সৌদি আরব ভিসা দাম কত - সৌদি আরবে কোন কাজের বেতন বেশি

সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য সারা বিশ্ব থেকে অনেকেই ভিসা করে থাকেন। সময়ের সাথে সাথে সৌদি আরব বিশ্বের তাদের অবস্থান মুক্ত করে চলেছে। অর্থনৈতিক দিক থেকেও সৌদি আরব এখন অনেকটা শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। সৌদি আরবে যদি কেউ কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান তাহলে তাদেরকে অবশ্যই সৌদি ভিসা করতে হবে।
সৌদি আরব
সৌদি আরব
অর্থাৎ বৈধভাবে সৌদি আরব যেতে হলে সৌদি ভিসা ছাড়া কোনভাবেই প্রবেশ করা সম্ভব নয়। আজকের পোস্টে সৌদি আরব ভিসা পাওয়ার উপায়, সৌদি আরব ভিসা খরচ সৌদি আরবে কাজের বেতন কত এই নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করা হবে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাকঃ

সৌদি আরবের ভিসা পাওয়ার উপায়?

সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য কয়েক ধরনের ভিসা পাওয়া যায়। সর্বপ্রথম আপনাকে সিদ্ধান্তে আসতে হবে সৌদিতে কি কারনে যাবেন। অর্থাৎ সৌদিতে কেউ যদি ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যেতে চান তাহলে সৌদি টুরিস্ট ভিসা করতে হবে, যদি কেউ কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চাই তাহলে সৌদি কাজের ভিসা করতে হবে আর অন্যান্য কাজের জন্য গেলে কাজের ধরন ভেদে ভিসা করে নিতে হবে।বর্তমানে সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য নিজের সকল ভিসা দেওয়া হচ্ছেঃ
  • সৌদি টুরিস্ট ভিসা
  • সৌদি ফ্রি ভিসা
  • সৌদি কোম্পানি ভিসা
  • সৌদি ওমরা ভিসা
  • সৌদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
এই সকল ভিসাগুলো নিয়ে কেউ চাইলে খুব সহজেই সৌদি আরব যেতে পারবেন।নিচে এই ভিসাগুলো সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করা হলো।

সৌদি আরব টুরিস্ট ভিসা?

সৌদিতে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যারা ভিসা করে থাকেন তাদেরকে সৌদি টুরিস্ট ভিসা দেওয়া হয়ে থাকে। সৌদি টুরিস্ট ভিসায় গিয়ে সর্বনিম্ন ৩০ দিন থেকে সর্বোচ্চ ৯০ দিন পর্যন্ত ভ্রমণ করা যাবে।বাংলাদেশের ঢাকায় অবস্থিত সৌদি এম্বাসি থেকে সৌদি আরব টুরিস্ট ভিসা করে নেওয়া যাবে।

সৌদি ফ্রি ভিসা?

সৌদিতে গিয়ে কারো অধীনে যদি কাজ করতে না চান তাহলে সৌদি ফ্রি ভিসা নিতে পারেন। সৌদি ফ্রি ভিসায় গিয়ে আপনি চাইলে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী যে কোন কোম্পানি বা স্থানে কাজ করতে পারবেন।তবে সৌদি ফ্রি ভিসার একটি অসুবিধা রয়েছে সেটি হলো প্রতি বছর আকামা করা লাগে। 

আপনাকে যদি বৈধভাবে সৌদিতে কাজ করতে হয় তাহলে আকামা করা বাধ্যতামূলক আর এই আকামার জন্য প্রতি ব্যক্তির খরচ হয়ে থাকে বছরে ২ লাখ টাকার কাছাকাছি।

সৌদি কোম্পানি ভিসা?

ছবি কোম্পানির পেশাকে অনেকেই স্পন্সর ভিসা হিসেবে চেয়ে থাকেন। অর্থাৎ যদি কোন কোম্পানিতে কাজের জন্য লোকের প্রয়োজন হয়ে থাকে তখন সৌদি স্পন্সর ভিসার মাধ্যমে অনেক দেশ থেকে লোক নেওয়া হয়। 

এই স্পন্সর ভিসায় অনেকেই গিয়ে বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করে থাকেন। সৌদি কোম্পানি ভিসা যাওয়ার অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এবং কোম্পানি ভিসার কোন আকামা খরচ দেওয়া লাগে না।

সৌদি ওমরা ভিসা?

