জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে - জন্ম নিবন্ধন আবেদন

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদনের সঠিক নিয়ম অনেকেই জানেন না। জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার আগে অবশ্যই প্রত্যেকেরই আবেদন পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত ও আবেদন করতে কি কি লাগে এটাও জানা উচিত। আজকের নিবন্ধনটিতে খুব সহজেই জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
জন্ম নিবন্ধন
জন্ম নিবন্ধন
জন্ম নিবন্ধন প্রতিটি ব্যক্তির কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একজন নাগরিকের জন্ম নিবন্ধন হচ্ছে নাগরিকত্বের প্রথম রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। জন্ম নিবন্ধনের মাধ্যমে একজন নাগরিকের প্রয়োজনীয় তথ্য সরকারের কাছে লিপিবদ্ধ করা থাকে। বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্ম নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক।

জন্ম নিবন্ধনের সকল তথ্য সঠিক না থাকলে পরবর্তীতে এই ভুলের কারণে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। তাই প্রত্যেকেরই সঠিক নিয়মে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করা উচিত। নির্ভুল ভাবে কিভাবে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করা যায় তা ধাপে ধাপে দেখানো হয়েছে।

নতুন জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করার নিয়ম?

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করা খুবই সহজ। অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে হলে আপনাদেরকে https://bdris.gov.bd/br/application ওয়েব সাইটে ভিজিট করতে হবে এবং সেখানে গিয়ে জন্ম নিবন্ধন আবেদন বাটনের টিক মার্ক দিয়ে পরবর্তী ধাপে চলে যেতে হবে। তারপরে আবেদনকারীকে জন্ম নিবন্ধন ফরমে, নাম, জন্মতারিখ, পিতা মাতার নাম সহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য তথ্য প্রদান করতে হবে।

আবেদনকারী শিশু হলে প্রথমেই তাদের ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে ফরমটি পূরণ করতে হবে। জন্ম নিবন্ধন আবেদনকারী ব্যক্তির নাম বাংলায় ও ইংরেজিতে লিখতে হবে। তারপরে জন্ম তারিখের ঘরে প্রথমে দিন তারপরে মাস ও তারপরে বছর উল্লেখ করতে হবে। তারপরে পিতা মাতার কত নাম্বার সন্তান সেটা বাছাই করতে হবে। পুরুষ না মহিলা লিঙ্গ সিলেক্ট করতে হবে তারপরে ঠিকানা সঠিকভাবে দিয়ে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে।

জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে?

অতীতে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন ভিত্তিক না থাকলেও এখন প্রত্যেকের জন্ম নিবন্ধনকে অনলাইন ভিত্তিক করা হয়েছে। অনলাইনে যারা জন্ম নিবন্ধন করতে চান তাদের অবশ্যই কিছু ডকুমেন্ট লাগে। অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন করতে হাসপাতালে ছাড়পত্র, বাসা বাড়ির কর, ট্যাক্স পরিশোধের রশিদ,ও পিতা মাতার সচল ফোন নাম্বার প্রয়োজন হয়। 

তাছাড়া আবেদনকারীর বয়স যত বেশি হবে তত ডকুমেন্ট বেশি লাগবে। নিম্নে বয়সের উপর ভিত্তি করে কি কি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগে তা উল্লেখ করা হলোঃ

আবেদনকারীর ০ থেকে ৪৫ দিন বয়স হলে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট?

  • শিশুর টিকা কার্ড ও হাসপাতালে ছাড়পত্র লাগবে।
  • কর পরিশোধের রশিদ বা বাসা বাড়ির ট্যাক্স টোকেন লাগবে।
  • আবেদনকারীর অভিভাবকের একটি সচল মোবাইল নাম্বার প্রয়োজন হবে।
  • পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি লাগবে।
  • পিতা মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র বা এনআইডি কার্ড লাগবে।

আবেদনকারীর বয়স ৪০ থেকে ৫ বছর হলে জন্ম নিবন্ধন করার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট?

  • হাসপাতালে ছাড়পত্র বা টিকা কার্ড লাগবে।
  • বাসা বাড়ির ট্যাক্স টোকেন বা কর পরিশোধের রশিদ লাগবে।
  • পিতা মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ লাগবে।
  • পিতা মাতা অথবা আবেদনকারীর অভিভাবকের একটি সচল নাম্বার লাগবে।
  • প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের প্রত্যান পত্র প্রয়োজন হবে।

আবেদনকারীর বয়স পাঁচ বছরের বেশি হলে কি কি ডকুমেন্ট লাগবে?

আবেদনকারীর বয়স যদি পাঁচ বছরের বেশি হয় তাহলে তাদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কিছু ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে। যেমনঃ
  • চিকিৎসক কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্র প্রয়োজন হবে।
  • প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী অথবা জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট অথবা যে কোন পরীক্ষার স্কুল সার্টিফিকেট লাগবে।
  • পিতা-মাতার স্থায়ী ঠিকানার কর পরিশোধের রশিদ লাগবে।
  • পিতা মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি লাগবে।
  • বয়স প্রমাণের জন্য চিকিৎসক কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্র লাগবে।
আপাতত এই ডকুমেন্টগুলো হলেই জন্ম নিবন্ধন আবেদন করা যাবে পাঁচ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে।

নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম বা পদ্ধতি?

