পার্ট টাইম ব্যবসা - পার্ট টাইম ব্যবসার আইডিয়া

আপনি কি জানেন পার্ট টাইম ব্যবসায় কি? কিভাবে করতে হয় এবং পার্ট টাইম ব্যবসায় করতে কি কি লাগে? ছাত্র অবস্থায় অথবা চাকরির পাশাপাশি অনেকেই পার্ট টাইম ব্যবসায় করতে চায়। আজকের আর্টিকেলে ১৫টি পার্ট টাইম ব্যবসায় আইডিয়া নিয়ে কথা বলবো। চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক।

পার্ট টাইম ব্যবসায় কি?

পড়ালেখা অথবা অফিসের চাকরি করার পাশাপাশি আরও একটি ব্যবসায় করাকেই মূলত পার্ট টাইম ব্যবসায় বলে। পার্ট টাইম ব্যবসায় অধিক লাভজনক। আজকে আমরা এমন ১৫টি পার্ট টাইম ব্যবসায় নিয়ে কথা বলবো যা আপনারা অবসর সময়ে করে, খুব সহজেই অনেক লাভবান হতে পারবেন।
পার্ট টাইম ব্যবসা
পার্ট টাইম ব্যবসা
কর্মজীবন শুরু করা এবং তাতে লাভবান হওয়ার একটি আদর্শ প্লাটফর্ম হল পার্ট টাইম ব্যবসায়। কম সময় এবং অল্প পুঁজি দিয়ে খুব সহজেই একটি পার্ট টাইম ব্যবসায় করা যায়। ঘরে বসে ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় পার্ট টাইম ব্যবসায় করে আজকাল অনেকেই সাবলম্বী হচ্ছে। এমন ১৫টি ব্যবসায় সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত উল্লেখ করা হলঃ

অনলাইনে ৯৯ টাকায় পণ্য বিক্রি

যদিও আপনি ৯৯ টাকা পণ্যের দোকান দিয়ে খুব সহজেই সেই দোকান পরিচালন করতে পারবেন। তবে এখানে বড় কথা হচ্ছে যেহেতু আপনি পার্ট টাইম ব্যবসায় করতে চাচ্ছেন সেক্ষেত্রে অনলাইনে বিক্রি করাটাই আপনার জন্য উত্তম হবে। এক্ষেত্রে আপনি পণ্য চক বাজার থেকে পাইকারি দরে কিনতে পারেন।

প্রাথমিকভাবে আপনার যা যা প্রয়োজন হবে?

  • প্রথমিকভাবে ৩০ হাজার টাকা মূলধন
  • নাম নির্ধারণ করা
  • পণ্য ক্রয়
  • নিজের একটি ফেসবুক পেজ ও গ্রুপ তৈরি করা
  • কিছু Buy Sell গ্রৃপে যুক্ত হওয়া
  • ফেসবুক পোস্ট বুস্ট করা ইত্যাদি।

যেসব পণ্য কিনতে পারেন?

  • খেলনা
  • শো-পিস
  • ফটোফ্রেম
  • স্টেশনারি আইটেম
  • মেকাপ আইটেম ইত্যাদি।
আপনি সবগুলো পণ্যই ১০০ টাকার নিচে রাখবেন। আর ৯৯ টাকা টার্গেট করে মার্কেটিং করতে থাকবেন। পণ্যের অর্ডার পরলে আপনি ডেলিভারির জন্য SteadFast, Redx, Peperfly অথবা সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের মত করে কুরিয়ার সার্ভিস দিয়ে ডেলিভারি দিতে পারবেন।

অনলাইন ব্যবসা

ফেইসবুক বা ইন্সটাগ্রামে একটি অনলাইন পেইজ তৈরি করে খুব সহজে অনলাইন ব্যবসায় শুরু করা যায়। আপনি যেই প্রোডাক্ট নিয়ে ব্যবসায় করতে চান তার সুন্দর সুন্দর ছবি তুলে পেইজে আপলোড করে আপনি আপনার অনলাইন দোকানটি সাজাতে পারেন।

বেশি বেশি পোস্ট শেয়ার করে আপনি খুব সহজেই আপনার অনলাইন পেইজের প্রোডাক্টগুলো হাজার হাজার মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারবেন। এছাড়াও আপনি দারাজ (DARAZ) এ পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। তারা পণ্যের অর্ডার এনে দিবে এবং তারা নিজেরাই ডেলিভারি করে দিবে, এক্ষেত্রে দারাজ শুধু পণ্য বিক্রির পরে আপনার থেকে কমিশন নিবে।

প্রাথমিকভাবে শুরু করতে যা যা লাগবে?

  • ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার মূলধন
  • অনলাইনে বিক্রি করার যাবতীয় প্রোডাক্ট
  • ইন্টারনেট কানেকশন
  • একটি অনলাইন পেইজ
  • সুন্দর ফটোশপ করার দক্ষতা ইত্যাদি।

যেসব পণ্য ক্রয় করা যায়?

  • মেকাপ আইটেম
  • থ্রি-পিস
  • মেয়েদের জুয়েলারি
  • হিজাব
  • ব্যাগ, বেল্ট, জুতা
  • শার্ট, প্যান্ট, টি-শার্ট ইত্যাদি।
এ ধরণের পণ্য কিনে অনলাইন ব্যবসায় শুরু করা যেতে পারে। অনলাইন পেইজে আকর্ষণীয় পোস্ট এবং পোস্ট শেয়ারের মাধ্যমে আপনার অনলাইন পেইজের সব প্রডাক্টগুলো মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারবেন। আপনার অনলাইন পেইজের প্রডাক্টগুলো আপনি ডেলিভারি সার্ভিসের মাধ্যমে কাস্টমারদের কাছে ডেলিভারি করতে পারবেন।

অনলাইনে মগ প্রিন্ট এর ব্যবসায়

এই ব্যবসায়ের জন্য একটি নির্দিষ্ট মেশিনের প্রয়োজন হয়। সেই মেশিনের মাধ্যমে মগ এ বিভিন্ন ডিজাইন কিংবা প্রিয় মানুষের ছবি দিয়ে প্রিন্ট করা হয়। তবে এর জন্য আপনাকে কোন মেশিন কিনতে হবে না। আপনি যাস্ট অনলাইন থেকে অর্ডার সংগ্রহ করবেন।

এরপর যারা মগ এ প্রিন্ট করে তাদের দিয়ে কাজ করে নিবেন। কোন দিবস বা যেকোন প্রোগ্রামে বিভিন্ন কর্পোরেট কোম্পানিগুলোর মগ প্রিন্টের প্রয়োজন হয়। আপনি তাদের সাথে ভাল সম্পর্ক তৈরি করে অর্ডার সংগ্রহ করতে পারেন।

প্রাথমিকভাবে যা যা লাগবে?

  • ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার মূলধন
  • কিছু মগ প্রিন্ট করা প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি বা সম্পর্ক স্থাপন ও মূল্য তালিকা নেয়া
  • প্রিন্টিং মেশিন যদি নিজে করতে চান অন্যথায় এটা লাগবে না।
  • সুন্দর ডেকোরেশন করতে পারার দক্ষতা, যদি নিজে করতে চান। 
  • অন্যথায় এটা লাগবে না।

যা যা কিনতে হবে?

  • বিভিন্ন সাইজ এবং ডিজাইনের কাচের মগ
  • প্রিন্টিং কালার
  • ডেকোরেশন এর জন্য যাবতীয় জিনিস, তবে হ্যাঁ যদি নিজে করতে চান। 
  • অন্যথায় এগুলো লাগবে না।
  • তবে অবশ্যই এই ব্যবসার জন্য ডেলিভারি বা কুরিয়ার এর দরকার পড়বে।

ফ্রিল্যান্সিং

ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে মুক্ত পেশা। পড়াশোনা কিংবা চাকরির পাশাপাশি এই ব্যবসায় করে অনেক বেশি আয় করা সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে ভাল স্কিল না থাকলে সফলতা আশা করা যায় না।

এই ব্যবসায় করতে যা যা লাগবে?

  • একটি ল্যাপটপ, স্মার্টফোন, ডেস্কটপ
  • ভাল ইন্টারনেট কানেকশন
  • ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন কাজের স্কিল ইত্যাদি।
তবে হ্যাঁ আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এ দক্ষ না হয়ে থাকেন, তবে বিভিন্ন কোর্স করে আপনি স্কিল ডেভেলপ করতে পারবেন। আজকাল অনেক প্রতিষ্ঠান অনলাইন বা অফলাইনে ফ্রিল্যান্সিং এর কোর্স করিয়ে থাকে। তাদের থেকে শিখে তারপর আপনি কাজ শুরু করতে পারবেন।

পাখি পালন

এই ব্যবসায় আপনি অল্প পুঁজি দিয়ে পাখি কিনে এদের লালন পালন করে খামার তৈরি করে অল্প সময়ে সফলতা অর্জন করতে পারবেন। তবে এটি একটি সময়সাপেক্ষ কাজ এবং এই ব্যবসায় প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়।

প্রাথমিকভাবে যা যা লাগবে?

  • ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার মূলধন
  • খামার তৈরির পর্যাপ্ত জায়গা
  • আলো বাতাসযুক্ত স্থান

যা যা কিনতে হবে?

  • পাখির জন্য খাচা অথবা খামারে রাখার ঘর
  • পাখির খাবার
  • পাখির ঔষুধ পাতি
  • বিভিন্ন প্রজাতির পাখি যেমনঃ কবুতর, কোয়েল, হাঁস, মুরগী ইত্যাদি।
পাখি পালনের ক্ষেত্রে অবশ্যই এইসব দিকে খেয়াল রেখে এই ব্যবসায় শুরু করতে হবে।

টি-শার্ট বিজনেস

অনেকেই রয়েছে টি শার্ট কিনে তা ক্রেতার পছন্দ মতো কাস্টমাইজ করে বেশ ভাল ইনকাম করতেছে। এক্ষেত্রে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকায় খুব সহজেই এই ব্যবসায় শুরু করা যায়। এই ব্যবসার মাধ্যমে কম করে হলেও মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।

প্রাথমিকভাবে শুরু করতে যা যা লাগবে?

  • ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার মূলধন
  • একটি অনলাইন পেইজ বা অফলাইন দোকান
  • অনলাইনে বিভিন্ন গ্রুপে এড হওয়া
  • প্রিন্টিং মেশিন
  • নাম ঠিক করা ইত্যাদি।

যা যা কিনতে হবে?

  • বিভিন্ন ধরণের ভাল মানের টি-শার্ট
  • প্রিন্টিং মেশিন
  • কাস্টমাইজ করার জন্য বিভিন্ন প্রিন্টিং কালার ইত্যাদি।
এভাবে আপনি একটি টি-শার্ট এর ব্যবসায় খুব সহজেই শুরু করতে পারবেন। আপনি যদি অনলাইনে ব্যবসায় করেন। তাহলে আপনি ডেলিভারি করে কাস্টমার এর কাছে পণ্য ডেলিভারি দিতে পারবেন।

ইউটিউব বা ফেসবুকে ভিডিও তৈরি?

ইউটিউব বা ফেসবুকে ভিডিও তৈরি করে আপনি খুবই সহজে ঘরে বসে আয় করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে মানুষ সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক বেশি এক্টিভ থাকে। তাই এই ধরণের পার্ট টাইম ব্যবসায়, আপনার আয়ের খুব ভাল একটি মাধ্যম হতে পারে।

প্রাথমিকভাবে শুরু করতে যা যা লাগবে?

  • ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার মূলধন কারণ ভাল মানের একটি মোবাইল, লাইট  এবং মাইক্রফোন কিনতে হবে।
  • ইউটিউবে চ্যানেল বা ফেসবুকে একটি পেইজ
  • নাম নির্ধারণ
  • সুন্দর ভিডিও করার দক্ষতা
  • ভাল এডিটিং স্কিল ইত্যাদি।

যা যা কিনতে হবে?

  • একটি ভাল মানের ক্যামেরা
  • ভাল মানের মাইক্রোফোন
  • ল্যাপটপ/ডেস্কটপ/স্মার্টফোন
  • পেইড এডিটিং এপস ইত্যাদি।
যদি আপনি খুব সুন্দর ভিডিও করতে পারেন এবং তা সুন্দর করে এডিট করে সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচার করতে পারেন। তাহলে আপনি মাসে খুব ভাল একটি এমাউন্ট আয় করতে পারবেন।

সেলাই বা টেইলারিং এর ব্যবসায়

আপনি ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ করে সেলাই মেশিন এবং সেলাইয়ের যাবতীয় যন্ত্রপাতি কিনে, টেইলারিং এর কাজ  শুরু করতে পারেন। আপনার ঘরে সেলাই মেশিন রাখার জায়গা থাকলেই আপনি এই ব্যবসায় ঘরে বসে করতে পারবেন। এছাড়াও এই ব্যবসায় সুবিধা হল বিভিন্ন বড় বড় দিবসে যেমনঃ ঈদ, পূজা এই সময়গুলোতে আপনার বিক্রি আরও দ্বিগুণ হবে।

প্রাথমিকভাবে শুরু করতে যা যা লাগবে?

  • ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার মূলধন
  • সেলাই এর যাবতীয় যন্ত্রপাতি
  • সেলাই করার দক্ষতা ইত্যাদি।

যা যা কিনতে হবে?

