লেবানন কাজের ভিসা পাওয়ার উপায় - লেবানন যেতে কত টাকা লাগে

লেবাননে টুরিস্ট ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে খুব সহজেই যাওয়া যায়। লেবানন ভিসা বাংলাদেশ থেকে খুব সহজে পাওয়া যায়। যেকোনো ব্যক্তি চাইলে কিছু শর্তাদি অবলম্বন করেই খুব সহজে লেবানন ভিসা করে নিতে পারবে। 
লেবানন
লেবানন
আজকের আর্টিকেলে লেবানন কাজের ভিসা পাওয়ার উপায় ও লেবানন কাজের বেতন কত এই নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। তাহলে দেরি না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

লেবানন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা | লেবানন কাজের ভিসা

লেবানন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আপনারা বাংলাদেশ থেকে চাইলে কোন এজেন্সির মাধ্যমে কিংবা কোন লেবানন দূতাবাসের মাধ্যমে করে নিতে পারবেন। এজেন্সির মাধ্যমে লেবানন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করলে আপনাদেরকে শুধুমাত্র কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট তাদের কাছে জমা দিতে হবে। 

বাদবাকি সব কিছুই তারা দেখভাল করবে। আর এমবাসি কিংবা দূতাবাসের মাধ্যমে লেবানন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে হলে আপনাদেরকে অবশ্যই লেবানন সরকারি জব সাইটগুলোতে কাজের জন্য আবেদন করতে হবে। 

যদি তারা আপনাকে কাজের জন্য মনোনীত করে থাকে তাহলে আপনি লেবানন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দূতাবাসের মাধ্যমে ভিসা করে নিতে পারবেন। লেবানন ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করার কিছুদিনের মধ্যেই ভিসা হাতে পাওয়া সম্ভব।

লেবাননের রাজধানীর নাম কি?

লেবানন হচ্ছে এশিয়া মহাদেশের একটি ছোট দেশ এবং লেবাননের রাজধানীর নাম হল বৈরুত। বৈরুত হচ্ছে লেবাননের বৃহত্তম একটি শহর। 

লেবাননে কোন কাজের চাহিদা বেশি?

বাংলাদেশ থেকে যারা লেবানন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে চান তারা অনেকেই লেবাননে কোন কাজের চাহিদা বেশি এইসব বিষয় ধারণা না নিয়েই চলে যান। লেবাননে বর্তমানে ক্লিনার, শপিং মলের কাজ, পেট্রোলপামের কাজ, বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ, এবং ডেলিভারি বয়দের ভাল চাহিদা রয়েছে। 

আবার অনেক বাঙালি রয়েছে লেবাননে হোটেল ও রেস্টুরেন্টে কাজ করতেও দেখা যায়। বাংলাদেশীদের জন্য সুখবর যে, লেবাননে ক্লিনারের কাজে সব থেকে বেশি কর্মী রয়েছে। তাই লেবানন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে নির্দ্বিধায় সেখানে যেতে পারবেন।

লেবানন বাংলাদেশ দূতাবাস কোথায় অবস্থিত?

লেবানন বাংলা দূতাবাস বা বাংলাদেশের লেবাননের দূতাবাস বর্তমানে কোথায় চালু হয়েছে। এ বিষয়ে অনেকেই এখনো জানেন না। লেবাননের দূতাবাস হচ্ছে বাংলাদেশের QCFC+768, Dhaka 1212 অবস্থিত। ঢাকার গুলশানে Honorary Consulate নাম করলে আপনারা খুব সহজেই গাড়িতে করে চলে যেতে পারবেন।

লেবানন যেতে কত টাকা লাগে?

লেবাননের দূতাবাস বাংলাদেশে অতীতে না থাকায় ভারতীয় দূতাবাস ব্যবহার করে আগে বাংলাদেশীদের লেবানন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করে নিতে হতো। অতীতে লেবানন ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য পাঁচ লাখ থেকে ছয় লাখ টাকা খরচ হলেও এখন বাংলাদেশে লেবানন দূতাবাস ভিসা সেন্টার চালু হয় ফ্রি ভিসা পেতে তিন লক্ষ টাকারও কম খরচ হচ্ছে। ২,৫০০ থেকে ২,৬০০ ডলার খরচ করার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনারা লেবানন ফ্রি ভিসা হাতে নিয়ে লেবানন গিয়ে কাজ করতে পারবেন।

লেবানন কাজের বেতন কত?

যারা লেবাননে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে বিভিন্ন কোম্পানির অধীনে কাজ করতেন। তাদেরকেও তিনশত পঞ্চাশ থেকে চারশত ডলার বেতন দেওয়া হয়। এছাড়া তারা ওভারটাইম করে ও অন্যান্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার মাধ্যমে আরও একশত ডলার আয় করতে পারতো। যারা পেট্রোল পাম্প কিংবা রেস্টুরেন্টে কাজ করে থাকে। তারাও মাসের ৪০০ থেকে ৫০০ ডলার বেতন পেয়ে থাকে।

লেবাননে মুসলিম জনসংখ্যা কত?

লেবানন হচ্ছে মুসলিম প্রধান একটি দেশ। লেবাননের ৬৭.৮% মুসলিম, ৩২.৪ শতাংশ খ্রিস্টান এবং ৪.৫ শতাংশ অন্যান্য ধর্মের লোকেরা লেবাননে বসবাস করে থাকে।

লেবানন ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা | লেবাননের মুদ্রার নাম কি?

লেবাননের মুদ্রাকে বলা হয় লেবানিস পাউন্ড। বর্তমানে লেবাননের এক পাউন্ড সমান বাংলাদেশি 0.0073 টাকার প্রায় কাছাকাছি। লেবাননের ১,০০০ হাজার পাউন্ড সমান বাংলাদেশি ৭.৩৪ টাকার মতো হয়ে থাকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বর্তমান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url