বাংলাদেশ ব্যাংক লোন

বাংলাদেশ ব্যাংক লোন, মানে কি আপনি বাংলাদেশ সেন্ট্রাল ব্যাংক থেকে লোন নিতে চাচ্ছেন, নাকি বাংলাদেশের কোন একটি ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার কথা চিন্তা-ভাবনা করতেছেন? সর্বপ্রথম আপনাকে বলে নেই, বাংলাদেশ ব্যাংক কোন প্রকার সাধারণ ব্যক্তিবর্গকে লোন দেয় না। 
বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংক
আর আপনি যদি রেমিটেন্স আয় করেন, তাহলে বাংলাদেশের যেকোনো ব্যাংক ব্যবহার করে রেমিটেন্স আনতে পারবেন। এবং ওই সমস্ত ব্যাংক গুলো বাংলাদেশ সেন্ট্রাল ব্যাংকের সাথে তথ্য বিনিময় করে থাকে। যাইহোক, আমরা আশা করছি যে আপনার উদ্দেশ্যটা হচ্ছে বাংলাদেশের যেকোনো একটি ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণ করা।

আমরা আপনাকে জানানোর চেষ্টা করব কিভাবে বাংলাদেশের ব্যাংক গুলো থেকে লোন নিতে হয়, এই সমস্ত প্রসেস এবং আপনার কি তথ্য লাগতে পারে, এছাড়াও আমরা বাংলাদেশের কয়েকটি শীর্ষ স্থানীয় ব্যাংক সম্পর্কে আলোচনা করব। তবুও, প্রথমে আপনাকে আরো ক্লিয়ার করে নিতে চাই, আপনার উদ্দেশ্য যদি হয় বাংলাদেশ ব্যাংক (Bangladesh Bank) থেকে লোন নেওয়ার। তাহলে চলুন জেনে নেই একনজরে.....

বাংলাদেশ ব্যাংক কি লোন দেয়?

বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো ব্যক্তি বা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে সরাসরি ঋণ প্রদান করে না, তবে এটি বাণিজ্যিক ব্যাংক, বিশেষায়িত ব্যাংক এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধান করে। এসব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত নীতি ও নির্দেশনার ভিত্তিতে ব্যক্তি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ঋণ প্রদান করে। 

বাংলাদেশ ব্যাংক কৃষি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ এবং রপ্তানিমুখী শিল্পের মতো অগ্রাধিকার খাতগুলির বৃদ্ধিতে সহায়তা করার জন্য এই ব্যাংকগুলিকে পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা প্রদান করে। আপনি যদি ঋণ পেতে আগ্রহী হন, আপনি আপনার নিকটস্থ বাণিজ্যিক ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন এবং তাদের লোন সিস্টেম সম্পর্কে এবং লোন পাওয়ার যোগ্যতার মানদণ্ড সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।

ব্যাংক লোন কি?

ব্যাংক লোন হল এক ধরনের আর্থিক উপকরণ যেখানে কোনও ব্যাংক কোনও ব্যক্তি, কোনও ব্যবসা বা কোনও সংস্থাকে অর্থ ধার দেয়, যা একটি ঋণ চুক্তির মাধ্যমে স্বাক্ষরিত হয় এবং যা কিস্তিতে সুদসহ পরিশোধ করতে হয়।

অনেক ক্ষেত্রে মোটা অংকের লোন নেওয়ার সময় ঋণ গ্রহীতার ঋণদাতাকে তার সম্পদ জামানত হিসাবে রাখতে হয়, যেটি বাংলাদেশ ব্যাংক লোন আইন অনুযায়ী হয়ে থাকে। স্বল্প পরিমাণ লোনের জন্য সাধারণ কিছু কাগজপত্র হলেই যথেষ্ট হয়।

অনলাইন লোন কি?

আজকাল মোবাইল ব্যাংকিংয়ের কল্যাণে অনলাইন লোন পাওয়া যায়, যদিও অনলাইন লোন পাওয়ার জন্য আপনাকে তাদের শাখায় যেতে হয় না, তবে আপনি অনলাইন লোনের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা নিতে পারবেন না।

অনলাইন লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে একটি অনলাইন ফরম পূরণ করতে হয়, যেখানে বিভিন্ন তথ্য আপনার কাছ থেকে নেওয়া হয়, যেগুলো একদম গ্রহণযোগ্য তথ্য হতে হবে এবং আপনাকে কিছু ট্রান্স এন্ড কন্ডিশনের সাথে একমত হতে হবে, যেটি আপনার একান্তই পড়ে নেওয়া উচিত।

নোট: কেউ শখেরবশত অনলাইন থেকে লোন নিবেন না, এতে করে আপনি বিপদেও পড়তে পারেন যদি না আপনি সময়মতো লোন পরিশোধ করতে না পারেন।

কেন ব্যাংক লোন?

