মাথার ব্রেন ভালো রাখার উপায় - ব্রেইন ওয়াশ করার উপায়

মাথার ব্রেন ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানতে চায়। আমরা সকলেই চাই যে আমাদের ব্রেন যেন ভালো হয়। বিশেষ করে পিতা-মাতা গণ মাথার ব্রেন ভালো রাখার উপায় খুঁজতে থাকে। তাদের জন্য আজকের এ আর্টিকেলে মাথার ব্রেন ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

আপনি যদি মাথার ব্রেন ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেল জুড়ে আমাদের সঙ্গে থাকুন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে মাথার ব্রেন ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

পেজ সূচিপত্রঃ মাথার ব্রেন ভালো রাখার উপায় - ব্রেইন ওয়াশ করার উপায়

মাথার ব্রেন ভালো রাখার উপায়

আমরা সকলে চাই যে আমাদের ব্রেন যেন ভালো হয়। বিশেষ করে আমাদের পিতা-মাতারা আমাদের প্রেম ভালো করার জন্য ছোটতে অনেক কিছুই করে থাকে। কিন্তু মাথার ব্রেন ভালো রাখার উপায় রয়েছে। অবশ্যই সে উপায় গুলো যদি আমরা অবলম্বন করি তাহলে আমাদের মাথার ব্রেন ভালো থাকবে। সেই জন্য আমাদেরকে অবশ্যই মাথার ব্রেন ভালো রাখার উপায়গুলো জেনে নিতে হবে।

আরো পড়ুনঃ ১৫ টি উপায়ে যেভাবে লম্বা হওয়া যায় - দ্রুত লম্বা হওয়ার উপায়

জানার আগ্রহ বাড়াতে হবেঃ আপনি যদি আপনার ব্রেন বৃদ্ধি করতে চান তাহলে অবশ্যই যে কোন বিষয়ে আপনার জানার আগ্রহ বাড়াতে হবে। অবশ্যই সে বিষয়টি শিক্ষনীয় বিষয় হতে হবে। যে কোন বিষয়ে যদি আপনার জানার আগ্রহ থাকে তাহলে বিষয়টি আপনার ব্রেনে অনেকদিন পর্যন্ত থাকবে।

নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবেঃ ব্রেন ভালো রাখার উপায় এবং শরীর ভালো রাখার উপায় হল নিয়মিত ব্যায়াম করা। আমরা সকলেই এই বিষয়টি জানি প্রতিদিন ব্যায়াম করলে আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমে যায় এবং আমাদের শরীর ভালো থাকে। এছাড়া ব্যায়াম করার মাধ্যমে মস্তিষ্ক সবসময় ফ্রেশ থাকে। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।

মেডিটেশন করতে হবেঃ আমরা অনেক সময় বিভিন্ন রকম চিন্তাভাবনার মধ্যে থাকি। যার ফলে আমাদের ব্রেনের কার্যকারিতা কমে যায় অথবা আমাদের শরীরে বিরূপ প্রভাব পড়ে। আপনি যদি প্রতিদিন 15 থেকে 20 মিনিট মেডিটেশন করতে পারেন তাহলে এটি আপনার কাজের প্রতি মনোযোগ বাড়াবে এবং আপনার ব্রেনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করবে।

টেলিভিশন ও মোবাইল কম দেখতে হবেঃ বিশেষ করে আমাদের মধ্যে ছোটরা সারাদিন টেলিভিশন এবং মোবাইল নিয়ে পড়ে থাকে। এটি তাদের ব্রেনের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। তাই পিতামাতাদের উচিত হবে সন্তানদের সবসময় মোবাইল অথবা টেলিভিশন না দেখিয়ে কিছু শিক্ষা দেওয়া অথবা বই পড়ানোর অভ্যাস করা।

সৃজনশীল চিন্তা করতে হবেঃ প্রতিদিন বাড়িতে বসে নতুন নতুন আইডিয়া তৈরি করুন। সবসময় কিছু নতুন তৈরি করার চেষ্টা করুন সৃজনশীল চিন্তা করুন। যার ফলে আপনার ব্রেনের কার্যকরীতে আরো বৃদ্ধি পাবে। আপনি যদি আপনার ব্রেনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই সৃজনশীল চিন্তা করতে হবে।

পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমঃ ব্রেন ভালো রাখার জন্য অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম যান তাহলে আপনার ব্রেন সবসময় স্থির থাকবে এবং শান্ত থাকবে। এক্ষেত্রে আপনার ব্রেনের কার্যকারিতা অন্যান্য সময়ের তুলনায় আরব বৃদ্ধি পাবে।

রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখুনঃ আমরা অনেকেই রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি না অতিরিক্ত রাগ আমাদের মস্তিষ্কের জন্য খুবই বিপদজনক। অতিরিক্ত পরিমাণে রেগে গেলে এটি আমাদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। তাই স্মৃতিশক্তি ভালো রাখার জন্য অবশ্যই আমাদেরকে রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিনঃ আপনি শিক্ষার্থী হন অথবা চাকরিজীবী যে কোন কাজ করার পরে অবশ্যই বিশ্রাম নিতে হবে। আপনি যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে আপনার শরীর এবং মস্তিষ্ককে বিশ্রাম দেন তাহলে এটির কার্যকারিতা আরো বৃদ্ধি পাবে। তাই আপনাকে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিতে হবে।

ব্রেন ভালো রাখার খাবার

ব্রেন ভালো রাখার খাবার সম্পর্কে অনেকেই জানতে চায়। ব্রেন ভালো রাখার জন্য খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে খাবার গুলো ব্রেনের জন্য ভালো অবশ্যই ব্রেন ভালো রাখার জন্য আমাদেরকে সেই ব্রেন ভালো রাখার খাবারগুলো খেতে হবে।

বাদাম জাতীয় খাবারঃ বাদাম জাতীয় খাবারের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই। সঠিক মাত্রায় ভিটামিন ই আমাদের মস্তিষ্কের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। ব্রেন ভালো রাখার জন্য অবশ্যই আপনাকে প্রতিদিন বাদাম জাতীয় খাবার খেতে হবে যেমন কাজু চিনা বাদাম পেস্তা ইত্যাদি।

মটরশুটি খেতে পারেনঃ মটরশুটির মধ্যে রয়েছে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করার উপাদান সমূহ। মটর শুটির রক্ত চিনির মাত্রা কে স্থিতিশীল রাখে। যদি আপনি প্রতিদিন মটরশুঁটি খেতে পারেন তাহলে এটি আপনার ব্রেন ভালো রাখতে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।

অ্যাভোকাডোঃ মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি একটি ফ্যাটি ফল তা আপনি যদি আপনার মস্তিষ্ক ভালো রাখতে চান তাহলে অ্যাভোকাডো খেতে পারেন।

ডালিম খেতে পারেনঃ ডালিমে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এছাড়া মস্তিষ্ককে রক্ষা করতে পারে এটি। তাই নিয়মিত আপনি ডালিম খেতে পারেন।

তৈলাক্ত মাছঃ তৈলাক্ত মাছ খাওয়া মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য উপকারী। বিভিন্ন রকমের মাছ রয়েছে যেগুলো তৈলাক্ত তাই ব্রেনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করার জন্য তৈলাক্ত মাছ খেতে পারেন।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবারঃ ব্রেনের সঠিকভাবে কাজ করার জন্য প্রয়োজন প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি এবং এনার্জি। ব্রেন ভালো রাখার জন্য এই খাবারগুলো খাওয়া খুবই কার্যকরী। স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ব্রেন হেলথ এর জন্য খুবই জরুরী উপাদান।

মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির উপায়

মাথার ব্রেন ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি। আপনি যদি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির উপায় খুঁজে দেখেন তাহলে উপরের আলোচনা করা উপায় গুলো অবলম্বন করতে পারেন। এছাড়া আপনার সুবিধার্থে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির উপায় নিচে উল্লেখ করা হলো।

সামুদ্রিক মাছ ও মাছের তেল খেতে পারেনঃ মানুষের মাথার প্রায় বেশিরভাগ অংশই ফ্যাট। এ ফ্যাট ভালো পরিমাণে থাকে সামুদ্রিক মাছের অথবা যে সকল মাছের তেল বেশি রয়েছে। মস্তিষ্কের প্রদাহ কমায় ও মস্তিষ্ক কে রক্ষা করে। এছাড়া মাছের তেলে ওমেগা থ্রি পাওয়া যায় যা আমাদের ব্রেনের জন্য উপকারী।

ডার্ক চকলেট খেতে পারেনঃ ডার্ক চকলেট এর মধ্যে রয়েছে কিছু উপাদান যা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান। কোন কিছু শেখা ও স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য এই উপাদানটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনি নিয়মিত ডাক চকলেট খেতে পারেন।