মুসলমানদের তীর্থভূমি হচ্ছে মক্কা। সারা বিশ্ব থেকে প্রতিবছর অনেকেই সৌদি আরবে হজ্জের উদ্দেশ্যে যায়। সৌদি আরবে হজ করতে গেলে সৌদি উমরা ভিসা করতে হয়। বাংলাদেশের অনেক সরকারি লাইসেন্স ভুক্ত বিশ্বস্ত এজেন্সি রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে সৌদি ওমরা ভিসার জন্য আবেদন করা যায় এবং খুব সহজেই সৌদিতে হজের উদ্দেশ্যে যাওয়া যায়।

তাহলে এতক্ষণে সৌদি ভিসা ক্যাটাগরি বা সৌদি ভিসা কত প্রকার এই বিষয়ে মোটামুটি ধারণা পেয়ে গিয়েছেন। তাহলে এবার সৌদিতে কোন ভিসায় যাওয়ার জন্য কত টাকা খরচ হয়ে থাকে এই বিষয়ে কিছুটা ধারণা নেওয়া যাক।

সৌদি আরবের ফ্রি ভিসার দাম কত?

সৌদি আরবের ফ্রি ভিসা বাংলাদেশ থেকে খুব সহজেই পাওয়া যায়। সৌদি আরবের ফ্রি ভিসা খরচ বর্তমানে আগে তুলনায় অনেকটাই কমেছে। এখন চার থেকে পাঁচ লাখ টাকার মাধ্যমে যে কেউ চাইলে সৌদি আরবে ফ্রি ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন এবং সেখানে ভালো কাজ করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

পরবর্তীতে যদি সৌদি আরবে এই ভিসা নিয়ে অনেকদিন কাজ করতে চান তাহলে প্রতিবছর ভিসাটি রিইনু করতে হবে অর্থাৎ আকামা খরচ করতে হবে।

সৌদি আরব কোম্পানি ভিসার দাম কত?

সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা খরচ অনেকের সাধ্যের মধ্যে রয়েছে। অর্থাৎ যারা স্পন্সরের সৌদি আরবে যেতে চাই তাদের তিন থেকে চার লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ আসতে পারে। সব মিলিয়ে যদি চার লক্ষ টাকা খরচ করে থাকেন তাহলে সৌদি আরব যেতে পারবেন সৌদি আরব কাজের ভিসা নিয়ে। 

সৌদি আরবের ভিসা এম্বাসি থেকে কর্মী নিয়োগ কালীন সময়ে অনেকেই এই ভিসার মাধ্যমে সৌদি আরবে কাজের উদ্দেশ্যে যায়।

সৌদি আরব টুরিস্ট ভিসার খরচ কত?

সৌদি আরব টুরিস্ট ভিসা খরচ আগের তুলনায় অনেকটা কমেছে। বাংলাদেশ থেকে অনেক এজেন্সি রয়েছে যারা সৌদি আরবের যাওয়ার জন্য টুরিস্ট ভিসা দিয়ে থাকেন। 

সরাসরি চাইলে ঢাকাতে গিয়ে এই সকল এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি টুরিস্ট ভিসা নিয়ে নিতে পারেন। তাহলে খুব কম খরচের মধ্যেই হয়ে যাবে।কেননা এই ক্ষেত্রে আপনাকে কোন দালালের শরণাপন্ন হতে হচ্ছে না।

সৌদি আরবে কাজের বেতন কত?

সৌদি আরবে কাজের  জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে লোক নেওয়া হয়ে থাকে।তাই অনেকেই সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি বা কোন কাজের জন্য কত টাকা বেতন দেওয়া হয়ে থাকে এই বিষয়ে জানতে চান। সৌদি আরবে পাইপ ফিটার, অটো মোবাইল, ইলেকট্রনিক, রাজমিস্ত্রি, নির্মাণ কাজ, আরো অনেক ধরনের কাজ রয়েছে। 

এই সকল কাজের ধরন অনুযায়ী বেতনের পরিমাণ কম বেশি হয়ে থাকে। নিচে কোন কাজের জন্য কত টাকা সৌদি প্রবাসীরা বেতন পেয়ে থাকেন তা নিয়ে কিছুটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করা হলোঃ

সৌদি আরব ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত?