ব্যাংক লোন নেওয়ার অনেক সুবিধা রয়েছে। যদিও এর বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে তবুও অসুবিধা থাকা সত্ত্বেও লোন গ্রহনের চাহিদা বেড়েই চলেছে। সাধারণত অর্থ যোগান দেওয়ার জন্য ব্যাংক লোন দেওয়া হয়, যেগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক হতে প্রদত্ত এবং তারা বিভিন্ন ব্যবসা এবং ব্যক্তিবর্গকে লোন দিয়ে থাকে যেন তাদের প্রয়োজন মেটাতে পারে।

যখন আপনার অনেক টাকার প্রয়োজন তখন আপনি ব্যাংক থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ তহবিল লোন নিতে পারেন এবং সেটি আপনার ব্যবসা প্রসারে কাজে লাগাতে পারেন, হয়তোবা আপনি একটি বাড়ি বানাতে চান সেখানে প্রচুর টাকার প্রয়োজন সেই ক্ষেত্রে আপনি অর্থ তহবিল লোন নিতে পারেন।

বিশেষ করে যখন আপনি ব্যাংকের কাছ থেকে কোন মোটা অংকের টাকা লোন নেন তখন এটি দিয়ে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় যা একান্তই প্রয়োজন সেই কাজে লাগাতে পারেন, তবে অবশ্যই আপনাকে লোন পরিশোধ করার জন্য সুদসহ কিস্তিতে পরিশোধ করতে হয়।

ব্যাংকগুলোর বিভিন্ন ক্ষেত্রে লোন দিয়ে থাকে এবং মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে লোন নিয়ে থাকে, নিচে কিছু প্রয়োজন দেওয়া হলঃ

ব্যবসা শুরু করা বা সম্প্রসারণ

নতুন ব্যবসা শুরু করার জন্য উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যাংক SME প্রদান করার মাধ্যমে অর্থ সহায়তা দিয়ে থাকে। এছাড়া ব্যবসার সম্প্রসারণ এবং বৃদ্ধি করার জন্য বিজনেস লোন দিয়ে থাকে।

বাড়ি বা সম্পত্তি ক্রয়

বাড়ি নির্মাণ কিংবা সম্পত্তি ক্রয় করার জন্য ব্যাংকগুলো হোম লোন দিয়ে থেকে যেন তাদের বাড়ি ক্রয় কিংবা তৈরি করতে পারে, তবে এখানে আপনার দলিল জামানত হিসাবে ব্যাংকের কাছে রাখতে হয়।

প্রকল্প অর্থায়ন

প্রকল্প শুরু করার জন্য কিংবা প্রকল্পের জন্য সরঞ্জামাদি ক্রয় করার জন্য ব্যাংকগুলোর অফার করে থাকে, প্রকল্পের সম্ভাবনা সুধির হলে ব্যাংকের কাছে প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দিয়ে ঋণ সহায়তা পাওয়া যায়।

পার্সোনাল লোন

ব্যক্তিগত লোন বা পার্সোনাল লোন নিজের বিভিন্ন কাজের জন্য নেওয়া যেতে পারে যেমন শিক্ষা অর্জুনের জন্য কিংবা চিকিৎসার জন্য লোন নেওয়া যায়, এক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে এবং আপনার স্থায়ীভাবে ইনকাম থাকতে হবে।

যাইহোক, ব্যাংকগুলো বিভিন্ন কারণে আপনাকে ঋণ অফার করতে পারে তবে অবশ্যই আপনার প্রয়োজনীয় নথিপত্র তাদেরকে জমা দিতে হবে এবং আপনাকে বুঝাতে হবে যে আপনি আসলেই কোন কারণে তাদের কাছ থেকে লোন নিতে চান। এবং তারা ঐ সমস্ত নথিপত্র যাচাই-বাছাই করার পর আপনাকে লোন দিতে মনজুর করবে।

যাদের ব্যাংক লোন নেওয়া দরকার?

