এনআরবিসি ব্যাংক লোন

এনআরবিসি ব্যাংক বাংলাদেশের বেসরকারি একটি ব্যাংক। এনআরবিসি ব্যাংকের শাখা আমাদের দেশের প্রতিটি শহরে রয়েছে এবং বুথেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। গ্রাহকের সুবিধার জন্য এনআরবিসি ব্যাংক দিচ্ছে রেমিট্যান্স সুবিধা সহ আরো অনেক ধরনের সুবিধা।

যারা এনআরবিসি ব্যাংকের গ্রাহক রয়েছেন তারা এনআরবিসি ব্যাংক থেকে কয়েক ধরনের লোন নিতে পারবেন। এনআরবিসি ব্যাংক থেকে নেওয়া লোন খুবই কম সুদে পরিশোধ করতে পারবেন। এনআরবিসি ব্যাংকের বিস্তৃত লোন সিস্টেমের মাধ্যমে গ্রাহকরা লোন নিতে পারবে।

উক্ত আঁটিকেলে এনআরবিসি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়, এনআরবিসি ব্যাংক থেকে লোন নিতে কি কি ডকুমেন্ট লাগে ও এনআরবিসি ব্যাংকের সকল লোন পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারবেন।

এনআরবিসি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়?

এন আর বি সি ব্যাংকের গ্রাহকরা খুব সহজেই চাইলে হোম লোন পার্সোনাল লোন ও ব্যবসায়ী লোন, ও প্রবাসী লোন নিতে পারবে। নিচে এনআরবিসি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় গুলো ধাপে ধাপে বর্ণনা করা হলোঃ

এনআরবিসি ব্যাংক পার্সোনাল লোন?

এনআরবিসি ব্যাংকের গ্রাহকরা পার্সোনাল লোনের সুবিধা পেয়ে থাকেন। যারা পার্সোনাল লোন নিতে চান সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন। এন আর বি সি ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোন নেওয়ার জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ থেকে ৭২ মাস। 

তাছাড়া এখান থেকে অল্প সুদে পার্সোনাল লোন নেওয়া যায় যার কারণে অনেক গ্রাহকই এনআরবিসি ব্যাংকের সাথে ক্রমাগত যুক্ত হচ্ছেন। এন আর বি সি ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোন নিতে হলে কিছু যোগ্যতার মানদন্ড পূরণ করতে হবে। যেমনঃ

• পার্সোনাল লোন নিতে হলে অবশ্যই বয়সসীমা ২১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
• ভালো সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে হবে ও মাসিক বেতন ১৮ হাজারের উপরে হতে হবে।
• বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে যারা চাকরির জন্য কর্মরত রয়েছেন তাদের বেতনের পরিমাণ ২৫ হাজার টাকার বেশি হতে হবে।

এনআরবিসি ব্যাংক পার্সোনাল পার্সোনাল লোন নিতে কি কি ডকুমেন্ট লাগে?

এনআরবিসি ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোন নিতে হলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হবে। যেমনঃ

• আবেদনকারী ব্যক্তি ও জামিনদারের পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি লাগবে।
• ব্যবসায়ী হলে তাদের সর্বশেষ ১২ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট লাগবে।
• বিজনেস কার্ড লাগবে।
• এন আই ডি ও পাসপোর্টের অনুলিপি প্রয়োজন হবে।
• সর্বশেষ কর ছাড়ের সার্টিফিকেট লাগবে।
• সর্বশেষ ইউটিলিটি বিলের ফটোকপি লাগবে।

এই যোগ্যতার মানদন্ডগুলো পূরণ করার পাশাপাশি আরো কিছু শর্তাদি এনআরবিসি ব্যাংক থেকে দেওয়া হবে সেগুলো পূরণ করে এনআরবিসি ব্যাংক লোন আবেদন করতে পারবেন।

এনআরবিসি ব্যাংক হোম লোন?

এনআরবিসি ব্যাংক থেকে গ্রাহকদের সর্বোচ্চ এক কোটি ৪০ লাখ টাকা পর্যন্ত লোন দেওয়া হয়ে থাকে। গ্রাহকদের অবশ্যই ২৪০ মাসের মধ্যে হোম লোন পরিশোধ করতে হবে। এনআরবিসি ব্যাংক থেকে হোম লোন নিতে হলে মাসে ৭০ হাজার টাকার উপরে ইনকাম থাকতে হবে। 

এনআরবিসি ব্যাংক থেকে কোন ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই ন্যূনতম ডকুমেন্ট দিয়ে হোম লোন নেওয়া যায়। এনআরবিসি ব্যাংক থেকে হোম লোন নেওয়ার জন্য আরো যা যা যোগ্যতা পূরণ করতে হবেঃ

• বেতনভুক্ত যেকোনো ভালো প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকতে হবে।
• ব্যবসায়ী হলে একই ব্যবসায় কমপক্ষে তিন বছর কর্মরত থাকতে হবে।
• বাড়িওয়ালার যদি সম্পত্তি থেকে থাকে তাহলে তথ্য ভাড়া উপার্জনের ডকুমেন্ট দিতে হবে।

এনআরবিসি ব্যাংক হোম লোন পেতে কি কি ডকুমেন্ট লাগে?

