নার্ভ কি - নার্ভ এর কাজ কি - নার্ভের রোগের লক্ষণ কি কি

নার্ভ কি? আমরা অনেকেই এই বিষয়টি সম্পর্কে জানি না। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা নার্ভ কি? এটি কিভাবে কাজ করে? এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আশা করি আপনি আজকের এই আর্টিকেল থেকে নার্ভ কি? তা জেনে নিতে পারবেন।

পেজ সূচিপত্রঃ নার্ভ কি - নার্ভ এর কাজ কি - নার্ভের রোগের লক্ষণ কি কি

নার্ভ কি?

আমাদের শরীর নার্ভ দিয়ে গঠিত। আমরা অনেকেই এটি জানার শর্তেও নার্ভ কি? বিষয়টি সম্পর্কে বুঝতে পারি না। নার্ভ শব্দের অর্থ হলো স্নায়ু। দেহের অন্তবিশেষ এর সাহায্যে সংবেদন ও পেশি ক্রিয়া নির্বাহিত হয় সাধারণত তাকেই নার্ভ বা স্নায়ু বলা হয়। দেহের অস্থি বন্ধনী বা পেশি বন্ধনীকে সোজা কথায় নার্ভ বা স্নায়ু বলা হয়।

আরো পড়ুনঃ এক সপ্তাহে চুল ঘন এবং লম্বা করার কার্যকারী উপায়

একটি স্নায়ু নিউরনের অক্সিনের একগুচ্ছ বদ্ধ বান্ডেল বা প্রান্তীয় স্নায়ু তন্ত্রের অংশ। এর মধ্য দিয়ে প্রান্তীয় অঙ্গে তড়িতের রাসায়নিক সংকেতের আদান প্রদান করা হয়। আশা করি নার্ভ কি? এ বিষয়টি সম্পর্কে আপনি একটা ধারণা পেয়েছেন।

নার্ভ এর কাজ কি?

নার্ভ কি? এ বিষয়ে আমরা সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেছি। যেহেতু সৃষ্টিকর্তা মানুষের দেহকে অনেক সুন্দর করে তৈরি করেছেন তাই আমরা অনেকেই নার্ভ এর কাজ কি? এ বিষয় সম্পর্কে জানিনা। কিন্তু নার্ভ হলো আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। নার্ভ এর কাজ কি? বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

নার্ভ এর বাংলা অর্থ হলো স্নায়ু। সাধারণত স্নায়ু এর মধ্য দিয়ে প্রান্তীয় অঙ্গে তড়িৎ রাসায়নিক সংকেত আদান প্রদান করা হয়। কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে অনুরূপ গঠনকে নিউরাল ট্রাক্ট বলে। স্নায়ু বা ভ নার্ভ দুই ধরনের কাজ করে থাকে সেগুলো হলঃ

১। গ্রাহক কাজ

২ প্রেরক কাজ

গ্রাহক কাজঃ দেহের বিভিন্ন অংশ থেকে উদ্দীপনা গ্রহণ করে এবং উদ্দীপনাকে কেন্দ্রীয় স্নেহ তন্ত্রের নিয়ে যায়। এটাই হল গ্রাহক স্নায়ু গুলোর কাজ।

প্রেরক কাজঃ কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে বিভিন্ন ধরনের নির্দেশ বা অনুভূতি বিভিন্ন কারক অঙ্গে পৌঁছে দেওয়া এটি হলো এই স্নায়ুতন্ত্রের কাজ।

নার্ভের রোগের লক্ষণ কি কি?

অনেক সময় বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের শরীরের অনেক অংশের কাজ করা বন্ধ হয়ে যায়। সাধারণত তাই আমাদের বিভিন্ন রকমের রোগ এর সাথে সাথে নার্ভের রোগ হয়ে থাকে। নার্ভের রোগের লক্ষণ কি কি? এ বিষয়ে জানা থাকলে আমরা খুব সহজেই এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারবো। নিচে আপনাদের সুবিধার্থে নার্ভের রোগের লক্ষণ কি কি? বিষয়টি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

আমাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে কার্যক্ষমতা অনেকটা হারিয়ে দেয় স্নায়ুতন্ত্র গুলো। নার্ভের রোগের লক্ষণ কি কি? উল্লেখ করা হলোঃ

  • নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে চলাফেরা করা।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে ডিপ্রেশনে থাকা
  • অনিচ্ছাকৃত চলাফেরা করা
  • হ্যালুসিনেশন হওয়া
  • স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া।
  • হাটা চলায় সমস্যা হওয়া।
  • ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন এছাড়া কথায় পরিবর্তন হওয়া।

নার্ভের রোগের কি ওষুধ

সাধারণত প্রথমে আমাদেরকে নার্ভ কি? এ বিষয়টি সম্পর্কে জানতে হবে তাহলে আমরা সঠিকভাবে এর চিকিৎসা করাতে পারবো। এখন নার্ভের রোগের কি ওষুধ এ বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করব। যেহেতু নার্ভ অর্থাৎ স্নায়ু আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ তাই নার্ভের ব্যথা কমানোর জন্য নার্ভের রোগের কি ওষুধ? সে সম্পর্কে জানানো হলো।

যে কোন ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই আমাদের ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নেওয়া উচিত। কারণ যেহেতু স্নায়ু খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ আমাদের শরীরের জন্য তাই যে কোন ওষুধ খেলে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে যার ফলে সমস্যা আরো বেড়ে যেতে পারে। তাই আমাদেরকে নার্ভের রোগের কি ওষুধ খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিতে হবে।

আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার - ডায়াবেটিস থেকে চিরতরে মুক্তি