এটি বলা একটু মুশকিল যে আপনার লোন নেওয়া একান্তই প্রয়োজন কিনা। এটি আপনার নির্ভর করবে আপনার চাহিদার উপর, এবং এটি নির্ভর করবে আপনি কোন পরিস্থিতিতে আছেন। যাইহোক, আমি উপরে বলেছি এবং নিচেও বিশদ আলোচনা করেছি ব্যাংকগুলো কি কি লোন দিয়ে থাকে এবং কোন কারণে ব্যাংক গুলো আপনাকে লোন দিতে পারে।

সুতরাং আপনি আপনার যথাযথ কারণ দেখিয়ে ব্যাংক থেকে নগদ অর্থ লোন নিতে পারেন, তবে অবশ্যই আপনাকে একটি বেলিড রিজন দেখাতে হবে যে কারণে আপনাকে তারা লোন দিতে আগ্রহী হবে।

বাংলাদেশের কোনো ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার নিয়ম?

ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য আপনাকে বিশেষ নিয়ম অবলম্বন করতে হবে এবং এর সাথে প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দেওয়ার পর ঋণ নেওয়ার জন্য অনুমোদন পাবেন।
যাইহোক, এ পর্যায়ে আপনাকে অনেকগুলো ধাপ অবলম্বন করতে হবে এবং অনেকগুলো ফর্ম পূরণ করার পর আপনি ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার জন্য অনুমোদিত হতে পারেন।

আমরা আপনাদেরকে ঋণ নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো জানাতে পারি যেগুলো অবলম্বন করার ফলে আপনার ঋণ পাওয়ার সম্ভাবনা কে আরো ফলস্বরূপ করতে পারে। নিচের নির্দেশিকা অনুসরণ করতে পারেনঃ

আপনার ঋণের প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ করুন

বাংলাদেশের কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করার সময় আপনার ঋণের প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ করা প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এতে আপনার আর্থিক চাহিদা চিহ্নিত করা এবং আপনার ঋণের জন্য অর্থের পরিমাণ নির্ধারণ করা সহজ হবে। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি আপনাকে আপনার বিকল্পগুলিকে সংকুচিত করতে এবং আপনার নির্দিষ্ট প্রয়োজন অনুসারে একটি ঋণ খুঁজে পেতে সহায়তা করবে।

উদাহরণস্বরূপ, ধরা যাক আপনি একটি গাড়ি কেনার পরিকল্পনা করছেন৷ গাড়ি কেনার জন্য আপনাকে কত টাকা ঋণ করতে হবে তা নির্ধারণ করুন। এতে করে আপনার পছন্দের গাড়ির কিনতে কত খরচ হতে পারে তা আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন, যার মধ্যে যেকোনো ট্যাক্স, ফি বা ক্রয়ের সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য খরচ সহ আপনি অবগত থাকবেন।

একবার আপনি আপনার প্রয়োজনীয় মোট পরিমাণ নির্ধারণ করে নিলে, আপনি একটি গাড়ী লোন বা (Car Loan) বাংলাদেশের যেকোনো ব্যাংক কার লোন প্রদানকারী ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য এপ্লাই করতে পারেন।

আরেকটি উদাহরণ হতে পারে যদি আপনি একটি ব্যবসা শুরু করার পরিকল্পনা করেন। আপনার ব্যবসার জন্য কত টাকা প্রয়োজন হতে পারে তা নির্ধারণ করুন। এর মধ্যে একটি জায়গা ভাড়া করা, সরঞ্জাম ক্রয়, কর্মচারী নিয়োগ এবং আপনার ব্যবসার মার্কেটিং এর মতো খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। 

একবার আপনি আপনার প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারলে আপনার জন্য একটি ব্যবসায়িক ঋণ খুঁজে পাওয়া আরও সহজ হবে। উভয় ক্ষেত্রেই, আপনার আর্থিক চাহিদাগুলি সাবধানতার সাথে বিবেচনা করা উচিত এবং আপনি কতটুকু পরিমাণ অর্থ ঋণ নিবেন তা সঠিকভাবে পরিমাপ এবং নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ। 

এটি আপনাকে এমন একটি ঋণ খুঁজে পেতে সাহায্য করবে যা আপনার নির্দিষ্ট প্রয়োজনের জন্য উপযুক্ত। সুতরাং, আপনার ঋণের প্রয়োজনীয়তাগুলি সাবধানতার সাথে নির্ধারণ করুন এবং সেই অনুযায়ী আপনার ঋণ পরিশোধের কৌশল পরিকল্পনা করুন।

