পাসপোর্ট সংশোধন - পাসপোর্ট সংশোধন করতে কত টাকা লাগে

অনেকেই পাসপোর্ট সংশোধন করার নিয়ম জানেন না। জাতীয় পরিচয় পত্র রয়েছে তারা চাইলে জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসারে খুব সহজেই পাসপোর্ট সংশোধন করে নিতে পারবেন। 
পাসপোর্ট সংশোধন
পাসপোর্ট সংশোধন
তাছাড়া সম্প্রতি পাসপোর্ট সংশোধন বিষয়ে নতুন একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে যার মাধ্যমে নতুন নিয়মে পাসপোর্ট সংশোধন করতে হবে। অনেকেই পাসপোর্ট সংশোধন করার নতুন অঙ্গীকারনামা সম্পর্কে জানেন না। 

তাই আজকের আর্টিকেলে পাসপোর্ট সংশোধন করার নিয়ম, পাসপোর্ট সংশোধন করতে কি কি লাগে ও পাসপোর্ট সংশোধন করতে কত টাকা লাগে এই নিয়ে মূল্যবান কিছু তথ্য দেওয়া হবে। যারা জানতে আগ্রহী অবশ্যই পড়া চালিয়ে যানঃ

পাসপোর্ট সংশোধন অঙ্গীকারনামা?

সম্প্রতি পাসপোর্ট সংশোধন করার জন্য নিয়মকানুন নিয়ে একটি অঙ্গীকারনামা প্রকাশ করা হয়েছে। নিম্নে পাসপোর্ট সংশোধন অঙ্গীকারনামা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হলঃ 

বাংলাদেশের বসবাসরত ও বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশের নাগরিকদের ভোটার আইডি কার্ড ও পাসপোর্টের মধ্যে তথ্যের ভুল থাকলে জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য অনুযায়ী পাসপোর্ট সংশোধন করতে হবে। তবে যারা অপ্রাপ্তবয়স্ক রয়েছেন তাদের জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী পাসপোর্ট সংশোধন করতে হবে।

 শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলে জেএসসি, এসএসসি ও দাখিল ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমমানের যেকোনো একটি সনদপত্র বিবেচনা করা যেতে পারে। পাসপোর্ট সংশোধন করার জন্য অবশ্যই লিখিত আবেদন করতে হবে। 

আবেদনপত্রের সাথে অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট ও সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিসে প্রদর্শিত নমুনা অনুযায়ী আবেদনকারীকে যথাযথভাবে একটি অঙ্গীকারনামা সঠিকভাবে পূরণ ও স্বাক্ষর প্রদান করে দাখিল করতে হবে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনকৃত জারিকৃত এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।

পাসপোর্ট সংশোধন করার নিয়ম?

পাসপোর্ট সংশোধন করতে চাইলে আপনাদেরকে ই পাসপোর্ট সংশোধন করার জন্য বা রিনিউ করার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে। তারপরে ই পাসপোর্টে আবেদন করে সকল তথ্য জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসারে দিতে হবে। 

পাসপোর্ট সংশোধন করার জন্য আপনারা নিচের দেওয়া তথ্য গুলো অনুসরণ করতে পারেনঃ
  • জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী সঠিক তথ্য প্রদান করতে হবে। 
  • যদি জাতীয় পরিচয় পত্র না থেকে থাকে তাহলে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, জন্ম নিবন্ধন, বিদেশের দূতাবাসে থেকে আবেদন করলে ড্রাইভিং লাইসেন্সের কপি সংযুক্ত করতে হবে।
  • অনলাইনে আবেদন করলে এ চালানোর মাধ্যমে পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করতে হবে।
  • পাসপোর্ট সংশোধন করার জন্য লিখিতভাবে আবেদন করতে হবে।
  • অবশ্যই অঙ্গীকারনামা তৈরি করতে হবে ও পাসপোর্ট সংশোধনের অঙ্গীকারনামা পূরণ ও স্বাক্ষর করে আবেদন ফরমের সাথে জমা দিতে হবে।
  • সকল কাগজপত্র সহিত আবেদন পত্রটি জমা দিতে হবে।
যারা অনলাইনের মাধ্যমে পাসপোর্ট সংশোধন আবেদন করতে চান তারা উক্ত পদ্ধতিতে খুব সহজেই করতে পারবেন।

পাসপোর্ট সংশোধন করতে কত টাকা লাগে?

