মালয়েশিয়ায় কোন কাজের চাহিদা বেশি - মালয়েশিয়া ভিসার দাম কত

মালয়েশিয়া দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশ। মালয়েশিয়া প্রায় সময়ই তাদের দেশের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য ব্যাপক শ্রমশক্তি নিয়োগ দিয়ে থাকে। মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার দীর্ঘ কয়েক বছর বন্ধ থাকার পর আবারো চালু হয়েছিল। 
মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়া
অনেকে ইন্টারনেটে মালয়েশিয়া ভিসা কবে খুলবে ২০২৪ এবং এই ভিসার মাধ্যমে মালয়েশিয়াতে কি ধরনের কাজ পাওয়া যাবে ও সেই সকল কাজের সুযোগ সুবিধা কিরকম হবে এই নিয়ে প্রশ্ন করে থাকেন। তাই আজকের পোস্টে এই বিষয়গুলো নিয়ে মোটামুটি ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাকঃ

মালয়েশিয়া ভিসা কবে খুলবে ২০২৪?

অনেকেই হয়তো জানেন যে মধ্যে মালয়েশিয়া তে বাংলাদেশী কর্মী নেওয়া একেবারেই বন্ধ করে দিয়েছিল। অর্থাৎ বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে শ্রমিক নেওয়ার জন্য একটি অবৈধ সিন্ডিকেট কাজ করছিল সেটাকে বন্ধ করার জন্য মালয়েশিয়া সরকার এই ঘোষণা দিয়েছিল। 

অবশেষে তিন বছর পর ২০২১ এর শেষের দিকে মালয়েশিয়া আবার পুনরায় কলিং চালু করে। মালয়েশিয়া সরকারের সাথে বাংলাদেশের সমঝোতা স্বাক্ষর হওয়ার পর মালয়েশিয়া সরকার আবার বাংলাদেশ থেকে পুনরায় লোক নেওয়া শুরু করে।

তবে এর আগে মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশী কর্মীদের ওপর এতটাই বিরক্ত হয়ে গিয়েছিল যাদের কার্ড রয়েছে তাদেরকেও তারা মালয়েশিয়া থেকে ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছিল। অর্থাৎ তারা এমন একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে বাংলাদেশী কোন কর্মী মালয়েশিয়াতে কাজের জন্য রাখবে না।

তবে এখন আবার মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশী কর্মী নেওয়া শুরু হয়েছে। মালয়েশিয়াতে দক্ষ জনশক্তির অভাব হওয়ার কারণে আবার নতুন করে এই নিয়োগটা চালু হয়েছে। মালয়েশিয়া ভিসা চালু হওয়ার পর বাংলাদেশি কর্মীরা দারুন কিছু কাজের সুযোগ সুবিধা পাবেন।

মালয়েশিয়ায় কি কি কাজ আছে?

নতুন করে মালয়েশিয়াতে যাওয়ার জন্য ভিসা চালু হওয়ার পর অনেকেই প্রশ্ন করছেন মালয়েশিয়ায় কি কি কাজ রয়েছে। অর্থাৎ উক্ত ভিসাগুলোতে গিয়ে মালয়েশিয়া তে বাংলাদেশী কর্মীরা কি ধরনের কাজ করতে পারবে তা জানতে চাচ্ছেন। নিচে এই বিষয়ে কিছুটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করা হলোঃ

ফ্যাক্টরিতে কাজের জন্য

মালয়েশিয়াতে অনেক সরকারি বেসরকারি ফ্যাক্টরি রয়েছে যারা নির্মাণাধীন বিভিন্ন ধরনের শিল্প নির্মাণ করে থাকে।মালয়েশিয়াতে ফ্যাক্টরি ভিসা বা কোম্পানির ভিসার সুবিধা নিয়ে যারা যাবেন তারা এই ধরনের কাজ করতে পারবেন। এই ধরনের কাজে ভালো বেতন পাওয়া যায় ও সুযোগ সুবিধা অনেক বেশি থাকে।