অনেকে ড্রাইভিং ভিসা নিয়ে সৌদি আরবে যাই। যারা ড্রাইভিং ভিসায় সৌদি আরবে কাজ করে থাকেন তাদের বেতন অন্যদের তুলনায় অনেকটা বেশি। একজন ভালো ড্রাইভার সৌদি আরবে প্রতিমাসে ৩৫০০ থেকে ৪০০০ রিয়াল মাসিক বেতন পেয়ে থাকেন। 

যা সাধারণত বাংলাদেশী টাকায় আসতেছে এক লাখ টাকা থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে। তবে ড্রাইভিং ভিসায় তারা আরো অনেক ধরনের সুযোগ সুবিধা ও বেতন বোনাস পেয়ে থাকেন যা অনেকটা অসাধারণ।

সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন কত?

সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বা স্পন্সর ভিসায় যারা যায় তাদের বেতন তুলনামূলকভাবে অনেকটা কম। অর্থাৎ মালয়েশিয়াতে যদি কোন ব্যক্তি কোম্পানি ভিসায় যায় তাহলে সে প্রতি মাসে সর্বনিম্ন ৪০ হাজার টাকা আয় করলেও সৌদি আরবে বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করে মাসে ত্রিশ হাজার টাকা ইনকাম করাও অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। 

বর্তমানে সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন হচ্ছে নতুনদের জন্য ৮০০-১০০০ রিয়াল। যা বাংলাদেশি টাকায় ৩০ হাজার টাকার কাছাকাছি আসে।

সৌদি আরবে সর্বনিম্ন বেতন কত?

সৌদি আরবে নতুন কর্মীদের জন্য সর্বনিম্ন বেতন কত বা একজন নতুন কর্মী সৌদিতে গিয়ে কত টাকা বেতন পাবেন এই বিষয়ে জানা আছে কি?যদি সৌদিতে আপনার পরিচিত কেউ না থাকেন তাহলে নতুন ভাবে যদি কোন কোম্পানিতে কাজের উদ্দেশ্যে যান তাহলে বেতন আসবে ৯০০-১০০০ রিয়াল মতো।পরবর্তীতে আপনার অভিজ্ঞতা বাড়ার সাথে বেতনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। 

তবে যারা ইলেকট্রনিক্যাল কাজ করে থাকেন তারা সৌদি আরবে অনেক বেশি বেতন পেয়ে থাকেন। তাছাড়া এই সকল কাজে ওভারটাইম কাজ করে আরও অনেক টাকা ইনকাম করা যায়।

সৌদি আরব ফ্রি ভিসা বেতন কত?

সৌদি আরবে ফ্রি ভিসায় গিয়ে অনেক ধরনের কাজ করা যায়।মসজিদ পরিষ্কারের কাজ, ইলেকট্রনিক কাজ, রাজমিস্ত্রির কাজ ও আরো অনেক ধরনের কাজ সৌদি ফ্রি ভিসায় গিয়ে করে থাকেন। এই কাজগুলোর ধরনভেদে বেতনের পরিমাণ কম বেশি হয়ে থাকা। 

সৌদি আরবে যারা রাজমিস্ত্রির কাজ করে থাকেন তারা দৈনিক ৭০ থেকে ৮০ রিয়াল টাকা আয় করে থাকেন।যারা একটু অভিজ্ঞ মিস্ত্রি রয়েছে দিন ১০০ থেকে ১২০ রিয়াল পর্যন্ত আয় করেন।

সৌদি আরবে কোন কাজের বেতন বেশি?

