাংলাদেশ থেকে ব্রাজিল কাজের ভিসা ও টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে কিভাবে যাওয়া যায় এই বিষয়ে কিছুটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করা হলোঃ

ব্রাজিল টুরিস্ট ভিসা?

ব্রাজিলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য ও বেড়ানোর জন্য যেতে হলে অবশ্যই ব্রাজিল টুরিস্ট ভিসা করতে হবে। ব্রাজিল  টুরিস্ট ভিসার মেয়াদকাল ৩০ দিন থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৯০ দিন পর্যন্ত হয়ে থাকে।

ব্রাজিল টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার জন্য কোন ধরনের যোগ্যতা লাগবে ও কি কি ডকুমেন্ট লাগবে তার নিচে তুলে ধরা হলোঃ
  • ব্রাজিল ভিসার আবেদনপত্র লাগবে।
  • আবেদনকারী ব্যক্তির পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে।
  • আবেদনকারি ব্যক্তির পাসপোর্ট লাগবে এবং পাসপোর্টে অন্যতম ৬ মাসের মেয়াদ থাকতে হবে।
  • আবেদন কারী ব্যক্তির ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রয়োজন হবে।
এই গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টগুলো নিয়ে সরাসরি দূতাবাসের মাধ্যমে ব্রাজিল টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে। তবে তারা আরো কিছু ডকুমেন্টস চাইতে পারে সেগুলো দেওয়া লাগতে পারে।

ব্রাজিল কাজের ভিসা?

ব্রাজিল কাজের ভিসাতে খুবই কম লোক নেওয়া হয়ে থাকে। অনেক সময় জরুরী কাজের জন্য ব্রাজিল সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে লোক নিয়োগ দেয়।নিয়োগকৃত সময়ের মধ্যে যেকোনো ব্যক্তি চাইলে সরাসরি ব্রাজিল দূতাবাসে গিয়ে তাদের শর্তাদি অবলম্বন করে ব্রাজিল কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। 

অর্থাৎ ব্রাজিলের দূতাবাসে গিয়ে সরাসরি আবেদনপত্রের সাথে গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে তারপরে তারা সবকিছু যাচাই-বাছাই করবে। ভেরিফাই করার পরে যদি তাদের মনে হয় তাহলে তারা ভিসা প্রদান করবে।

বাংলাদেশে ব্রাজিল দূতাবাসের ঠিকানা?

কোন ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই যদি ব্রাজিল ভিসা পেতে চান তাহলে সরাসরি ব্রাজিল দূতাবাসে গিয়ে ভিসার আবেদন করতে পারেন।বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে ব্রাজিলের দূতাবাস রয়েছে। 

ব্রাজিল দূতাবাসের ঠিকানা হচ্ছে 4th Floor,House 9,Avenue 1212,Road 142,Dhaka।ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে চাইলে সরাসরি 02-9887667 নাম্বারটিতে কল করতে পারেন।

ব্রাজিল যেতে কত টাকা লাগে?

বাংলাদেশ থেকে ব্রাজিল যাওয়ার খরচ কত বা ব্রাজিল যেতে কত টাকা লাগে এই নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন রয়েছে।সাধারণত ব্রাজিল যাওয়ার জন্য কেমন খরচ হবে এটা অনেক বিষয়ের উপর নির্ভর করে থাকে। অর্থাৎ আপনি ব্রাজিলের কোন ধরনের ভিসা নিয়ে যাচ্ছেন, সেখানে কতদিন অবস্থান করবেন, কোন এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা করছেন। 

সব থেকে ভালো হবে সরাসরি ঢাকাতে অবস্থিত ব্রাজিল দূতাবাসে গিয়ে কথা বলে কত টাকা কোন ভিসার জন্য খরচ হবে সেটা জেনে নেওয়া। তাহলে অতিরিক্ত কোন দালালকে অর্থ দিতে হবে না বা বাড়তি খরচ বহন করতে হবে না।

ব্রাজিলের মুদ্রার নাম কি?

প্রত্যেক দেশের মুদ্রার নিজস্ব একটি নাম রয়েছে। বাংলাদেশের মুদ্রা কে যেমন টাকা বলা হয়, ভারতের মুদ্রাকে যেমন রুপি বলা হয়, তেমনি ব্রাজিলের মুদ্রা কে রিয়েল বলা হয়ে থাকে।বর্তমানে ব্রাজিলের এক রিয়েল সমান বাংলাদেশী ২১ টাকার সমান।ব্রাজিলের ১০০ রিয়েল সমান বাংলাদেশি ২১৪০ টাকার কাছাকাছি।

শেষ কথা, আশা করি ব্রাজিল কিভাবে যাওয়া যায় বা বাংলাদেশ থেকে ব্রাজিল যাওয়ার উপায় সম্পর্কে ইতিমধ্যে জানা হয়ে গিয়েছে। তাই যদি লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলের ইতিহাস ও ঐতিহ্য বা অন্য কোন কারণে যাওয়ার ইচ্ছা থেকে থাকে তাহলে উপরের পদ্ধতি অবলম্বন করে যেতে পারেন।

তারপরেও যদি এই নিয়ে কোন ধরনের প্রশ্ন থেকে থাকেন বা পোস্টটি পড়ে কোন বিষয় সম্পর্কে বুঝতে অসুবিধা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বর্তমান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url