ক্যালকুলেটর দিয়ে সমাধান - ক্যালকুলেটর ফাংশন

আপনি কি জানেন ক্যালকুলেটর দিয়ে সমাধান বা ক্যালকুলেটর ফাংশন সম্পর্কে? আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় ক্যালকুলেটর দিয়ে সমাধান ও ক্যালকুলেটর ফাংশন। ক্যালকুলেটর দিয়ে সমাধান জানতে আপনি পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 

আমরা সকলেই কম বেশি ক্যালকুলেটর শব্দটির সাথে পরিচিত। সাধারণত ক্যালকুলেটর হিসাব করার কাজে ব্যবহার করা হয়। এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে  ক্যালকুলেটর দিয়ে সমাধান প্রক্রিয়াটি জানার চেষ্টা করব।

পোস্ট সূচিপত্র : ক্যালকুলেটর দিয়ে সমাধান - ক্যালকুলেটর ফাংশন

সবচেয়ে ভালো ক্যালকুলেটর  

আমরা অনেকেই সবচেয়ে ভালো ক্যালকুলেটর সম্পর্কে কিছুই জানিনা। ক্যালকুলেটর ইংরেজি শব্দ যার অর্থ গণনা কারি যন্ত্র। এটি একটি গণনাকারী যন্ত্র যেটা ব্যাটারি বা সোলার অথবা বিদ্যুৎ দিয়ে চলে। গঠন এবং আকারের ভিত্তিতে ক্যালকুলেটর বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। সাধারণত ক্যালকুলেটর দুই প্রকারের হয়। 

যেমন সাধারণ এবং সাইন্টিফিক ক্যালকুলেটর। ক্যালকুলেটর জগতের সবচেয়ে জনপ্রিয় নাম হচ্ছে ক্যাসিও অর্থাৎ সবচেয়ে ভালো ক্যালকুলেটর। কিন্তু বর্তমানে এর দুই নম্বর প্রোডাক্টও বের হয়েছে। এছাড়াও সাইন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার হয়ে থাকে ব্যাপক পরিমাণে। আমরা উচ্চ মাধ্যমিক ক্লাস গুলো থেকেই সাইন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে আসছি। আমার পার্সোনাল মতে সাইন্টিফিক ক্যালকুলেটর সবচেয়ে সেরা।

ক্যালকুলেটর শিক্ষা   

আমরা অনেকেই প্রাথমিক ক্যালকুলেটর শিক্ষা জানিনা। তাহলে আসুন জেনে নিই ক্যালকুলেটর শিক্ষা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।প্রথমেই বলেছি ক্যালকুলেটরের মধ্যে সাইন্টিফিক ক্যালকুলেটর সবচেয়ে সেরা। এই ক্যালকুলেটর দিয়ে সাধারণত মেটিক্স, ভেক্টর, জটিল সংখ্যা সমীকরণ সমাধান ইত্যাদি কাজগুলো সহজেই করা যায়। 

  • ক্যালকুলেটরের Mode বাটন থেকে ম্যাট্রিক্স নোট সিলেক্ট করে ম্যাট্রিক্সের ম্যাথ গুলো ক্যালকুলেটর এই করে ফেলা সম্ভব।
  • সাধারণত বহু নির্বাচনী প্রশ্নের উত্তর আমাদের অনেক ভোগায়। খাতা-কলমে করতে গেলে বেশ সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। তাই ম্যাট্রিক্সের যোগ, বিয়োগ, গুন, ভাগ ট্রান্সপোর্ট ইত্যাদি ক্যালকুলেটর এর মাধ্যমে দ্রুত করা সম্ভব।
  • ভেক্টর এর অংক গুলো এই ক্যালকুলেটরের সাহায্যে করতে পারবেন। Mode এ যেয়ে ভেক্টর মোড সিলেক্ট করে হেক্টরের ম্যাথ গুলো নিমিষেই করা যেতে পারে।
  • জটিল সংখ্যা কে দুই ভাগে প্রকাশ করা সম্ভব কার্তেসীয় স্থানাঙ্ক এবং পোলার স্থানাঙ্ক। তুমি জেনে অবাক হবে যে পোলার স্থানাঙ্ককে কার্তেসীয় এবং কার্তেসীয় স্থানাঙ্ক কে পোলার স্থানাঙ্ক রূপান্তর করা যায়। 
  • সাইন্টিফিক ক্যালকুলেটর এর সাহায্যে এক মুহূর্তেই দুই বা তিন চলকের সমীকরণ সমাধান করা সম্ভব। এক্ষেত্রে আপনাকে Mode বাটন চেপে Eqn Mode এ নিয়ে যেতে হবে। তারপর কোন দুইবার তিনজনের সমীকরণের সমাধান সম্ভব মুহূর্তের মধ্যেই।

ক্যালকুলেটর এর ব্যবহার   

পড়াশোনায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি যন্ত্র হচ্ছে ক্যালকুলেটর। আমরা সবাই ক্যালকুলেটরের সাথে পরিচিত হলেও ক্যালকুলেটর এর ব্যবহার সম্পর্কে আমরা অনেকেই তেমন কিছুই জানিনা।ক্যালকুলেটর দিয়ে সমাধান করতে চাইলে আপনাকে প্রথমেই জানতে হবে ক্যালকুলেটর এর ব্যবহার।তাহলে চলুন আমরা সাইন্টিফিক ক্যালকুলেটর এর ব্যবহার জেনে নিই ।