লোন অপশন গবেষণা করুন

বাংলাদেশের কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে লোন নেওয়ার পরিকল্পনা করার সময় লোনের বিকল্প অপশন গুলো নিয়ে গবেষণা করা ভালো। এই ধাপে আপনার জন্য উপলব্ধ বিভিন্ন ঋণের বিকল্পগুলি মূল্যায়ন করেন। 

যেমন, সুদের হার, পরিশোধের শর্তাবলী, ফি এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্যগুলির তুলনা করে দেখা আপনার জন্য সাশ্রয়ী হতে পারে, এবং এটি আপনার প্রয়োজনীয় সবচেয়ে উপযুক্ত লোন বেছে নিতে সহায়তা করবে।

ঋণের বিকল্পগুলি নিয়ে গবেষণা

করার সময় সুদের হার বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি হল নির্দিষ্ট শতাংশ যা আপনাকে আপনার লোন করা অর্থের উপর সুদ দিতে হবে। সাধারণত, কম সুদের হার ভাল।

আপনি লোনের সাথে সম্পর্কিত যেকোন অতিরিক্ত ফি বা চার্জ যেমন আবেদন ফি, বিলম্বে অর্থপ্রদানের ফি, প্রিপেমেন্ট ফি বা অন্যান্য চার্জ সম্পর্কে জেনে নিন। কেননা এগুলো যোগ হয়ে ঋণের মোট খরচ বাড়াতে পারে।

গবেষণা করে ঋণের বিকল্পগুলি সাবধানে তুলনা করলে আপনি একটি জ্ঞাত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন এবং আপনি একটি কার্যকর ঋণ চয়ন করতে পারবেন যা আপনাকে আপনার আর্থিক লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করতে পারে।

প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করুন

বাংলাদেশের কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিতে হলে আপনাকে অবশ্যই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে। আপনি যে ধরনের লোনের জন্য আবেদন করবেন এবং ঋণদাতার নির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তার উপর নির্ভর করে আপনাকে প্রয়োজনীয় নথিগুলি সরবরাহ করতে হবে।
যাইহোক, কিছু সাধারণ নথি রয়েছে যা বেশিরভাগ ঋণদাতাদের প্রয়োজন হয়। 

এখানে কিছু প্রয়োজনীয় নথিগুলির একটি তালিকা দেয়া হয়েছেঃ

পরিচয়ের প্রমাণ

আপনার পরিচয় যাচাই করার জন্য আপনাকে পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয়পত্রের মতো সরকার-প্রদত্ত আইডি প্রদান করতে হবে।

আয়ের প্রমাণ

আপনাকে এমন নথি প্রদান করতে হবে যা আপনার আয়ের প্রমাণ দেখায়, যেমন বেতন স্লিপ, ট্যাক্স রিটার্ন বা ব্যাংক স্টেটমেন্ট। এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ঋণদাতারা আপনার ঋণ পরিশোধ করার ক্ষমতা মূল্যায়ন করবে।

ক্রেডিট রিপোর্ট

ঋণদাতাদের একটি ক্রেডিট রিপোর্টের প্রয়োজন হতে পারে, যেন তারা আপনার ক্রেডিট ইতিহাস এবং ক্রেডিট স্কোর দেখতে পারেন। এটি তাদেরকে আপনার ঋণযোগ্যতা মূল্যায়ন করতে এবং আপনার ঋণের আবেদন অনুমোদন করবে কিনা তা নির্ধারণ করতে সহায়তা করে।

সম্পত্তির নথি

আপনি যদি একটি সুরক্ষিত ঋণের জন্য আবেদন করেন, যেমন হোম লোন বা কার লোন, তাহলে আপনাকে এমন নথি প্রদান করতে হবে যা সম্পত্তি বা সম্পদের মালিকানা প্রমাণ করে যেটি আপনি জামানত হিসাবে রাখবেন।

ব্যবসায়িক নথি

আপনি যদি ব্যবসায়িক ঋণের জন্য আবেদন করেন, তাহলে আপনাকে ব্যবসায়িক পরিকল্পনা, আর্থিক বিবৃতি এবং ট্যাক্স রিটার্নের মতো নথি প্রদান করতে হবে।