এনআরবিসি ব্যাংক হোম লোন নিতে হলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র লাগবে। যেমনঃ

• যথাযথভাবে সম্পূর্ণ ও স্বাক্ষরিত আবেদন ফরম প্রয়োজন হবে।
• বাসস্থান ঠিকানার ইউটিলিটি বিল এর ফটোকপি লাগবে।
• আবেদন কারী ব্যক্তির বৈধ আইডি কার্ডের ফটোকপি লাগবে ও জামিনদার ও গ্রাহকের পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে।
• সম্পত্তির মালিকানা দলিল লাগবে।
• সর্বশেষ টিআইএন প্রশংসাপত্রের ফটোকপি লাগবে।

তাছাড়া আরো যদি কোন শর্তাদি পূরণ করতে হয় তাহলে অবশ্যই এনআরবিসি ব্যাংকের শাখায় সরাসরি গিয়ে যোগাযোগ করবেন। সেখান থেকে সবকিছু জানিয়ে দেওয়া হবে এনআরবিসি ব্যাংক হোম লোন পাওয়ার জন্য কি কি করা লাগবে।

এনআরবিসি ব্যাংক ব্যবসায়ী লোন?

এনআরবিসি ব্যাংক থেকে সর্বনিম্ন ২ লক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ৭৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ব্যবসায়ী লোন নেওয়া যাবে। সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের মধ্যে গ্রাহককে এই লোন পরিশোধ করতে হবে। নূন্যতম ডকুমেন্টও কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়াই এনআরবিসি ব্যাংক থেকে ব্যবসায়ী লোন পাওয়া যাবে। 

নিচে এনআরবিসি ব্যাংক থেকে ব্যবসায়ী লোন নেওয়ার জন্য যোগ্যতার কি কি মানদণ্ড পূরণ করতে হবে তা উল্লেখ করা হলঃ

• লোন আবেদনকৃত ব্যক্তির সর্বনিম্ন মাসিক আয় ৩৫ হাজার টাকার উপরে হতে হবে।
• ব্যবসার অংশীদারিত্ব একমাত্র নিজের নামে নিবন্ধিত থাকতে হবে।
• নিজের পরিচালিত কোন সংস্থা ও পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি থাকলে ভালো হয়।

এনআরবিসি ব্যাংক ব্যবসায়ী লোন নিতে হলে কি কি ডকুমেন্ট লাগে?

এরআরবিসি ব্যাংক থেকে ব্যবসায়ী লোন নিতে হলে কিছু ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে। যেমনঃ

• বৈধ বাণিজ্য লাইসেন্স লাগবে।
• ট্রেড লাইসেন্স লাগবে গত তিন বছরের।
• সর্বশেষ ১২ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট লাগবে।
• ব্যবসায়ী ঠিকানার ইউটিলিটি বিলের ফটোকপি লাগবে।
• সর্বশেষ বাণিজ্য লাইসেন্সের ফটোকপি লাগবে।

তাছাড়া এনআরবিসি ব্যাংক ব্যবসায়ী লোন নিতে অতিরিক্ত কোন ডকুমেন্ট লাগলে এনআরসি ব্যাংকের শাখায় গিয়ে জেনে নিতে পারবেন। 

সবকিছু যদি ঠিকঠাক ভাবে করতে পারেন তাহলে লোন আবেদনের কিছুদিনের মধ্যেই ব্যাংক আপনাকে লোন প্রদান করবে।

এন আর বি সি ব্যাংক প্রবাসী লোন?

এনআর বি সি ব্যাংক থেকে এখন এনআরবিসি  প্রবাসী স্বস্তি নামক এক ধরনের লোন চালু করা হয়েছে। যারা দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দেশে চলে এসেছেন তাদের কর্মসংস্থানের জন্য এনআরবিসি ব্যাংক এই লোন প্রকল্প চালু করেছে। 

অনেক প্রবাসী রয়েছেন যারা দেশে ফিরে এসে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করতে চান তারা চাইলে এই লোন এনআরবিসি ব্যাংক থেকে আবেদন করে নিতে পারবেন। এন আরবিসি ব্যাংক থেকে যারা ব্যক্তিগতভাবে প্রবাসী স্বস্তির লোন নিতে চান তারা সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নিতে পারবেন।

যৌথভাবে এনআরবিসি ব্যাংক থেকে প্রবাসী স্বস্তি লোন সর্বনিম্ন ২৫ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়ে থাকে। প্রবাসী লোন নেওয়ার পর ৬ থেকে ২৪ মাসের মধ্যে লোন পরিশোধ করতে হবে। 

এনআরবিসি ব্যাংক থেকে প্রবাসী লোন নিতে হলে সরাসরি এনআরবিসি ব্যাংকে চলে যেতে হবে এবং তাদের শাখায় গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে। এনআরবিসি ব্যাংকের কর্মকর্তা আপনাদেরকে এনআরবিসি ব্যাংক লোন পাওয়ার জন্য কি কি শর্তাদি পূরণ করতে হবে। 

ও কি কি কাগজপত্র জমা দিতে হবে? এই বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা দিয়ে দিবে। আপনারা তখন চাইলে তাদের শর্তাদী পূরণ করে প্রবাসী লোনের জন্য আবেদন করতে পারেন।

আমাদের শেষ কথা, আশা করি ইতিমধ্যে এনআরবিসি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় ও এনআরবিসি ব্যাংক থেকে লোন নিতে কি কি যোগ্যতা পূরণ করা লাগে এই বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা পেয়ে গিয়েছেন। 

তারপরেও যদি এই নিয়ে কোন ধরনের প্রশ্ন থেকে থাকে বা পোস্টটি পড়ে কোন কিছু বুঝতে কোন ধরনের অসুবিধা হয়ে থাকে। তাহলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। আপনার মূল্যবান প্রশ্নটির উত্তর খুবই দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রদান করা হবে। ধন্যবাদ।