ডাচ বাংলা ব্যাংক লোন - ডাচ বাংলা ব্যাংক লোন পদ্ধতি
ডাচ বাংলা ব্যাংক দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ডাচবাংলা ব্যাংকের গ্রাহকরা বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে পেয়ে আসছে। ডাচ বাংলা ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা গুলোর মধ্যে রয়েছে ডাচ বাংলা ব্যাংক ঋণ সুবিধা। ডাচ বাংলা ব্যাংকের গ্রাহকরা খুবই সহজ শর্তে ও অল্প সুদে লোন পেয়ে থাকেন।
ডাচ বাংলা ব্যাংক |
ডাচ বাংলা ব্যাংকের যারা গ্রাহক রয়েছেন তারা চাইলে ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে চার ধরনের লোন নিয়ে ভিন্ন খাতে ব্যবহার করতে পারবেন।নিম্নে ডাচ বাংলা ব্যাংক লোন পদ্ধতি, ডাচ বাংলা ব্যাংক লোন নিতে কি কি লাগে,ও ডাচ বাংলা ব্যাংকের লোনের সুদের হার কত এই নিয়েই থাকছে মূল্যবান কিছু তথ্য।
ডাচ বাংলা ব্যাংক লোন পদ্ধতি?
ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে যে কোন ব্যক্তি চাইলে লোন নিতে পারবেন না। ডাচ বাংলা ব্যাংকের গ্রাহকদেরকে শর্তাদি পালন করে লোন নিতে হবে। ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে কয়েক ধরনের লোন সুবিধা প্রদান করা হয়ে থাকে।যেমনঃ
- ডাচ বাংলা ব্যাংক পার্সোনাল লোন
- ডাচ বাংলা ব্যাংক স্যালারি লোন
- ডাচ বাংলা ব্যাংক ব্যবসায়িক লোন
- ডাচ বাংলা ব্যাংক এসএমই লোন
- ডাচ বাংলা ব্যাংক হোম লোন
ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে বিভিন্ন খাতে এই লোনগুলি প্রদান করা হয়ে থাকে।নিম্নে ৪ ধরনের লোন পদ্ধতির সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
ডাচ বাংলা ব্যাংক পার্সোনাল লোন?
ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে চিকিৎসা, শিক্ষা, ভ্রমণ, বিবাহ, উৎসব, ও অন্যান্য বৈধ উদ্দেশ্যের জন্য পার্সোনাল লোন নেওয়া যাবে। ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে সর্বনিম্ন ৫০ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ২০ কোটি টাকা পর্যন্ত পারসোনাল লোন নেওয়া যাবে। ডাচ বাংলা ব্যাংকের গ্রাহক এবং বাংলাদেশের বৈধ নাগরিকগণ এই লোন সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
লোন পাওয়ার যোগ্যতা?
ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে যেকোনো ব্যক্তি ইচ্ছা করলেই পার্সোনাল লোন নিতে পারবেন না। পার্সোনাল লোন নিতে হলে অবশ্যই গ্রাহকের কিছু যোগ্যতা থাকা লাগবে। যেমনঃ
- ঋণগ্রহীতাকে অবশ্যই বাংলাদেশী নাগরিক হতে হবে।
- গ্রাহকের বয়স সর্বনিম্ন ১৮ বছর হতে হবে এবং সর্বোচ্চ বয়স ৭০ বছরের নিচে হতে হবে।
- আবেদনকারী কে অবশ্যই চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, বাড়িওয়ালা ও স্বনির্ভর ব্যক্তি হতে হবে।
- ঋণ গৃহীতাকে সর্বনিম্ন বারো মাস থেকে সর্বোচ্চ ৬০ মাসের মধ্যে লোন পরিশোধ করতে হবে।
লোন নিতে আগ্রহী ব্যক্তিদের কে অবশ্যই ডাচ বাংলা ব্যাংকের শাখায় গিয়ে কর্মকর্তার নিকট যোগাযোগ করতে হবে।
ডাচ বাংলা ব্যাংক হোম লোন?
ডাচ বাংলা ব্যাংকের গ্রাহকরা নতুন বাঁ পুরাতন বাড়ি, ফ্ল্যাট সংস্কার, ফ্লাট ক্রয় এই সকল কাজের জন্য স্যালারি লোন নিতে পারবেন। ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে সর্বনিম্ন ২ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ এক কোটি ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত হোম লোন নিতে পারবেন।
হোম লোন পাওয়ার যোগ্যতা?
ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে যেকোনো ব্যক্তি চাইলে হোম লোনের পরিষেবাটি উপভোগ করতে পারবেন না। ডান্স বাংলা ব্যাংক থেকে হোম লোন নিতে হলে যোগ্যতা থাকা লাগবে এবং কিছু শর্তাদি পালন করা লাগবে। যেমনঃ
- আবেদনকারী ব্যক্তিকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
- ঋণ গ্রহীতার বয়স সর্বনিম্ন ১৮ বছর এবং সর্বোচ্চ ৭০ বছর হতে হবে।
- বেতন নির্বাহী, যেকোনো পেশাদার, বাড়িওয়ালা জমিদার, ও স্বনির্ভর ব্যক্তি ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে এই লোন সুবিধাটি উপভোগ করতে পারবেন।
- ঋণগ্রহীতাকে অবশ্যই ২৫ বছরের মধ্যে লোনের সমস্ত কিস্তি পরিশোধ করতে হবে।
ডাচ বাংলা ব্যাংক স্যালারি লোন?
ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্যালারি লোন দেওয়া হয়ে থাকে। আবেদনকারীকে ৯ শতাংশ ইন্টারেস্ট হারে পাঁচ বছরের মধ্যে সকল কিস্তি পরিশোধ করতে হবে। ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে স্যালারি লোন নিতে হলে কিছু শর্তাদি পালন করতে হবে।
লোন পাওয়ার যোগ্যতা?
ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে স্যালারি লোন নিতে হলে কিছু ডকুমেন্ট লাগবে এবং যোগ্যতা থাকা লাগবে। যেমনঃ
- ঋণ গ্রহীতার পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি লাগবে।
- জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা পাসপোর্টের ফটোকপি লাগবে।
- ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট লাগবে।
- ঋণ আবেদনকারী ব্যক্তিকে অবশ্যই বাংলাদেশী নাগরিক হতে হবে এবং ডাচ বাংলা ব্যাংকের গ্রাহক হতে হবে।
- আবেদনকারীর বয়স অবশ্যই ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
- যেকোনো পেশাজীবের লোক যোগ্যতা ভেদে ডাচ-বাংলা ব্যাংক থেকে স্যালারি লোন নিতে পারবেন।
ডাচ বাংলা ব্যাংক ব্যবসায়িক লোন?
অনেকে ব্যবসা করবেন বলে ভাবছেন কিন্তু ব্যবসা করার জন্য প্রয়োজনীয় মূলধন জোগাড় করতে পারছেন না তারা চাইলে ডাচ-বাংলা ব্যাংক থেকে ব্যবসায়িক লোন নিতে পারেন। ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে ৫০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ব্যবসায়িক লোন দেওয়া হয়ে থাকে।
ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে হোম লোন নিতে হলে আবেদনকারের ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর হতে হবে এবং সর্বোচ্চ বয়স ৬০ বছরের নিচে হতে হবে। লোন আবেদনকারী ব্যক্তির অবশ্যই ন্যূনতম মাসিক আয় ২০ হাজার টাকার উপরে হতে হবে।
ঋণ গ্রহীতাকে পাঁচ বছরের মধ্যে ৭.৫% ইন্টারেস্ট হারের লোনের সমস্ত কিস্তি পরিশোধ করতে হবে। লোন নিতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের কে ডাচ বাংলা ব্যাংকের শাখায় গিয়ে নিকট যোগাযোগ করে লোন ফরম নিয়ে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে।
ডাচ বাংলা ব্যাংক লোন ডাচ বাংলা ব্যাংক লোন নিতে কি কি লাগে?
ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে যেসব গ্রাহক লোন নিতে চান তাদের অবশ্যই যোগ্যতা পূরণ করতে হবে ও কিছু শর্তাদি পালন করতে হবে। তাছাড়া ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে লোন নিতে প্রয়োজনীয় কিছু ডকুমেন্ট লাগবে। নিম্নে ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সমূহ তুলে ধরা হলোঃ
- আবেদনকারী ব্যক্তির পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি ও নমিনের এক কপি ছবি লাগবে।
- আবেদনকারী ব্যক্তির জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ও নমিনীর জাতীয় পরিচয় পত্র ফটোকপি লাগবে।
- লোন আবেদনকৃত ব্যক্তির ব্যাংক স্টেটমেন্ট লাগবে।
- ব্যক্তিকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে ।
- ব্যক্তির পেশার প্রমাণপত্র লাগবে
ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে লোন নিতে হলে সাধারণত এই ডকুমেন্টগুলো লাগে। তারপরেও যদি বাড়তি কোন ডকুমেন্ট লাগে তাহলে শাখা থেকে জেনে নিতে পারবেন।
ডাচ বাংলা ব্যাংক লোন সুদের হার | ডাচ বাংলা ব্যাংক লোন ক্যালকুলেটর
ডাচ বাংলা ব্যাংকে লোনের সুদের হার অনেক কম নেওয়া হয়ে থাকে। ডাচ বাংলা ব্যাংকের সর্বোচ্চ ৯.৫% ইন্টারেস্ট ও সর্বনিম্ন ৭.৫ শতাংশ ইন্টারেস্ট আরোপৃত তোর ঋণের উপর নেওয়া হয়ে থাকে। যা অন্যান্য ব্যাংকগুলোর তুলনায় কিছুটা কম।
আমাদের শেষ কথা, আশা করি ইতিমধ্যে ডাচ-বাংলা ব্যাংক লোন পদ্ধতি ও ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার জন্য করণীয় কাজ কি এই বিষয়ে মোটামুটি ধারণা পেয়ে গিয়েছেন।
তারপরেও যদি এই নিয়ে কোন ধরনের প্রশ্ন থাকে বা পোস্টটি পড়ে কোন বিষয়ে সম্পর্কে বুঝতে কোন ধারণা অসুবিধা হয়ে থাকে তাহলে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।
বর্তমান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url