ব্যক্তিগত রেফারেন্স

কিছু ঋণদাতাদের ব্যক্তিগত রেফারেন্সের প্রয়োজন হতে পারে, যেমন পরিবারের সদস্য বা বন্ধুবান্ধব, যেন তারা আপনার ঋণ পরিশোধ করার ক্ষমতার প্রমাণ দিতে পারে। সুতরাং তারা জামিনদার আপনি না থাকাকালীন ব্যাংক তাদের সাথে যোগাযোগ করবে।

লোনের জন্য আবেদন করার আগে সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করা গুরুত্বপূর্ণ, যদিও লোন এবং ব্যাংক ক্রমে নথিপত্র পরিবর্তিত হতে পারে।

লোনের জন্য আবেদন করুন

আপনার ঋণের প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ করার পর, ঋণের বিকল্প অপশনগুলো গবেষণা করে এবং প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি সংগ্রহ করার পর বাংলাদেশের যেকোনো একটি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান যারা লোন প্রদান করে তাদের কাছে ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। 

ঋণ আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে আপনার যা জানা দরকার তা এখানে দেওয়া হয়েছেঃ

ঋণদাতা চয়ন করুন

আপনার গবেষণার উপর ভিত্তি করে, আপনি এমন ঋণদাতা নির্বাচন করতে পারেন যা আপনার প্রয়োজনের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ঋণ অফার করবে। একবার আপনি লোন নেওয়ার জন্য ব্যাংক বেছে নিলে, আপনি তাদের নিকটস্থ শাখা বা (Branch)-এ যেতে পারেন (যেটি সবচেয়ে ভালো), অথবা ঋণের আবেদন প্রক্রিয়া আরো সম্পর্কে জানতে ফোন বা ইমেলের মাধ্যমে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

লোনের আবেদন ফর্ম পূরণ করুন

ঋণদাতা আপনাকে একটি লোন আবেদন ফর্ম সরবরাহ করবে যা আপনাকে আপনার ব্যক্তিগত এবং আর্থিক তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হবে। এই ফর্মটি আপনি যে ঋণের জন্য আবেদন করছেন সে সম্পর্কে বিশদভাবে জিজ্ঞাসা করবে, যেমন ঋণের পরিমাণ, পরিশোধের মেয়াদ এবং সুদের হার।

প্রয়োজনীয় নথিগুলি সরবরাহ করুন 

ঋণের আবেদনপত্রের সাথে আপনাকে সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে হবে। এই নথিগুলির মধ্যে আপনার আইডি প্রমাণ, আয়ের প্রমাণ, কর্মসংস্থানের তথ্য, ক্রেডিট রিপোর্ট এবং সম্পত্তির নথি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে ঋণদাতা এবং আপনি যে ধরনের ঋণের জন্য আবেদন করছেন তার উপর নির্ভর করে ঋণের আবেদন প্রক্রিয়া সামান্য পরিবর্তিত হতে পারে। যাইহোক, এই সাধারণ পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করে এবং সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য এবং নথি প্রদান করে, আপনি আপনার প্রয়োজনীয় ঋণের জন্য অনুমোদন পাওয়ার সম্ভাবনাকে বৃদ্ধি করতে পারেন।

অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করুন

আপনি আপনার ঋণের আবেদন এবং সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি জমা দেওয়ার পরে, আপনি ঋণের জন্য যোগ্য কিনা তা নির্ধারণ করতে ঋণদাতা আপনার আবেদন পর্যালোচনা করবে। 

একবার আপনি ঋণের আবেদনপত্র এবং সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি জমা দিলে, ঋণদাতা ঋণের জন্য আপনার যোগ্যতা নির্ধারণ করতে আপনার আবেদন এবং নথিগুলি পর্যালোচনা করবে। সাধারণত এই প্রক্রিয়া এক থেকে দুই মাস সময় লাগতে পারে। এই পর্যায়ে...

তথ্য যাচাই

ঋণদাতা আপনার ঋণের আবেদনের সকল তথ্য যাচাই-বাছাই করার পর অনুমোদন করবে।   

ঝুঁকির মূল্যায়ন

ঋণদাতা আপনাকে ঋণ দেওয়ার সাথে সম্পর্কিত ঝুঁকির মাত্রা মূল্যায়ন করবে। তারা আপনার আয়, ক্রেডিট ইতিহাস, কর্মসংস্থানের স্থিতিশীলতা এবং জামানত (যদি প্রযোজ্য হয়) এর মতো বিষয়গুলি বিবেচনা করবে যাতে আপনি ঋণ পরিশোধে সক্ষম হন।

