ভিসা করতে কি কি লাগে - ভিসা কিভাবে করতে হয়

ভিসা হচ্ছে কোন দেশে যাওয়ার জন্য প্রধান অনুমতি পত্র। অর্থাৎ এই অনুমতি পত্র ব্যবহার করে আমরা এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেতে পারি। বৈধভাবে এক দেশ থেকে অন্য দেশের যেতে হলে অবশ্যই ভিসা প্রয়োজন রয়েছে। সকল দেশে অবস্থিত বিদেশস্ত দূতাবাস গুলো ভিসা প্রদান করে থাকে।
ভিসা
ভিসা
ভিসা করার জন্য আমাদেরকে কিছু শর্তাদি পালন করতে হয়। তাই আজকের পোস্টে ভিসা কিভাবে করতে হয় ভিসা করতে কি কি লাগে বা ভিসা করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করবো।তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাকঃ

ভিসা কিভাবে করতে হয়?

আপনি যদি এক দেশ থেকে অন্য দেশে কাজের জন্য যেতে চান তাহলে অবশ্যই সর্বপ্রথম ভিসা প্রয়োজন হবে। ভিসার মেয়াদ অনুযায়ী কেউ চাইলে উক্ত দেশে অবস্থান করতে পারবেন। যেকোনো ব্যক্তি চাইলে ভিসা আবেদন করতে পারবেন না। ভিসা আবেদন করার জন্য যোগ্যতা প্রয়োজন এবং কিছু শর্তাদি রয়েছে যেগুলো পালন করে নতুন ভিসার জন্য আবেদন করা যায়।

ভিসা করতে কি কি লাগে?

কোন ব্যক্তি যদি ভিসা করতে চাই তাহলে কিছু ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে। নিচে ভিসা করার জন্য কি কি লাগে তা উল্লেখ করা হলোঃ
  • আবেদন কারী ব্যক্তির অবশ্যই একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে ও পাসপোর্টে অবশ্যই ছয় মাসের বেশি মেয়াদ থাকতে হবে।
  • পাসপোর্টে ন্যূনতম তিনটা খালি পৃষ্ঠা অবশ্যই থাকতে হবে।
  • ভিসার জন্য আবেদন পত্রে পাসপোর্ট নাম্বার সঠিকভাবে উল্লেখ থাকতে হবে।
  • ভিসা আবেদনপত্রের নামটি সঠিকভাবে উল্লেখ করতে হবে।
  • আবেদনপত্রে অবশ্যই স্ক্যান করা ছবি থাকতে হবে।
  • পূর্ববর্তী পাসপোর্ট যদি থেকে থাকে তাহলে মূল পাসপোর্ট এর সাথে সংযুক্ত করতে হবে। আর যদি কোন ভাবে হারিয়ে যায় তাহলে সে ক্ষেত্রে জিডি কপি সংযুক্ত করতে হবে।
  • বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা ইউটিলিটি বিলের সাথে মিল থাকতে হবে।
  • পেশার বিবরণ টি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
  • জন্মের তারিখ জাতীয় পরিচয় পত্র ও জন্ম নিবন্ধন সনদের সাথে মিল থাকতে হবে।
  • আবেদন পত্রটি পূরণ করার আট দিনের মধ্যেই আবেদন পত্রটি ভিসা সেন্টারের জমা দিতে হবে।
  • ভিসা আবেদন জমাদানকারী সেন্টার ও টাকা জমা দানকারী সেন্টারের নাম এক হতে হবে।
  • ভিসা করার জন্য সাধারণত আবেদন পত্রের সাথে এই ডকুমেন্টগুলো প্রয়োজন হয়ে থাকে। 
  • এই ডকুমেন্টগুলো যদি থেকে থাকে তাহলে যে কোন ব্যক্তি চাইলে যে কোন ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

ভিসা আবেদন ফি কত টাকা | ভিসা করতে কত টাকা লাগে

ভিসা করতে কত টাকা লাগে এই নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন রয়েছে। তবে আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে প্রথমে বলে রাখি পৃথিবীতে যেহেতু অনেক দেশ রয়েছে তাই দেশ ও কাজের ধরন অনুযায়ী ভিসা খরচ কম বেশি হয়ে থাকে। যদি কেউ মালয়েশিয়াতে কাজের ভিসায় যেতে চাই তাহলে তার ভিসা খরচ দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। 

আবার যদি কেউ ভারতে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চাই তাহলে তার ভিসা খরচ ৫০ হাজার টাকা থেকে ৬০ হাজার টাকার মধ্যে আসতে পারে। তাহলে অবশ্যই বুঝতে পারছেন ভিসার ক্যাটাগরি ও দেশ অনুযায়ী এই খরচটা কম বেশি হয়।

ভিসা পেতে কতদিন লাগে?