কৃষি ক্ষেত্রে কাজের জন্য

কৃষি কাজের জন্য মালয়েশিয়া সরকার প্রচুর সংখ্যক লোক সারা বিশ্ব থেকে নিয়ে থাকেন।মালয়েশিয়াতে পাম বাগানের যে কাজগুলো রয়েছে সেগুলো কৃষি ভিসার মধ্যে পড়ে। বাংলাদেশ থেকে কৃষি ভিসা নিয়ে খুব সহজেই মালয়েশিয়ায় এসে এই ধরনের কাজ করা যাবে। পাম বাগানের কাজের খুবই ভালো বেতন দেওয়া হয়ে থাকে।

বিভিন্ন সেবামূলক কাজের জন্য

মালয়েশিয়াতে অনেক সেবামূলক ক্ষেত্র রয়েছে। যেমন রেস্টুরেন্ট, হোটেল, রিসোর্ট এই সকল স্থানে কাজ করার জন্য প্রচুর কর্মী প্রয়োজন হয়ে থাকে। 

মালয়েশিয়াতে বর্তমানে হোটেল রিসোর্টের ব্যবসা গুলো ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।তাই এই সকল সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলো তদারকি করার জন্য বাংলাদেশ থেকে প্রচুর লোক নেওয়া হচ্ছে।

মালয়েশিয়ায় কোন কাজের চাহিদা বেশি?

মালয়েশিয়া ভিসা কবে খুলবে ইতিমধ্যে জানা হয়ে গিয়েছে এবার জানতে হবে মালয়েশিয়ায় কোন কাজের চাহিদা বেশি। মালয়েশিয়াতে অনেক ধরনের কাজের জন্য মালয়েশিয়া সরকার ভিসা দিচ্ছে। তবে মালয়েশিয়ার এই সকল ভিসা গুলোর মধ্যে সবথেকে বেশি সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা। 

মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসাতে ভালো বেতনের পাশাপাশি চিকিৎসা সহ যাবতীয় খরচ কোম্পানি বহন করে থাকে। তাছাড়া তারা কর্মীদেরকে একটি নির্দিষ্ট সময় পর ছুটি দিয়ে থাকেন দেশে আসার জন্য।তাই বাংলাদেশ থেকে যদি মালয়েশিয়াতে কাজের জন্য যেতে চান তাহলে মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা করতে পারেন।

মালয়েশিয়ায় ভিসা নিয়ে কারা যেতে পারবে?

মালয়েশিয়াতে যাওয়ার জন্য অনেক বেশি শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগে না। ইউরোপের অনেক দেশে রয়েছে যে সকল দেশগুলোতে কাজের জন্য যেতে হলেও নূন্যতম এসএসসি পাস করতে হয়। কিন্তু মালেশিয়াতে আপনি জীবনে পড়াশোনা না করলেও যেতে পারবেন। 

কেন তারা কোন ধরনের শিক্ষা সনদপত্র চায় না।  আপনার কাছে যদি বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসা থেকে থাকে তাহলে খুব সহজেই মালেশিয়াতে কাজের জন্য যেতে পারবেন।

মালয়েশিয়া ভিসার খরচ কত /মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগবে?

মালয়েশিয়া ভিসার খরচ কত বা মালয়েশিয়ায় কোন ভিসার জন্য কত টাকা খরচ হয়ে থাকে এই নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন রয়েছে। ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছেন মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য অনেক ধরনের ভিসা দেওয়া হয়ে থাকে। 

ভিসার ধরন ভেদে খরচের পরিমাণটা কম বেশি হয়ে থাকে। মালয়েশিয়ার কোন ক্যাটাগরির ভিসার জন্য বর্তমানে কত টাকা খরচ নেওয়া হচ্ছে তা নিচে উল্লেখ করা হলো:

মালয়েশিয়া ফ্রি ভিসা খরচ কত?