অনুমোদনের সিদ্ধান্ত

একবার ঋণদাতা তাদের পর্যালোচনা সম্পন্ন করলে, তারা আপনার ঋণের আবেদনের সকল তথ্য পরিপূর্ণ হলে অনুমোদন করবে বা তথ্যের ঘাটতি থাকলে প্রত্যাখ্যান করবে।

প্রত্যাখ্যান বা আরও তথ্যের জন্য অনুরোধ

যদি আপনার ঋণের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়, ঋণদাতা আপনাকে প্রত্যাখ্যানের কারণ প্রদান করবে। যদি তাদের আপনার কাছ থেকে আরও তথ্য বা ডকুমেন্টেশনের প্রয়োজন হয়, তাহলে তারা আপনার সাথে যোগাযোগ করবে প্রত্যেকখান এর বিষয় আপনাকে জানাবে।

ঋণের অনুমোদন

আপনার ঋণের আবেদন অনুমোদিত হলে, ঋণদাতা আপনাকে একটি অফার লেটার পাঠাবে যেটিতে ঋণের পরিমাণ, সুদের হার, পরিশোধের মেয়াদ এবং যেকোনো ফি বা চার্জ সহ ঋণের শর্তাবলীর রূপরেখা থাকবে। ঋণ গ্রহণ করার আগে আপনাকে এই অফার লেটারটি সাবধানে পর্যালোচনা করতে হবে।

ঋণ তহবিল গ্রহণ করুন

আপনি যদি অফার লেটারে বর্ণিত ঋণের শর্তাবলীর সাথে সন্তুষ্ট হন, তাহলে আপনি ঋণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করে ঋণ গ্রহণ করতে পারেন। এই পর্যায়ে আপনাকে অতিরিক্ত নথি বা তথ্য প্রদান করতে হতে পারে।

ঋণের পরিমাণ চেক করুন

একবার আপনার অ্যাকাউন্টে তহবিল জমা হয়ে গেলে, ঋণের পরিমাণ সঠিক আছে কিনা তা নিশ্চিত করুন। আপনি যদি কোনো অসঙ্গতি লক্ষ্য করেন, সমস্যা সমাধানের জন্য অবিলম্বে ঋণদাতার সাথে যোগাযোগ করুন।

ঋণ পরিশোধ করা শুরু করুন

একবার আপনি ঋণের পরিমাণ পেয়ে গেলে, আপনি এখন ঋণের শর্তাবলী অনুযায়ী ঋণ পরিশোধের জন্য দায়ী। কোনো বিলম্ব ফি বা জরিমানা এড়াতে সময়মত পেমেন্ট করাই ভালো।

বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক লোন সমূহ?

বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক লোন পাওয়া যায়, যা বিভিন্ন আর্থিক প্রয়োজন মেটানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক গুলো দিয়ে থাকে। এখানে কিছু ব্যাংক লোনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হলঃ

ব্যক্তিগত ঋণ (Personal Loan)

ব্যক্তিগত লোন বলতে বোঝানো হয় এমন লোন যা বিভিন্ন ব্যক্তিগত খরচ, যেমন চিকিৎসা বিল, শিক্ষা, বাড়ির সংস্কার বা এমন কোনো ব্যক্তিগত কাজে লাগানো যা একান্তই ঋণগ্রহীতার ব্যক্তিগত কাজের জন্য। ব্যক্তিগত লোন এর ক্ষেত্রে মোটা অংকের লোন পাওয়া যায় না, তবে যথেষ্ট।

হোম লোন (Home Loan)

হোম লোন হল এক ধরণের সুরক্ষিত লোন যা একটি বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট কেনা বা নির্মাণের জন্য লোন করা হয়। হয়তো আপনি একটি বাড়ি কিনতে চান কিংবা আপনার স্বপ্নের বাড়িটি তৈরি করতে চান, এই ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময়ের জন্য মোটা অংকের টাকা লোন নিয়ে বাড়ি তৈরি করতে পারেন।

গাড়ি ঋণ (Car Loan)

কার লোন বা গাড়ি ঋণ আপনার স্বপ্নের গাড়িটি ক্রয় করার জন্য আপনাকে কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান কার লোন দিতে পারে, যাতে করে আপনি আপনার স্বপ্নের গাড়িটি ক্রয় করতে পারেন। তারপর আপনি প্রতি মাসে কিস্তিতে টাকা পরিশোধ করেন।

ব্যবসায়িক ঋণ (Business Loan)