নার্ভ ১২ ট্যাবলেট একটি কব্লামিন বা কোবাল্টের সাথে মিথাইল গ্রুপের ভিটামিন বি টুয়েলভ এর একটি অংশ। যা শরীরকে রক্তের কোষ তৈরি করতে সহযোগিতা করে। এছাড়া ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে যেগুলো অবলম্বন করে আমরা নার্ভ এর সমস্যার সমাধান করে নিতে পারব।

কি খেলে নার্ভ ভালো থাকে

আমাদের নার্ভ ভালো রাখতে খাবার অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বেশ কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে আমাদের নার্ভ এর কর্মক্ষমতা আরো বেড়ে যায়। তাই আমাদেরকে কি খেলে নার্ভ ভালো থাকে? এ বিষয়ে সম্পর্কে জানতে হবে। কি খেলে নার্ভ ভালো থাকে? খাবারগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।

আপেল সিডার ভিনেগার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এছাড়া আপনি যদি নার্ভের ব্যথায় ভুগে থাকেন তাহলে এই চিকিৎসা নিতে পারেন এটি খুবই কার্যকরী এবং উপকারী একটি চিকিৎসা। এর উপকারিতা রয়েছে ভিনেগারের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম।

ভিটামিন বি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন বি গ্রহণ লোহিত রক্ত কণিকা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাদের শরীরের হাড় এবং স্নায়ু গুলোকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ভিটামিন বি এর ঘাটতির কারণে অনেক স্নায়ু ব্যথায় ভোগে থাকেন। সাধারণত ব্যথা কমানোর জন্য আমাদেরকে ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।

স্নায়ু ভালো রাখতে ডিম দুধ এবং অন্যান্য খাবার গুলো নিজের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। এর সাথে অবশ্যই ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার গুলো খেতে হবে। তাহলে আপনি স্নায়ু ব্যথা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন এছাড়া স্নায়ু সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

সঠিক এবং সুষম ডায়েট চার্ট সহ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাদ্য তালিকা তৈরি করতে হবে এবং সেখানে বয়স এবং খাদ্য অভ্যাস ওজন এবং লিঙ্গর উপর ভিত্তি করে খাদ্য তালিকা তৈরি করা হয়। সাধারণত ডাক্তারের দেওয়া খাদ্য তালিকা অনুযায়ী আমাদেরকে আমাদের শরীরের স্নায়ুগুলোকে ঠিক রাখতে হবে।

নার্ভের ভিটামিন কি?

আমাদের শরীরের বিভিন্ন রকমের উদ্দীপনা সঠিক জায়গাতে পৌঁছাতে স্নায়ুতন্ত্র অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নার্ভের ভিটামিন কি? এ বিষয়ে সম্পর্কে আমাদের জেনে থাকা উচিত। যেহেতু স্নায়ু আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই নার্ভের ভিটামিন কি? তা উল্লেখ করা হলো।

আমাদের শরীরের স্নায়ু গুলোর পুষ্টির অন্যতম একটি উৎস হলো ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার সমূহ। আপনি যদি নিয়মিত ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার খেয়ে থাকেন তাহলে স্নায়ুর বিভিন্ন রকম সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। বিশেষ করে যাদের স্নায়ুর দুর্বল বা যারা স্নায়ুর সমস্যায় খুব কষ্ট পাচ্ছেন তাদের জন্য ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া খুবই জরুরী।

নার্ভ এর সমস্যা

আপনি যদি নার্ভ কি? জেনে থাকেন তাহলে ইতিমধ্যে এটি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এখন আমরা নার্ভ এর সমস্যা সম্পর্কে আলোচনা করব। যদি বিভিন্ন রকমের পুষ্টি জনিত সমস্যা হয় তাহলে আমাদের শরীরে নার্ভ এর সমস্যা সমস্যা দেখা যায় যার ফলে অনেক ব্যক্তি রয়েছে। নার্ভ এর সমস্যা গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।

নার্ভ এর সমস্যা মধ্যে অন্যতম হলো মাইগ্রেনের ব্যথা। বেশ কিছু ট্রিগার ফ্যাক্টরর হলো মাইগ্রেনের ব্যাথার অন্যতম একটি কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কখনো একটি কখনো বা একাধিক ট্রিগার ফ্যাক্টর মিলেমিশে ডেকে আনতে পারে।

আরো পড়ুনঃ স্মৃতিশক্তি সৃজনশীলতা উন্নত করতে মস্তিষ্কের ব্যায়াম

হান্টিংটিন ডিজিজ একটি নিউরো ডিজেনারেটিভ রোগ বা বংশানুক্রমে অর্থাৎ কোন শিশুর বাবা-মা অর্থাৎ তার বংশের কেউ যদি এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে তার নার্ভ এর সমস্যা হয়েছে বুঝতে হবে। এই চিকিৎসাটি মোটামুটি ৩০ থেকে ৫০ এর মধ্যে দেখা দিয়ে থাকে।

নার্ভ কি - নার্ভ এর কাজ কি - নার্ভের রোগের লক্ষণ কি কিঃ শেষ কথা

নার্ভ কি? নার্ভ এর কাজ কি? নার্ভের রোগের লক্ষণ কি কি? কি খেলে নার্ভ ভালো থাকে? নার্ভের ভিটামিন কি? নার্ভ এর সমস্যা নার্ভের রোগের কি ওষুধ খেতে হবে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি প্রিয় বন্ধুরা আপনারা উক্ত বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এতক্ষণ আপনাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদের সাথে থাকার জন্য। এরকম গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন।১৬৮৩০

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বর্তমান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url