মালয়েশিয়াতে ফ্রি ভিসা পাওয়া অনেক সহজ। মালয়েশিয়া ফ্রী ভিসা হচ্ছে এমন এক ধরনের ভিসা যার মাধ্যমে আপনাকে কারো আয়ত্তে কাজ করতে হবে না। অর্থাৎ আপনি স্বাধীনভাবে মালেশিয়াতে যেকোনো ধরনের কাজ করতে পারবেন এই ফ্রি ভিসার মাধ্যমে। 

বর্তমানে মালয়েশিয়া ভিসার জন্য পাসপোর্ট করা থেকে শুরু করে টোটালি মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকার মতো খরচ হচ্ছে।

মালয়েশিয়া কৃষি ভিসা খরচ কত?

মালয়েশিয়া কৃষি ভিসায় গিয়ে বাংলাদেশী কর্মীরা কৃষিকাজ করতে পারবেন।কৃষি কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে পাম বাগানে কাজ করা, বাগান দেখাশোনা করা আরো অনেক ধরনের কাজ রয়েছে। 

যারা মালয়েশিয়াতে পাম ফলের বাগানে কাজ করে থাকেন তারা বাংলাদেশের টাকা ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা বেতন পেয়ে থাকেন। বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া কৃষি ভিসা নিয়ে যেতে হলে চার লক্ষ টাকার মতো খরচ পড়ে থাকে।

মালয়েশিয়া হোটেল ভিসা খরচ কত?

মালয়েশিয়াতে হোটেল ভিসায় গিয়ে এখন ভালো বেতন পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে মাত্র তিন লক্ষ টাকা খরচ করলেই মালয়েশিয়া হোটেল ভিসা পাওয়া যাচ্ছে। রেস্টুরেন্ট, হোটেল, এবং সৌন্দর্যমন্ডিত রিসোর্টে এই ভিসায় গিয়ে কাজ করতে পারবেন।

মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা খরচ?

কেউ যদি ব্যক্তিগত বা ভ্রমণ ভিসায় মালয়েশিয়া যেতে চান তাহলে টুরিস্ট ভিসা করে টিকিট কেটে যেতে হবে। এয়ার লাইন্সের ওপরে ভিত্তি করে টিকিটের দাম কম বেশি হয়ে থাকে। ঢাকা থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য হবে এয়ার এশিয়া, বাংলাদেশ বিমান, ইউ এস বাংলা, ইউনাইটেড এয়ার, রিজেন্ট এয়ার ওয়েজ এই সকল এয়ারলাইন্সের টিকিট কাটতে পারেন। 

একজন ব্যক্তির মালয়েশিয়ার যাওয়া আসার টিকিটের দাম পড়বে ২২ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩৬ হাজার টাকার মধ্যে। আর টুরিস্ট ভিসাটি আপনি চাইলে সরাসরি এজেন্সির মাধ্যমে করে নিবেন।

মালয়েশিয়া ভিসা প্রসেসিং এজেন্ট লিস্ট বাংলাদেশ?

বাংলাদেশে মালয়েশিয়া ভিসা প্রসেসিং করার জন্য অনেক এজেন্সি রয়েছে। এরা সরকার প্রদত্ত লাইসেন্সকৃত এজেন্সি। এদের মাধ্যমে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য যেকোনো ধরনের ভিসা খুব সহজেই প্রসেসিং করে নেওয়া যায়। 

অর্থাৎ মালয়েশিয়া ভিসা করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল কাজ তারা করে দিয়ে থাকে। নিচে কিছু এজেন্টের তালিকা ফোন নাম্বার সহ দেওয়া হলোঃ
  • International Travel Corporation। ঢাকা, গুলশান -ফোন নাম্বার +88 01766194500।
  • ট্রাভেল শপ লিমিটেড -ঢাকা গুলশান। ফোন নাম্বার-+88 02-9852491, Ext: 122,+88 01879445566।
  • সাইমন ওভারসিজ।গুলশান, ঢাকা। ফোন নাম্বার -+88 02-9882273,+880-1840999968।
  • লজিস্টিক ট্রাভেলস এন্ড টুর লিমিটেড। ঢাকা মতিঝিলে অবস্থিত। ফোন নাম্বার +88 01766194500।

মালয়েশিয়ার নতুন ভিসা কতদিনের জন্য হবে?