চা অথবা কফিঃ চা অথবা কফি আমাদেরকে সজাগ করতে সাহায্য করে। এছাড়া মস্তিষ্কের কার্যদক্ষতা বৃদ্ধি করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মস্তিষ্কের তৈরি বিষাক্ত উপাদান অপসারণে এগুলোর কার্যকরিতা রয়েছে।

নিয়মিত পানি খাবেনঃ মস্তিষ্কের ৭৫ শতাংশ পানি। তাই আপনি যদি আপনার মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। পানি আমাদের শরীর এবং আমাদের মস্তিষ্ককে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।

ডিম খেতে পারেনঃ ডিমের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান যা আমাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে এবং মস্তিষ্ক গঠনে সাহায্য করে। তাই আপনি আপনার ব্রেন ভালো করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। এটি আপনার ব্রেনের জন্য কার্যকরী হবে।

মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর খাবার

অনেক খাবার রয়েছে আমাদের মস্তিষ্কের জন্য উপকারী বেশ কিছু খাবার রয়েছে আমাদের মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। খাবার খাওয়ার আগে অবশ্যই আমাদেরকে মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর খাবার সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর খাবার গুলোর নিচে উল্লেখ করা হলো।

আরো পড়ুনঃ কিশমিশের ৩০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা

ফ্যাট যুক্ত খাবারঃ এ সকল খাবার মুখরোচক হলেও এগুলো মস্তিষ্কের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এসব খাবার যদি প্রায় খাওয়া হয় তবে এটি ব্রেনের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। ব্রেনের কার্যকারিতা কমিয়ে তুলবে। তাই আপনাকে ব্রেন ভালো রাখার জন্য অবশ্যই ফ্যাট যুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে।

অ্যালকোহল জাতীয় খাবারঃ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য এবং ব্রেনের জন্য অ্যালকোহল খুবই মারাত্মক। আপনি যদি আপনার স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চান এবং ব্রেন ভালো রাখতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় থেকে দূরে থাকতে হবে।

জাঙ্ক ফুডঃ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হলো জাঙ্ক ফুড। এ খাবার গুলো খেতে যদিও অনেক মজার কিন্তু এটি আমাদের শরীরে এবং ব্রেনে বিরূপ প্রভাব ফেলে। তাই ব্রেন ভালো রাখার জন্য শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য আমাদেরকে জাং ফুট থেকে দূরে থাকতে হবে।

লবণঃ যারা বেশি পরিমাণ লবণ খায় অথচ শরীর চর্চা করে না অন্যদের তুলনায় তাদের জ্ঞানের স্তর অনেক কম। লবণ খেতে হবে কিন্তু পরিমাপ মতো। অতিরিক্ত পরিমাণে লবণ খেলে এটি শরীরের বিরূপ প্রভাব ফেলবে।

কম শর্করার ডায়েটঃ ওজন কমাতে হলে অবশ্যই আপনাকে শর্করা জাতীয় খাবার খাওয়া বাদ দিতে হবে। এছাড়া মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমাতে এটি সাহায্য করে। তাই আপনাকে কম শর্করা ডায়েট মেনে চলতে হবে।

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির উপায় ইসলাম

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির উপায় ইসলাম সম্পর্কে জানা একজন মুসলিমের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে কোন কাজে নির্দেশনা ইসলামে দেওয়া রয়েছে। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির উপায় ইসলামে বলা হয়েছে। একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের অবশ্যই সেগুলো জানা উচিত। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির উপায় ইসলাম কি বলে নিচে উল্লেখ করা হলো।

ইখলাস বা আন্তরিকতাঃ আপনি যদি যেকোন কাজে সফল হতে চান তাহলে ভেতরে অবশ্যই ইখলাস বা আন্তরিকতা থাকতে হবে। ক্লাসের মূল উপাদান হচ্ছে বিশুদ্ধ নিয়ত করা। আমাদের নিয়ত হবে এমন যে আল্লাহ আমাদের স্মৃতিশক্তি যেন একমাত্র ইসলামের কল্যাণের জন্যই বৃদ্ধি করে দেয়।

দোয়া এবং জিকির করাঃ আমরা জানি যে আল্লাহু ছাড়া আমাদের সাহায্য করার মত আর কেউ নেই। যেকোনো কিছু চাইতে হলে আমাদের আল্লাহ তাআলার কাছে যাইতে হবে। এজন্য আমাদের উচিত আল্লাহতালার কাছে দোয়া করা এবং সবসময় জিকিরের মধ্যে থাকা।