সৌদি আরবের অল বাইক ও বলদিয়া কোম্পানিতে সবচেয়ে বেশি টাকা বেতন দিয়ে থাকে। অর্থাৎ সৌদি আরবে যে সকল কোম্পানি রয়েছে তাদের সবার থেকে বেশি সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে এই কোম্পানির দুটি এবং এখানে বেতনের পরিমাণ অন্যান্য কোম্পানিগুলো তুলনায় অনেক বেশি। 

এই কোম্পানিতে কাজ অনেক সহজ হওয়ায় অনেকের এই সকল কোম্পানিতে কাজ করার স্বপ্ন থাকে। তাছাড়া যারা কন্সট্রাকশনের কাজ করে থাকে তারা অনেক বেশি ইনকাম করে থাকেন। যদি কনস্ট্রাকশনের কাজ শিখে গিয়ে নিজেরা সৌদি আরবে বিল্ডিং ধরে কাজ করতে পারেন তাহলে ভালো টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো?

সৌদি আরবে কাজের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য যদি ভিসা করে থাকেন তাহলে সৌদি ফ্রি ভিসা করাই ভালো।সৌদি ফ্রি ভিসা করার মাধ্যমে আপনারা চাইলে নিজের পছন্দ অনুযায়ী যে কোন স্থানে কাজ করতে পারবেন।

তবে সৌদিতে ফ্রি ভিসা আসতে হলে একটাই পরামর্শ থাকবে কনস্ট্রাকশনের কাজ শিখে তারপরে আসবেন তাহলে এখানে অনেক ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।কেননা সৌদিতে কনস্ট্রাকশনের কাজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে এবং এই সকল কাজ করে এখানে অনায়াসেই লাখ টাকা ইনকাম করা যায়।

পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে সৌদি ভিসা চেক?

সৌদিতে যাওয়ার আগে ভিসাটি অরজিনাল নাকি নকল অবশ্যই সেটা চেক করে নেওয়া উচিত। কেননা অনেক এজেন্সি বা দালাল রয়েছে তাদের কাছ থেকে ভিসা করলে অনেকের নকল ভিসা দিয়ে থাকেন। যার ফলে সৌদিতে যাওয়ার পর অনেকেই কাজ না পেয়ে হতাশ হয়ে থাকেন এবং অনেক ধরনের সমস্যায় পড়ে থাকেন। 

তাই অবশ্যই সৌদি আরব যাওয়ার আগে নিজের ভিসাটি একবার হলেও চেক করে নেওয়া উচিত।বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে সৌদি ভিসা চেক করা যাচ্ছে। সৌদি আরবের ভিসা চেক করার জন্য প্রথমেই আপনাদেরকে https://visa.mofa.gov.sa/VisaPerson/GetApplicantData এই লিংকটি ব্যবহার করে একটি ওয়েবসাইটে চলে যেতে হবে।

এখানে সবকিছু আরবীতে আছে আপনারা চাইলে ইংরেজি ভাষায় করে নিতে পারেন। ওয়েবসাইটটিতে যাওয়ার পর আপনাদের সামনে নিচের মত একটি পেজ চলে আসবে। এখানে আপনার পাসপোর্ট নাম্বার লিখতে হবে। 

Visa type অপশনে work বা অন্যান্য যে ক্যাটাগরির  ভিসা সেটা উল্লেখ করতে হবে। তারপরে জাতীয়তা সিলেক্ট করতে হবে।জাতীয়তা সিলেক্ট করা হয়ে গেলে Visa Issuing Authority যেহেতু saudi mission in dhaka হবে তাই এখানে ঢাকা সিলেক্ট করতে হবে।

তারপরে এখানে ইমেজ কোড টি সঠিকভাবে লেখা হয়ে গেলে সার্চ করতে হবে। তাহলে আপনার ভিসার স্ট্যাটাসটি এখান থেকে দেখে নেওয়া যাবে। আপনার ভিসাটি অরজিনাল নাকি নকল খুব সহজেই চাইলে এভাবে যাচাই করে নিতে পারবেন।

সৌদি ভিসার মেয়াদ কতদিন থাকে?