ব্যবসায়িক ঋণ যা ব্যবসার পরিচালনা বা সম্প্রসারণে জন্য ব্যবহৃত হয়। ব্যবসার ক্ষেত্রে হঠাৎ আর্থিক মন্দা দেখা দিলে এই ধরনের লোন নেওয়া যেতে পারে।

শিক্ষা ঋণ (Education Loan)

শিক্ষা ঋণ বা এডুকেশন লোন যা উচ্চ শিক্ষার জন্য ব্যবহৃত হয়। আপনি হয়তো দেশে কিংবা বিদেশে গিয়ে লেখাপড়া করতে চাচ্ছেন, হয়তো আপনার একসাথে অনেক পরিমাণে টাকা নেই, এক্ষেত্রে আপনি এডুকেশন লোন নিয়ে লেখাপড়া খরচ বহন করতে পারেন। এবং ধীরে ধীরে পরিশোধ করতে পারেন।

কৃষি ঋণ (Agriculture Loan)

কৃষি ঋণের মাধ্যমে কৃষকদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয় যেন তারা সফলভাবে তাদের কৃষিকাজ করতে পারে এবং সম্ভাব্য ফলন ফলাতে পারে। এবং ফলন ফলানোর পর নির্ধারিত সময় তাদের লোন পরিশোধ করে দিতে হয়।

এসএমই ঋণ (SME Loan)

এসএমই ঋণ হল এক ধরনের ঋণ যা ক্ষুদ্র (Small) ও মাঝারি (Medium) আকারের উদ্যোগ (Enterprise) সংক্ষিপ্তভাবে (SME) বলা হয়। সাধারণত এই ধরনের লোন কোন নতুন উদ্যোক্তা বা কোন একটি স্টার্টআপ কে দেওয়া হয় যেন তারা দ্রুত বৃদ্ধি করতে পারে এবং তাদের ব্যবসার সম্প্রসারণ করতে পারে।

সেরা বাংলাদেশ ব্যাংক লোন অপশন?

ইতিপূর্বে আপনি জানতে পেরেছেন ব্যাংক লোন সম্পর্কে বিস্তারিত এখন আপনাকে বাংলাদেশের ব্যাংক লোন অপশন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে এবং আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে কোন ব্যাংকের কাছ থেকে লোন নিবেন।

আমরা নিচে কয়েকটি বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যাংকের লিস্ট করেছি, যেগুলো থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন। অবশ্যই আপনার আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র লাগবে এবং সাথে আপনাকে তাদের শাখাতেও যেতে হবে।

Islami Bank Bangladesh Limited

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড - 1983 সালে প্রতিষ্ঠিত, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড মোট সম্পদের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের বৃহত্তম শরিয়াহ-ভিত্তিক ব্যাংক। এই ব্যাংকের সারা দেশে 360 টিরও বেশি শাখার একটি বিশাল নেটওয়ার্ক রয়েছে এবং এটি গ্রাহকদের জন্য বিস্তৃত ব্যাংকিং পরিষেবা সরবরাহ করে। 

এই ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে ইসলামী ভিত্তিক ব্যাংকিং লোন সেবা পাবেন। কল সেন্টার নাম্বার: 16259 or (+8802) 8331090

Sonali Bank Limited

সোনালী ব্যাংক লিমিটেড - 1972 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড বাংলাদেশের একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক। এটির 1,200 টিরও বেশি শাখা রয়েছে যা দেশের বৃহত্তম। তারা বিভিন্ন প্রকার লোন অপশন অফার করে। 

যেগুলো হচ্ছে পার্সোনাল লোন, গৃহ ঋণ, কার লোন, ব্যবসায়িক ঋণ এবং এসএমই ঋণ সহ বিস্তৃত লোন স্কিম অফার করে। সোনালী ব্যাংক ব্যাংক প্রতিযোগিতামূলক সুদের হার এবং নমনীয় ঋণ পরিশোধের বিকল্প অফার করে।

WhatsApp:+8801324417006
E-mail : itd@sonalibank.com.bd

Bangladesh Krishi Bank

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক বাংলাদেশের একটি বিশেষায়িত কৃষি ব্যাংক যা কৃষক এবং কৃষিভিত্তিক ব্যবসায়িকদের জন্য বিভিন্ন ঋণ অপশন প্রদান করে। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ফসল উৎপাদন, পশুসম্পদ ও মৎস্য, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ এবং খামার যান্ত্রিকীকরণের জন্য ঋণ প্রদান করে।