  • একটি সেলাই মেশিন
  • সেলাই করার সূচ, সুতা, নিডেল
  • কাচি
  • বিভিন্ন রঙের কাপড়
  • ইলাস্টিক, ফিতা
  • সেলাই এর যাবতীয় সরঞ্জাম ইত্যাদি।
সেলাই করার জন্য খুব ভাল দক্ষতা থাকলে এই জিনিসগুলো দিয়ে ঘরে বসেই আপনি আপনার সেলাই বা টেইলারিং এর ব্যবসায় শুরু করতে পারবেন। আপনার কাজ ভাল হলে ধীরে ধীরে আপনার বিক্রিও অনেক বেড়ে যাবে।

মেহেদী আর্টিস্ট

আপনি যদি সুন্দরভাবে মেহেদী আর্ট দিতে পারেন তাহলে আপনি শুরু করতে পারেন, মেহেদী আর্টিস্ট হিসেবে পার্ট টাইম ব্যবসায়। আপনি একটি অনলাইন পেইজের মাধ্যমে অথবা আপনার অফলাইন কাস্টমারদের হাতে মেহেদী লাগিয়ে দিয়ে মাসে ভাল একটি এমাউন্ট আয় করতে পারবেন।

প্রাথমিকভাবে শুরু করতে যা যা লাগবে?

  • ৪ থেকে ৫ হাজার টাকার মূলধন
  • সুন্দর মেহেদী দিতে পারার দক্ষতা
  • মেহেদী সম্পর্কে ভাল জ্ঞান ইত্যাদি।

যা যা কিনতে হবে?

  • বিভিন্ন ধরণের ভাল কোয়ালিটির মেহেদী
  • ডিজাইন এর নোর্টস বা বই।
মেহেদী আর্টিস্ট হিসেবে খুব অল্প পুজিতে এই ব্যবসায় শুরু করা সম্ভব। অনলাইনে আপনি আপনার কাজের ছবি প্রচার করে খুব সহজেই এই ব্যবসায়ের কাস্টমার পেতে পারেন।

মৎস চাষ এর ব্যবসা

বর্তমানে বিভিন্ন বিদেশি প্রজাতির মাছ চাষ করে, তা বিক্রি করে অনেক লাভবান হওয়া সম্ভব। বিদেশি মাছ চাষের ব্যবসায় অল্প সময়ে বহুগুন লাভজনক একটি ব্যবসায়। ঘরে একুরিয়াম কিংবা বড় মাটির ট্যাংকের মধ্যেই এই মাছ চাষ করা যায়। 

এই মাছের ছোট ছোট পোনা এনে তা পালনের মাধ্যমে এগুলোকে বড় করে বিক্রি করা যায়। আজকাল প্রায় সকলেই ঘরের সৌন্দর্য বাড়াতে এই একুরিয়ামের মাছ কিনে থাকে, তাই এই ব্যবসায়ও লাভ অনেক বেশি। এই ব্যবসায় আপনি ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা হলেই শুরু করতে পারবেন।

টিউশন বা কোচিং সেন্টারের ব্যবসায়

আপনার বাড়িতে পর্যাপ্ত জায়গা থাকলে ১০ থেকে ১২ জন শিক্ষার্থী নিয়ে একটি ব্যাচ খুলে পড়াতে পারেন। আবার  অনেকেই আছে আলাদা জায়গা ভাড়া করেও কোচিং সেন্টার চালায়। যদি ১২ জন শিক্ষার্থী নিয়ে আপনি একটি ব্যাচ খুলেন। এবং তারা প্রত্যেকে যদি ১,০০০ হাজার টাকা করেও দেয়, তাহলে আপনার ঘরে বসেই মাসে আয় ১২,০০০ হাজার টাকা। 

খুবই লাভজনক না বিষয়টি? তবে এই ব্যবসায় শুরু করতে হলে প্রথমে আপনাকে একজন দক্ষ শিক্ষক হতে হবে। এবং ছেলে মেয়েদের পড়ানোর সঠিক উপয়া জানতে হবে। বর্তমান সময়ে অনেকেই আবার অনলাইনে টিউশন করেও আয় করছে। 

এক্ষেত্রে আপনি যত বেশি ছাত্র ছাত্রী পড়াতে পারবেন আপনার তত বেশি আয় হবে। এভাবে আপনি সম্মান এবং সফলতার সাথে পার্ট টাইম ব্যবসায় হিসেবে টিউশন বা কোচিং সেন্টারের ব্যবসায় শুরু করতে পারেন।

হস্তশিল্প এর ব্যবসায়

আপনার সৃজনশীলতাকে ফুটিয়ে তুলে বিভিন্ন ধরণের ব্যাগ, গহনা, ঘর সাজানোর পণ্য, বাক্স ইত্যাদি তৈরি করে আপনি অনেক টাকা আয় করতে পারেন।

প্রাথমিকভাবে শুরু করতে যা যা লাগবে?

  • ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার মূলধন
  • ব্যবসার নাম নির্ধারন
  • অনলাইনে পেইজ বা অফলাইনে দোকান
  • সুন্দর ডেকোরেশন এর দক্ষতা ইত্যাদি।

যা যা কিনতে হবে?

  • বেত, বাঁশ, কাঠ
  • ফিতা, আঠা, পুতি
  • বিভিন্ন রঙের কাপড়
  • বিভিন্ন রঙের কাগজ ইত্যাদি।
যদি আপনি অনলাইনে আপনার হস্তশিল্প ব্যবসায়ের পণ্য বিক্রি করেন, তবে তা আপনি হোম ডেলিভারির মাধ্যমে গ্রাহকদেরকে দিতে পারবেন। আর আপনি যদি নিজের দোকান খুলে বিক্রি করেন তাহলে সরাসরি ক্রেতার কাছে বিক্রি করতে পারবেন।

অনলাইন ডাই এন্ড ক্রাফটের ব্যবসায়

বিভিন্ন ক্রাফটের তৈরি জিনিস দিয়ে আপনি খুব সহজেই ঘরে বসে এই ব্যবসায় করতে পারবেন। ক্রাফটের ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে আপনি ডাই গিফট বক্স, ডাই চকলেট বক্স, ডাই ক্যালেন্ডার ইত্যাদি তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন।

প্রাথমিকভাবে শুরু করতে যা যা লাগবে?

  • ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মূলধন
  • একটি অনলাইন পেইজ
  • ক্রাফটের কাজের দক্ষতা
  • ক্রাফটের যাবতীয় জিনিস ইত্যাদি।

যেসব পণ্য কিনতে হবে?

  • ক্রাফটের কাঠ, ক্যানভাস
  • বিভিন্ন রঙের কাগজ
  • কাচি, ফিতা, জরি কাগজ
  • বিভিন্ন সাইজের ডাইস
  • চকলেট, পুতুল ইত্যাদি।
ডাই এন্ড ক্রাফট এর ব্যবসায় করতে হলে এইসব পণ্য অপরিহার্য। ডাই এন্ড ক্রাফটের পণ্যও আপনি যেকোন ডেলিভারি সার্ভিসের মাধ্যমে আপনার কাস্টমার এর কাছে ডেলিভারি করতে পারবেন।

ইভেন্ট প্লানার

ইভেন্ট প্ল্যানার এর কাজ হল বিভিন্ন ধরণের ইভেন্ট যেমনঃ বিয়ে, জন্মদিন ইত্যাদির ডেকোরেশন প্ল্যান করা। ইভেন্ট প্ল্যানার হিসেবে পার্ট টাইম ব্যবসায় করার জন্য অবশ্যই সুন্দর করে ডেকোরেশন করার দক্ষতা থাকতে হবে।

প্রাথমিকভাবে শুরু করতে যা যা লাগবে?

  • ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার মূলধন
  • স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ
  • সুন্দর করে ডেকোরেশন করার যন্ত্রপাতি
  • ইভেন্টে ব্যবহৃত বিভিন্ন তৈজসপাতি
  • ডেকোরেশন করার দক্ষতা ইত্যাদি।
এসব থাকলে তবেই আপনি ইভেন্ট প্ল্যানার হিসেবে পার্ট টাইম ব্যবসায় শুরু করতে পারবেন। অনলাইনের মাধ্যমে আপনি আপনার ডেকোরেশনের দক্ষতা সবার সামনে তুলে ধরতে পারবেন। একই সঙ্গে আপনার ব্যবসায়ও বড় হবে।

কন্টেন্ট রাইটিং ও ব্লগিং

অভিজ্ঞতা এবং ভাল দক্ষতার মাধ্যমে করা যাবে এমন আরও একটি ব্যবসায় হল কন্টেন্ট রাইটিং বা ব্লগিং। নিজের লেখার দক্ষতার মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য আকর্ষণীয় ভাবে মানুষের সামনে তুলে ধরাই হচ্ছে এর মূল কাজ।

এই ব্যবসায় যা যা লাগবে?

  • একটি স্মার্টফোন, ডেস্কটপ, ল্যাপটপ
  • ভাল ইন্টারনেট কানেকশন
  • একটি ওয়েবসাইট
  • লেখার ভাল মান ইত্যাদি।
আপনি নিজেই ঘরে বসে একটি ওয়েবসাইট খুলে আপনার আকর্ষণীয় লেখার মাধ্যমে ব্লগিং করে মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বর্তমান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url