সৌদি আরবে যদি কেউ ভ্রমণ ভিসা যায় তাহলে তার মেয়াদকাল হয়ে থাকে ৩০ দিন থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত। অর্থাৎ সৌদি টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে সর্বনিম্ন ৩০ দিন থেকে সর্বোচ্চ ৯০ দিন পর্যন্ত সৌদিতে অবস্থান করা যাবে।সৌদিতে ফ্রি ভিসা নিয়ে যদি কেউ যাই তাহলে ভিসার মেয়াদ হবে এক বছর।

পরবর্তীতে তাকে আকামা করে ভিসার মেয়াদ বাড়াতে হবে।আর কোম্পানি ভিসা বা স্পন্সর ভিসায় গেলে সেখানে মেয়াদকাল উল্লেখ করা থাকবে যে কতদিনের জন্য আপনি কোম্পানিতে কাজ করতে পারবেন।

বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যেতে কত সময় লাগে?

বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব খুবই অল্প সময়ের মধ্যে যাওয়া যায়। বেশিরভাগ লোকই বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে ফ্লাইটে ভ্রমণ করে থাকেন। 

ফ্লাইটে করে গেলে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টার মতো সময় লেগে থাকে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব পৌঁছাতে। তবে অনেক ক্ষেত্রে এই সময়ের পরিমাণটা বাতাসের গতির ওপর নির্ভর করে কম বেশি হয়ে থাকে।

সৌদি আরব যেতে কত বছর বয়স লাগে?

সৌদি আরব যেতে হলে অবশ্যই বয়সের একটি নিয়ম রয়েছে।সৌদি আরবে যদি কেউ কাজের ভিসায় যেতে চান তাহলে ব্যক্তির সর্বনিম্ন বয়স ২১ বছর হতে হবে।অর্থাৎ যাদের বয়স ২১ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে তারা খুব সহজেই সৌদিতে কাজের ভিসায় যেতে পারবেন। 

যদি কারো বয়স ২১ বছরের নিচে হয় তাহলে কোনোভাবেই সে কাজের ভিসা নিয়ে সৌদিতে যেতে পারবে না।

বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবের বিমান ভাড়া কত?

বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবের বিমান ভাড়া কত নেওয়া হয়ে থাকে এই নিয়ে অনেকের প্রশ্ন রয়েছে।বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যেতে বিমান ভাড়া লাগছে ৬৪০০০ টাকা থেকে ৭০ হাজার টাকার মধ্যে। ঢাকা থেকে সৌদি আরবের রিয়াদে যেতে ইকোনোমি ক্লাসের একমুখী সর্বোচ্চ ভাড়া ৭০ হাজার টাকার মধ্যে হয়ে যায়।

সৌদি ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি ইন বাংলাদেশ?

বাংলাদেশে কয়েকটি জনপ্রিয় সৌদি ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি রয়েছে যারা দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বস্ততার সাথে কাজ করে আসছে। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বাংলাদেশে মোট ১৮ টি সৌদি ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি রয়েছে। তাদের মধ্যে জনপ্রিয় কিছু ভিসা প্রশস্তি এজেন্সির নাম নিচে তুলে ধরা হলোঃ
  • জিতকো বিডি সার্ভিস
  • লামিক এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড
  • এসকে গ্লোবাল সার্ভিস
  • আলমুর কনসালটেন্সি সেন্টার
  • মিডল ইস্ট কনসালটেন্সি
  • বিএস সার্ভিসেস
  • আলবারজান কনসালটেন্সি
এই সকল এজেন্সি গুলো বাংলাদেশ বর্তমানে খুবই জনপ্রিয়। তাই সরাসরি এদের সাথে যোগাযোগ করে সৌদির ভিসা প্রসেসিং সম্পূর্ণ করে ফেলতে পারেন।

শেষ কথা,সৌদি আরব ভিসা পাওয়ার উপায়, সৌদি আরব যেতে কত টাকা লাগে ও সৌদির ভিসা সম্পর্কিত অনেক বিষয় সম্পর্কে আজকের পোস্টটি পড়ে মোটামুটি ধারণা পেয়েছেন। তারপরেও যদি এই নিয়ে কোন ধরনের প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। খুবই দ্রুততম সময়ের মধ্যে আপনার মূল্যবান প্রশ্নটির উত্তর দেওয়া হবে। ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বর্তমান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url