অনেকের বিভিন্ন কারণে পাসপোর্ট সংশোধন করার প্রয়োজন পড়ে। যার কারণে অবশ্যই পাসপোর্ট সংশোধন ফি সম্পর্কে ধারণা রাখা জরুরী। পাসপোর্ট সংশোধন করতে সাধারণত নতুন পাসপোর্ট ফি অনুযায়ী ৪০২৫ টাকা থেকে শুরু করে ১০৩৫০ টাকা হতে পারে। 

এক্ষেত্রে সংশোধন করার জন্য আলাদা বা অতিরিক্ত কোন ফি পাসপোর্ট অফিস থেকে নেওয়া হয় না। যারা পাসপোর্ট সংশোধন করতে চান তাদের পাসপোর্ট ফি অবশ্যই এ চালানের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে।

পাসপোর্ট সংশোধন করতে কি কি লাগে বা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র?

পাসপোর্ট সংশোধন করার জন্য অবশ্যই প্রয়োজনীয় কিছু ডকুমেন্ট লাগবে। এই ডকুমেন্টগুলো ব্যতীত কোনভাবেই পাসপোর্ট সংশোধন আবেদনটি গৃহীত হবে না। যেমনঃ
  • জাতীয় পরিচয় পত্র লাগবে।
  • অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন হবে।
  • প্রবাসীরা যদি আবেদন করেন তাহলে কাজের সার্টিফিকেট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স লাগবে।
  • অতিরিক্ত ডকুমেন্ট হিসেবে শিক্ষাগত সনদ ও জন্ম নিবন্ধন লাগবে।
  • লিখিত আবেদন করতে হবে।
  • অঙ্গীকারনামা প্রয়োজন হবে।
  • পুরাতন পাসপোর্টের কপি লাগবে
যারা পাসপোর্টে স্থায়ী ঠিকানা সংশোধন করতে চান তাদের এই ডকুমেন্টগুলো প্রয়োজন হবে।

পাসপোর্ট নাম সংশোধন?

অনেকেই পাসপোর্টে নাম কিভাবে সংশোধন করতে হয় এই বিষয়ে জানেন না।পাসপোর্ট এর নাম সংশোধন করতে হলে জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। 

যারা ভোটার আইডি কার্ড পাননি তাদের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন লাগবে। এই তথ্যগুলো দেওয়ার মাধ্যমে খুব সহজে পাসপোর্ট এর নিজের নাম ও পিতা পাতার নাম সংশোধন করা যায়।

পাসপোর্ট সংশোধন করার ফরম?

পাসপোর্ট সংশোধন করার ফরম ডাউনলোড করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিন। 

পাসপোর্টে জন্ম তারিখ সংশোধন করার নিয়ম?

যদি কারো পাসপোর্টে জন্ম তারিখ সংশোধন করতে হয় তাহলে অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য অনুযায়ী করতে হবে। 

এক্ষেত্রে আবেদনকারী ব্যক্তির অতিরিক্ত ডকুমেন্ট হিসেবে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ লাগতে পারে। যারা এখনো ভোটার হতে পারেনি বা অপ্রাপ্তবয়স্ক তাদের ক্ষেত্রে জন্ম তারিখ অনুযায়ী সংশোধন করে নেওয়া যাবে।

পাসপোর্ট সংশোধন করতে কতদিন লাগে?

পাসপোর্ট সংশোধনের জন্য আবেদন করলে রেগুলার পাসপোর্ট করার জন্য আগে যেমন সময় লেগেছিল তেমন লাগবে। পাসপোর্ট সংশোধন সম্পূর্ণভাবে হতে ১৫ থেকে ২১ দিনের মত সময় লেগে থাকে। 

তবে কেউ জরুরি অবস্থার জন্য ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে পেয়ে যেতে পারেন। অনেকের ক্ষেত্রে আবার দুই কার্য দিবসের মধ্যে পাসপোর্ট সংশোধন হয়ে যায়।

কারো বয়স যদি ১৮ বছরের বেশি হয়ে যায় এবং জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকে তাহলে কি পাসপোর্ট সংশোধন আবেদন করতে পারবে?

অনেকে ভোটার  নিবন্ধন করার জন্য আবেদন করেছেন কিন্তু ১৮ বছরের বেশি বয়স হয়ে গিয়েছে কিন্তু জাতীয় পরিচয় পত্র নেই তারা চাইলে জন্ম নিবন্ধন সনদ ও শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ অনুযায়ী আবেদন করতে পারবেন।

ই পাসপোর্টে কোন ভুল হয়ে থাকলে সেটা কি সংশোধন করা যায়?

ই পাসপোর্ট করার সময় যদি কোন ভুল তথ্য দিয়ে থাকেন তাহলে পরবর্তীতে অনলাইনের মাধ্যমে ই পাসপোর্ট ও সংশোধন করা যাবে। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বর্তমান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url