  • SHIFT বাটনের কাজ

লক্ষ্য করে দেখবেন SHIFT লেখাটা যে কালারের অর্থাৎ YELLO কালার আপনার যদি সাইন্টিফিক ক্যালকুলেটর YELLO কালার এর কোন বাটন এর মানের দরকার হয় তাহলে প্রথমেই শিফট বাটন চাপতে হবে। 

আরো পড়ুন সেরা ১০ টি উইন্ডোজ এপ্লিকেশন সফটওয়্যার

যেমন উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় ধরুন আপনার Cube root এর মান প্রয়োজন। Cube root এর কালার হচ্ছে হলুদ। এর জন্য আপনাকে প্রথমে SHIFT বাটন চেপে তারপর Root বাটনটির চেক চাপলে ক্যালকুলেটরের ডিসপ্লেতে মানটি দেখা যাবে। 

  • ALPHA বাটন এর কাজ

ALPHA এবং SHIFT বাটনের কাজের সিস্টেম একই। ALPHA বাটনের কালার হচ্ছে পিংক। এখন আপনাকে যদি পিঙ্ক কালারের কোন মানের প্রয়োজন হয় প্রথমে আপনাকে ALPHA বাটন চাপতে হবে।

  • ব্রাইটনেস কমানো এবং বাড়ানো

ব্রাইটনেস বাড়ানোর জন্য ক্যালকুলেটরের MODE বাটনটি 6 বার চাপতে হবে। তো দেখবেন Disp -1 এবং CONT -2 নামে দুইটা অপশন আসবে। এখন আপনি CONT -2 এর জন্য নাম্বার বাটন চাপুন। দেখবেন LIGHT এবং DARk নামে দুটি অপশন আসছে।

এখন আপনি ক্যালকুলেটরের REPLAY বাটনের Left বাটন চাপলে ডিসপ্লের আলো বাড়বে এবং Right বাটন চাপলে ডিসপ্লের আলো কমবে।

  • ক্যালকুলেটর Reset দেওয়ার পদ্ধতি

ক্যালকুলেটর Reset দেওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমেই ক্যালকুলেটরের CLR অর্থাৎ ক্লিয়ার বাটনটি খুঁজে বের করতে হবে। তারপর লক্ষ্য করবেন CRL এই লেখাটি কোন কালারের যদি হয় তাহলে আপনাকে SHIFT চাপতে হবে তারপর CLR বাটন চাপলে যে অপশন আসবে সেখান থেকে All -3 অর্থাৎ তিন নম্বর বাটন চাপতে হবে। পরবর্তীতে সমান = চিহ্ন চাপলে RESET হয়ে যাবে।

ক্যালকুলেটর বন্ধ করার উপায়   

ক্যালকুলেটর দিয়ে সমাধান করতে আমরা সবাই জানি। কিন্তু অনেক সময় আমরা ক্যালকুলেটর বন্ধ করার উপায় জানিনা। চলুন এই সম্পর্কে কিছু ইনফরমেশন জানি। ক্যালকুলেটরের অফ বাটন ছাড়া ক্যালকুলেটর বন্ধ করার অনেকগুলো নিয়ম রয়েছে। অফ বাটন ছাড়া ক্যালকুলেটর কিভাবে সহজ উপায় বন্ধ করবেন তা জানুন। ক্যালকুলেটর প্রথমে অন করুন। তারপর ধারাবাহিক ভাবে +(যোগ),_ (বিয়োগ), % ( শতকরা) অপশন চাপুন। তারপর ক্যালকুলেটরে Check অপশনে ক্লিক করুন। তারপর Correct এই অপশানে দুইবার চাপ দিন। ব্যাস দেখবেন আপনার ক্যালকুলেটর অফ হয়ে যাবে।

ক্যালকুলেটর কত প্রকার   

ক্যালকুলেটর কত প্রকার জানেন? বর্তমান বাজারে বিভিন্ন ধরনের ক্যালকুলেটর এসেছে। বিভিন্ন ধরনের ক্যালকুলেটরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চলে সাইন্টিফিক ক্যালকুলেটর। যার দ্বারা আমরা অনেক জটিল সমস্যার সমাধান করে থাকে থাকি। বর্তমানে ক্যালকুলেটরের বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে যেমন আকার এবং গঠন ভেদে ক্যালকুলেটর দুই ধরনের হয়। 

যেমন সাধারণ ক্যালকুলেটর এবং সাইন্টিফিক ক্যালকুলেটর। সাধারণ ক্যালকুলেটর সাধারণত আকারে ছোট হয় এবং এতে ২০ থেকে ৩০ টার মতো বাটন থাকে। অন্যদিকে সাইন্টিফিক ক্যালকুলেটর আকার বেশ বড় এতে ফাংশন অনেক বেশি থাকে যার জন্য ক্যালকুলেটর দিয়ে সমাধান করা সম্ভব জটিল সমস্যার। চল্লিশটি বেশি বাটন থাকে। সাইন্টিফিক ক্যালকুলেটর এর দাম সাধারণ ক্যালকুলেটর এর চেয়ে অনেক বেশি।

আরো পড়ুন ৩৮ টি সেরা গুগল ক্রোম এক্সটেনশনের কালেকশন

প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে ক্যালকুলেটর দিয়ে সমাধান ও ক্যালকুলেটর ফাংশন বর্ণনা করার চেষ্টা করেছি। ক্যালকুলেটর দিয়ে সমাধান আর্টিকেলটি যদি আপনাদের কাছে হেল্পফুল মনে হয় তাহলেই কেবল আমাদের কষ্ট সার্থক হবে বলে মনে করি। এ ধরনের আরও আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। তাহলে আজ এ পর্যন্তই কথা হবে অন্য কোন আর্টিকেল নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ। ২৩২৬১

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বর্তমান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url