ওমিক্রন এর লক্ষণ | ওমিক্রন এর চিকিৎসা

অমিক্রন রোগটি করোনাভাইরাস এর মত খুবই দ্রুত সময়ের মধ্যে ছড়িয়ে যেতে পারে। এটা মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এড়িয়ে চলে যার কারণে টিকাটি তেমন কার্যকর হয় না। কোন ব্যক্তি যদি অমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে পরবর্তীতেও তার অমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ওমিক্রন
ওমিক্রন
আজকের পোস্টে অমিক্রন এর লক্ষণ কি, অমিক্রন প্রথম কোথায় সনাক্ত হয় ও অমিত্রণ  চিকিৎসা কেমন হবে তা নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে।

ওমিক্রন প্রথম কোথায় শনাক্ত হয়?

অমিক্রন রোগটি সর্বপ্রথম শনাক্ত হয়েছিলো দক্ষিণ আফ্রিকাতে। দক্ষিণ আফ্রিকাতে সনাক্ত হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই অমিত্রণ রোগটি খুবই দ্রুত সময়ের মধ্যে পৃথিবীর আরো ১১টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে।

দক্ষিণ আফ্রিকার ডাক্তারদের মতে এটা মৃত উপসর্গ নিয়ে রোগীর শরীরে প্রকাশ পেয়ে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে এর চিকিৎসার জন্য রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।

ওমিক্রন এর লক্ষ্মণ কি?

ওমিক্রন আক্রান্ত ব্যক্তিদের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার প্রয়োজন পড়ে না। তবে বেশিরভাগ অমিক্রণ রোগীদের সংক্রমিত হওয়ার পর কিছু লক্ষণ প্রকাশ পেয়ে থাকে। যেমনঃ
  • রোগী হঠাৎ করে গায়ে ব্যথা অনুভব করতে পারে। 
  • অর্থাৎ রোগীর গায়ে ব্যথা হওয়ার কোন কারণ না থাকলেও হঠাৎ করে গায়ে ব্যাথার সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
  • অমিক্রন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মাথা ব্যথার সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। 
  • কেননা বেশিরভাগ রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসার দেওয়ার সময় তাদের সাক্ষাৎকার এমনই ছিলো।
  • অর্থাৎ তারা হঠাৎ করে মাথা ব্যাথার সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন।
  • রোগী অনেক ক্ষেত্রে স্বাদ ও গন্ধ হারিয়ে ফেলতে পারে অমিক্রণে আক্রান্ত হলে।
  • তাই ভ্যাকসিন দেওয়ার পর যদি এই ধরনের সমস্যাগুলো সৃষ্টি হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।
  • অমিত গ্রহণ রোগটিতে যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের অনেকের ভাষ্যমতে অনেকের এই সময়টাতে ক্লান্তির মতো ভাব আসতে পারে। 
  • অর্থাৎ অকারণেই সকল সময় ক্লান্তি বোধ হতে পারে।
  • তাছাড়া রোগীর নখ ধূসর হয়ে যেতে পারে,রোগী রাতে প্রচন্ড ঘামতে পারেন, ঠোট নীল হয়ে যেতে পারে ও চুলকানির মতো সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে।

ওমিক্রন এর চিকিৎসা?

অমিক্রন রোগটি হলে ঘরোয়াভাবে কিভাবে প্রতিকার করা যায় এই নিয়ে অনেকের প্রশ্ন রয়েছে। অমিক্রন পজিটিভ হলে আপনারা কাঁচা আদা চিবিয়ে খেতে পারেন। কেননা এটা সর্দি-কাশির পাশাপাশি বমি ভাব দূর করে থাকে। তাছাড়া দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টির জন্য এই সময় ঘন ঘন খাবার গ্রহণ করতে হবে। 

এই সময়টাতে ডায়েটে রাখতে হবে রঙ্গিন সালাত ও ফলমূল। প্রতিদিন এই সময়ে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, ও, ডি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। তাছাড়া তুলসী পাতার পেস্ট তৈরি করে এর সাথে মধু মিশিয়ে খেলে ভাল উপকার পাওয়া যায়।

শেষ কথা, অমিত্রন রোগটি হলে রোগীদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করলে অল্প সময়ের মধ্যেই এই রোগটি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। 

তবে রোগীর অবস্থা যদি খুবই খারাপ হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই এই ক্ষেত্রে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত এবং সেই অনুযায়ী চিকিৎসা করা উচিত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বর্তমান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url