পাপ থেকে দূরে থাকতে হবেঃ আমরা অনেক সময় আমাদের অজান্তে অথবা নিজের ইচ্ছাতে বিভিন্ন রকমের পাপ করে থাকি কিন্তু আমাদেরকে এ সকল পাপ থেকে দূরে থাকতে হবে। এবং আল্লাহতালার কাছে দোয়া করতে হবে যেন আল্লাহ তায়ালা আমাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে দেয় এবং সেগুলো আমাদের ইসলামের কাজে ব্যয় করতে পারি।

অন্যকে শেখানোঃ কোন কিছু শেখার একটি উত্তম উপায় হল অন্যকে শেখানো। আপনাকে এই বিষয়ে বারবার ও বিভিন্ন উৎস থেকে পড়তে হয়। এতে করে ওই বিষয়টি আমাদের স্মৃতিতেই হবে গেঁথে যায়। তাই আপনি আপনার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করার জন্য অন্যকে শেখাতে পারেন।

ব্রেনের জন্য উপকারী খাদ্য গ্রহণঃ আমরা ইতিমধ্যে ব্রেনের জন্য উপকারী খাদ্য গুলো সম্পর্কে আলোচনা করেছি। অবশ্যই ব্রেনের কার্যকর বৃদ্ধি করার জন্য উপরের খাদ্যগুলো খেতে হবে। এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই কার্যকরী এবং ব্রেনের জন্য উপকারী।

মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখার উপায় - ব্রেইন ওয়াশ করার উপায়

অন্যের চিন্তাভাবনার মধ্যে আপনার নিজের চিন্তা ভাবনার প্রভাব খাটিয়ে মানসিকভাবে তাকে আপনার নিজের আদর্শ চিন্তাভাবনার দিকে ধাবিত করাকেই ব্রেইন ওয়াশ বলে। ব্রেইন ওয়াশ করার উপায় সম্পর্কে অনেকেই জানতে চায়। তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলে ব্রেইন ওয়াশ করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। এছাড়া মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখার উপায় সম্পর্কে জানা জরুরী।

১। মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখার উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো গ্রিন টি খাওয়া। সবুজ চা অর্থাৎ গ্রিন টি মস্তিষ্কের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং উপকারী। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী। মস্তিষ্ককে ঠান্ডা রাখতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

আরো পড়ুনঃ মাসিকের ব্যথা কমানোর ৫টি উপায় - মাসিকের ব্যথা কমানোর ৪টি ওষুধ

২। হলুদের কথা উঠলে আমরা তাকে মসলা হিসেবে বিবেচনা করি কিন্তু মসলার বাইরে হলুদের অনেক উপকারিতা রয়েছে। হলুদের চা খেলে মস্তিষ্ক ঠান্ডা থাকে এবং এটি মস্তিষ্কের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

৩। লেবু পানি খেতে পারেন। লেবু পানি আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। লেবু সহজেই পাওয়া যায় বলে এদের তৈরি করা খুবই সহজ। এতে রয়েছে ভিটামিন সি ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এ ছাড়া আরো অনেক পুষ্টি উপাদান। যা আমাদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে ও মস্তিষ্ককে ঠান্ডা রাখে।

৪। গরম চকলেট খেতে পারেন। ব্রেনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করার জন্য অথবা ব্রেনকে ঠান্ডা রাখার জন্য গরম চকলেট অর্থাৎ ডার্ক চকলেট খাওয়ার কার্যকারিতা রয়েছে। ব্রেন কে ঠান্ডা রাখার জন্য আপনি ডার্ক চকলেট খেতে পারেন।

মাথার ব্রেন ভালো রাখার উপায় - ব্রেইন ওয়াশ করার উপায়ঃ শেষ কথা

ব্রেইন ওয়াশ করার উপায়, মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখার উপায়, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির উপায় ইসলাম, মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর খাবার, মাথার ব্রেন ভালো রাখার উপায়, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির উপায়, ব্রেন ভালো রাখার খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। প্রিয় বন্ধুগণ আশা করি আপনারা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম গুরুত্বপূর্ণ এবং স্বাস্থ্যমূলক পোস্ট করতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন।১৬৮৩০

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বর্তমান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url