HOTLINE- 16129
Hunting Number: (+88 02) 956 0021
FAX: (+88 02) 956 1211
Email: dgmvsd@krishibank.org.bd

National Bank Limited

ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড - 1983 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড বাংলাদেশের একটি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক। এটিও বিভিন্ন ধরনের লোন স্কিম অফার করে।

Phone: +88-02-55138301
Fax : +88-02-41032460

Pubali Bank Limited

পূবালী ব্যাংক লিমিটেড 1959 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়, পূবালী ব্যাংক লিমিটেড বাংলাদেশের একটি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক যেটি ব্যক্তিগত লোন, গৃহ ঋণ, কার লোন, এডুকেশন লোন এবং এসএমই লোন সহ বিভিন্ন প্রকার লোন অফার করে।

IPPBX Number : +88 09612 82 00 00, +88 09612 82 08 20
Email: info@pubalibankbd.com

Agrani Bank Limited

অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড - 1972 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড বাংলাদেশের একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক। এটির 960 টিরও বেশি শাখা রয়েছে এবং এটি গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন ব্যাংকিং পণ্য এবং পরিষেবা সরবরাহ করে। 

লোনের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ঋণ, এসএমই ঋণ, কৃষি ঋণ এবং গৃহঋণ সহ বিভিন্ন ঋণ স্কিম অফার করে। অগ্রণী ব্যাংক প্রতিযোগিতামূলক সুদের হার অফার করে এবং নমনীয় ঋণ পরিশোধের বিকল্পও অফার করে। 

Phone: 9554188
E-mail: dgmbcd@agranibank.org

Janata Bank Limited

জনতা ব্যাংক লিমিটেড - 1971 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়, জনতা ব্যাংক লিমিটেড বাংলাদেশের একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক। 

এটির 900 টিরও বেশি শাখা রয়েছে এবং এটিও গ্রাহকদের বিভিন্ন ব্যাংকিং পণ্য এবং পরিষেবা সরবরাহ করে। 

Phone: +88 02-223380029 or +88 02-223380042

BRAC Bank Limited

ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড - 2001 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড বাংলাদেশের একটি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক হলেও, এর ব্যবহার বাংলাদেশের সকল ক্ষেত্রেই রয়েছে, যখন তাদের প্রডাক্ট বিকাশ সকলে ইউজ করে। ব্র্যাক ব্যাংক প্রায় সকল প্রকার ঋণ সুবিধা দিয়ে থাকে।

Phone: +88 02 8801301-32 or 09677551001-31
Fax: +88 02 222298910
24 Hour Call Center: 16221

Dutch-Bangla Bank Limited

ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড - 1995 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়, এবং এই ব্যাংকের সম্পর্কে জানে না এমন কোন ব্যক্তি বাংলাদেশ খুজে পাওয়া দুর্লভ। 

লোনের প্রয়োজন অনুসারে তাদের ব্রাঞ্চের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। Helpline: 16216

Prime Bank Limited

প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড - 1995 সালে প্রতিষ্ঠিত, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড বাংলাদেশের একটি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক। 

বিশেষ করে প্রাইম ব্যাংক বেশিরভাগ ঢাকা নগরীতে সচরাচর পাওয়া যায় তবে উপজেলা ভিত্তিক পাওয়া দুর্লভ। Helpline: 16218

Eastern Bank Limited

ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড বাংলাদেশের একটি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক যা ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ, গাড়ি ঋণ, শিক্ষা ঋণ এবং এসএমই ঋণ সহ বিভিন্ন ঋণ স্কিম অফার করে।

Call center: +88 09666777325
Email: info@ebl-bd.com

আমাদের শেষ কথা

আমরা এই বিশদ ব্লগ পোস্টটিতে বিশদ একটি নির্দেশনা দেওয়ার চেষ্টা করেছি, যেগুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনার লোন পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলতে পারেন। যাইহোক, ব্যাংক ব্যতিক্রমে আপনার জন্য লোন পাওয়ার নিয়ম পরিবর্তিত হতে পারে। 

তাই আমাদের পরামর্শ থাকবে আপনি যে ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য নির্ধারণ করেছেন সেই ব্যাংকটি নিকটস্থ শাখায় গিয়ে তাদের সাথে কথা বলুন অথবা তাদের হেল্প সেন্টারে কথা বলে তাদের কাছ থেকে আপনার প্রয়োজনীয় সকল প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে নিতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বর্তমান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url