মালয়েশিয়া সরকার যে নতুন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দিয়েছে এই ভিসার মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ দুই বছর। তবে পরবর্তীতে কেউ চাইলে মালিকানা পরিবর্তন করে অথবা কাজের ধরন পরিবর্তন করে আরো বেশি মেয়াদ বাড়িয়ে নিতে পারবেন।

মালয়েশিয়া কাজের বেতন কত?

বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া সরকার নতুনভাবে যে লোক নিয়োগ শুরু করেছে তাদের বেতন আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। বর্তমানে মালয়েশিয়া তে কাজের সর্বনিম্ন বেতন হচ্ছে ১৪০০ রিংগিত। 

অর্থাৎ মালয়েশিয়াতে আপনি যে ধরনের কাজই করুন না কেন সর্বনিম্ন আপনাকে ১৩০০-১৪০০ রিংগিত বেতন দেওয়া লাগবে।যা সাধারণত বাংলাদেশী টাকায় ৩০ হাজার টাকার উপরে আসতেছে।

মালয়েশিয়া ইলেকট্রনিক কাজের বেতন কত?

মালয়েশিয়া ইলেকট্রনিক কাজের বেতন  ২২০০ থেকে ২৫০০ রিঙ্গিত দেওয়া হয়ে থাকে। তাহলে অবশ্যই বুঝতে পারছেন এখানে বাংলা টাকা ৪৫০০০ থেকে ৫৫ হাজার টাকার উপরে। 

তাছাড়া মালেশিয়া ইলেক্ট্রনিক কাজের ওভারটাইমের সুযোগ সুবিধা রয়েছে যেখান থেকে আয় করা যাবে। একজন দক্ষ ইলেকট্রনিক কর্মী প্রতি মাসে মালয়েশিয়াতে ইলেকট্রনিক কাজের মাধ্যমে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা সহজেই ইনকাম করতে পারবেন।

মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি কাজের বেতন কত?

মালয়েশিয়াতে ফ্যাক্টরি কাজের রয়েছে দারুন সুযোগ সুবিধা। যারা মালয়েশিয়ার বিভিন্ন দিতে কাজ করে থাকেন তাদের বেতন ১৮০০ রিংগিত থেকে শুরু করে ২৫০০ রিঙ্গিত পর্যন্ত দেওয়া হয়ে থাকে।

বাংলাদেশ থেকে অধিকাংশ শ্রমিক মালয়েশিয়াতে ফ্যাক্টরি কাজের জন্য যায়।মালয়েশিয়াতে যদি ফ্যাক্টারি কাজের পাশাপাশি ওভারটাইম কিছু কাজ করা যায় তাহলে অনায়াসেই এখান থেকে মাসে ৮০ হাজার টাকা ইনকাম করা যায়।

মালয়েশিয়া কৃষি কাজের বেতন কত?

মালয়েশিয়াতে কৃষি কাজের সর্বনিম্ন বেতন ১৪০০ রিঙ্গিত। তবে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বেতন ২০০০ রিঙ্গিত থেকে শুরু করে ৩০০০ রিঙ্গিত পর্যন্ত হতে পারে। 

তাই যদি আপনি একজন কৃষি কাজে দক্ষ ব্যক্তি হয়ে থাকেন তাহলে মালয়েশিয়াতে কৃষি কাজ করার মাধ্যমে প্রতি মাসে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা অনায়াসেই ইনকাম করতে পারবেন।

মালয়েশিয়া কনস্ট্রাকশন কাজের বেতন কত?