ভিসা পেতে কতদিন লাগে এটা নির্ভর করবে আপনি কোন দেশের ভিসা করছেন ও কোন ধরনের ভিসা করছেন এটার উপর। যেমন ধরুন সিঙ্গাপুর টুরিস্ট জন্য ৩০ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে ভিসা পেতে। 

আবার কেউ যদি থাইল্যান্ডের টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করে থাকেন তাহলে তার পাঁচ থেকে সাত দিনের মতো সময় লাগতে পারে ভিসা হাতে পেতে। এমনিভাবে আপনি যে দেশের জন্য ভিসা আবেদন করবেন ভিসার ধরন অনুযায়ী সময়ের পরিসীমা কমবেশি হতে পারে।

ভিসার মেয়াদ কত দিন হয়ে থাকে?

টুরিস্ট ভিসা, কাজের ভিসা, চিকিৎসা ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা অনেক ধরনের ভিসা প্রচলিত রয়েছে। অর্থাৎ এই ভিসা গুলোর ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিসা খরচ ও ভিসার মেয়াদ আলাদা হয়ে থাকে।ধরুন কেউ যদি অস্ট্রেলিয়াতে পড়াশোনার জন্য স্টুডেন্ট ভিসায় যাই তাহলে কোর্সের সময়সীমা অনুযায়ী ভিসার মেয়াদ তিন থেকে চার বছর পর্যন্ত হতে পারে। 

সময়সীমা শেষ হয়ে গেলে আবার তাকে দেশে ফেরত আসতে হয়।কেউ যদি কাতারে টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে ভ্রমণ করতে চাই তাহলে সর্বনিম্ন ৩০ দিন থেকে সর্বোচ্চ ৯০ দিন পর্যন্ত অবস্থান করতে পারবেন তারপরে আবার তাকে দেশে ফেরত আসতে হবে।

মালয়েশিয়াতে কাজের ভিসা বা স্পন্সর ভিসা নিয়ে যদি কেউ যেতে চাই তাহলে কাজের ভিসায় যতদিন সময়সীমা উল্লেখ করা রয়েছে ততদিন পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় কাজ করতে পারবেন।এভাবে ভিসার ক্যাটাগরি বা ধরন অনুযায়ী মেয়াদ কমবেশি হয়ে থাকে।

ভিসা করার সহজ পদ্ধতি?

যদি নিজে ভিসা আবেদন করতে না পারেন তাহলে বাংলাদেশে অনেক স্বীকৃত এজেন্সি রয়েছে তাদের সাহায্যে করতে পারেন। এই সকল এজেন্সি গুলো সরকারি লাইসেন্স ভুক্ত তাই ভিসা আবেদন থেকে শুরু করে ভিসা হাতে পাওয়া পর্যন্ত সকল ধরনের দায়িত্ব তারা নিবে। 

এক্ষেত্রে শুধু আপনাকে অর্থ প্রদান করতে হবে।যারা ভিসা করার জন্য কোন ধরনের ভোগান্তি নিতে চান না তারা এই সকল এজেন্সি গুলোর সাহায্য নিয়ে  থাকেন।

শেষ কথা, আশা করি আজকের পোস্টটি যারা মনোযোগ সহকারে পড়েছেন ভিসা কিভাবে করতে হয়, ভিসার মেয়াদ কতদিন হয়ে থাকে,ভিসা করতে কত টাকা লাগে এই বিষয়ে পরিপূর্ণ ধারণা পেয়েছেন।

তাই উক্ত পদ্ধতিতে চাইলে যেকোনো ব্যক্তি ভিসা আবেদন করতে পারেন। তারপরেও যদি এই নিয়ে কোন ধরনের প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বর্তমান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url