মালয়েশিয়া কনস্ট্রাকশন কাজের জন্য বেতন ২০০০ রিংগিত থেকে শুরু করে ২৫০০ রিঙ্গিত পর্যন্ত দেওয়া হয়ে থাকে। তাছাড়া এক্ষেত্রে কর্মীরা চাইলে ওভারটাইম করে আরও বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

একজন ভালো দক্ষ কনস্ট্রাকশন কর্মী খুব সহজেই মালয়েশিয়াতে কনস্ট্রাকশনের কাজ করে ৭০ হাজার টাকা মাসে ইনকাম করতে পারবেন। তাহলে অবশ্যই বুঝতে পারছেন মালয়েশিয়াতে কনস্ট্রাকশন কাজের কিরকম সুযোগ-সুবিধা ও চাহিদা।

মালয়েশিয়া কোন কাজের বেতন বেশি?

মালয়েশিয়াতে কোন কাজের বেতন বেশি বা কোন কাজ করার মাধ্যমে অনেক বেশি বেতন পাওয়া যায় এই নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন রয়েছে। মালয়েশিয়াতে সবথেকে কাজের বেতন বেশি সি লেভেলের নির্বাহী কর্মকর্তাদের। এ সকল কর্মকর্তাদের বাংলাদেশি টাকাই বেতন হচ্ছে মাসিক ৭২ লক্ষ ৬০ হাজার ৯৪০ টাকা।বাংলাদেশিরা চাইলেও এ কাজ মালয়েশিয়ায় গিয়ে খুব সহজে করতে পারবেন না। 

বাংলাদেশী কর্মীদের মধ্যে ইলেকট্রিশিয়ান, হোটেল বয় ও ড্রাইভিং এর কাজ করে ভালো বেতন পেয়ে থাকেন। তবে বাংলাদেশী কেউ যদি হোটেলের ওয়াটার বয়ের কাজ পেয়ে থাকেন তাহলে তার মাসিক বেতন হবে ৪ লক্ষ টাকার উপরে। কেননা তাদের আয়ের অনেক ধরনের উৎস রয়েছে।

মালয়েশিয়া ভিসা কি বন্ধ?

সম্প্রতি অনেকেই হয়তো একটি বিষয় জানেন না মালয়েশিয়া থেকে আবারো লোক নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। অর্থাৎ মালয়েশিয়া সরকার কয়েক মাস আগে যে নয় লক্ষ লোক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিলো তারাই শুধুমাত্র এখন যেতে পারবে। 

যাদের অনেক আগে থেকেই মালয়েশিয়া ভিসার জন্য আবেদন করা আছে এবং মালয়েশিয়া ভিসা করার জন্য সকল কার্যক্রম প্রায় শেষ তারা চাইলে এখনো মালয়েশিয়াতে আসতে পারবেন। কিন্তু নতুন করে মালয়েশিয়ার কোম্পানিগুলো মালয়েশিয়া সরকারের কাছে আবার কলিং ভিসায় লোক নিয়োগের জন্য অনুমতি চেয়েছিল ২০২৪ সালে। 

মালয়েশিয়ান সরকার তাদের এই আবেদনটি সরাসরি নাকচ করে দেয়। তাই যারা পুরাতন আবেদনকৃত ব্যক্তি রয়েছেন মালয়েশিয়া ভিসার জন্য তারাই শুধুমাত্র ২০২৪ সালে মালয়েশিয়াতে আসতে পারবেন। তবে অবশ্যই এই ক্ষেত্রে যোগাযোগটা খুবই ভালো হতে হবে।

আমাদের শেষ কথা

মালয়েশিয়া ভিসা কবে খুলবে বা মালয়েশিয়া ভিসা বন্ধ নাকি খোলা এই নিয়ে অনেকের প্রশ্ন ছিল আশা করি ইতিমধ্যে সব জেনে গিয়েছেন।তাছাড়া বর্তমানে অনেকেই মালয়েশিয়া ভিসা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন যার কারণে আমাদের আজকের পোস্টে বিস্তারিত সকল তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। 

তারপরেও যদি এই নিয়ে কোন ধরনের প্রশ্ন থেকে থাকে বা কোন বিষয় বুঝতে কোন ধরনের অসুবিধা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বর্তমান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url