নতুন জন্ম নিবন্ধন এর জন্য যারা আবেদন করতে চান তারা নিচের দেখানো নিয়ম অনুযায়ী খুব সহজেই জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে পারবেন। নিচে ধাপে ধাপে জন্ম নিবন্ধন আবেদন পদ্ধতি দেখানো হয়েছেঃ

ধাপ ১ঃ

জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাদেরকে বাংলাদেশ জন্ম নিবন্ধন ও মৃত্যু নিবন্ধনের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। যারা নতুনভাবে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে চান তারা চাইলে https://bdris.gov.bd/br/application এই ঠিকানায় প্রবেশ করার পর যেখানে জন্ম নিবন্ধন করতে চান সেটি বাছাই করতে হবে। 

এখানে আপনাদেরকে জন্ম নিবন্ধন এর ঠিকানা দিতে হবে জন্ম নিবন্ধনের ঠিকানার জন্য শিশুর জন্মস্থান, স্থায়ী ঠিকানা, অথবা বর্তমান ঠিকানার যেকোনো একটি সিলেক্ট করতে হবে। এখানে থেকে যে ঠিকানা সিলেক্ট করবেন সেখান থেকে জন্ম নিবন্ধন সনদ পরবর্তীতে সংগ্রহ করা লাগবে। 

যদি কেউ বাংলাদেশের বাইরে থেকে দূতাবাসের মাধ্যমে আবেদন করেন তাহলে অবশ্যই দূতাবাসের ঠিকানা দিতে হবে।

ধাপ ২ঃ 

এখানে যার জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করছেন তার ব্যক্তিগত কিছু তথ্য দিতে হবে। এখানে ফর্মে অনেক অপশন দেখতে পারবেন এগুলো অবশ্যই আপনাদেরকে পূরণ করতে হবে। নিবন্ধনকারী ব্যক্তির নামের প্রথম এবং শেষ অংশ বাংলা এবং ইংরেজিতে লিখতে হবে। 

তারপরে জন্ম তারিখ লিখতে হবে এখানে জন্ম তারিখের ঘরে ক্লিক করলে ক্যালেন্ডার থেকে জন্মের দিন, সাল ও মাস সিলেক্ট করে নিতে পারবেন। জন্ম তারিখ ইনপুট করার সময় আপনারা এখানে একটি নোটিশ দেখতে পাবেন এবং এখানে লেখা থাকবে বয়সের উপর ভিত্তি করে জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগবে।

তারপরে পরিবারের কততম সন্তান পুরুষ না মহিলা সেটা সিলেক্ট করতে হবে। জন্মস্থানের ঠিকানা লিখতে হবে, ঠিকানা বাছাই করার ক্ষেত্রে আপনারা পর্যায়ক্রমে বিভাগ, জেলা,  উপজেলা,  ইউনিয়ন পরিষদ, গ্রামের নাম পাড়া ও মহল্লা এমন করে যা যা তথ্য লাগে সঠিকভাবে দিতে হবে।

যদি এক্ষেত্রে আপনি গ্রামের বাড়িতে বসবাস করে থাকেন অর্থাৎ শহরে না থাকেন ও বাসা বাড়ির নাম্বার না থাকে তাহলে আপনারা - বসিয়ে দিতে পারেন। সবকিছু সঠিকভাবে দেওয়া হয়ে গেলে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করতে হবে।

ধাপ ৩ঃ

পরবর্তী ধাপে আপনাদেরকে পিতা মাতার তথ্য প্রদান করতে হবে। এখানে আপনাদেরকে পিতামাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন নাম্বার যদি থেকে থাকে, পিতা মাতার নাম বাংলা ও ইংরেজি বড় অক্ষরে লিখতে হবে। তারপরে পিতা জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য দিয়ে পিতার তথ্য পূরণ করতে হবে। একইভাবে মাথার তথ্য ঘরে মাতার নাম বাংলা ও ইংরেজিতে দিতে হবে এবং মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র অনুসারে মাতার ঘরগুলি পূরণ করতে হবে।

তবে কারো যদি মাতা পিতার জন্ম নিবন্ধন সনদ না থাকে তাহলে কোন সমস্যা নেই। পিতা-মাতার তথ্য পূরণ করা হয়ে গেলে আবার পরবর্তী বাটনে ক্লিক করতে হবে।

ধাপ ৪ঃ 

এবার এই ধাপে আপনাদেরকে বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা নির্বাচন করতে হবে। যেহেতু আবেদনের শুরুতেই জন্মস্থানের ঠিকানা প্রদান করা হয়েছে তাই বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা লেখার জন্য উপরের ছবির ১ নং এর মত কোনটিনয় সিলেক্ট করতে হবে। 

তারপরে আপনাদের সামনে নতুন আরেকটি ঠিকানা লেখার জন্য ফরম চলে আসবে। এখানে প্রথমে জন্মস্থানের ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা দিতে হবে যদি আপনি আগে থেকে দিয়ে থাকেন তাহলে জন্মস্থানের ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা একই অপশনে টিক মার্ক দিতে হবে।

আর যদি বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা এক না হয় তাহলে তৃতীয় যে ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন এর মত করে স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমান ঠিকানা টিক মার্ক দিলে অটোমেটিক স্থায়ী ঠিকানা বর্তমান ঠিকানা এক হয়ে যাবে। ঠিকানা ভিন্ন হয়ে থাকলে আপনি নিজে থেকে পর্যায়ক্রমে দেশ, বিভাগ, জেলা, উপজেলা,  ইউনিয়ন পরিষদ ইত্যাদি সিলেক্ট করবেন।

ধাপ ৫ঃ

তারপরে আবেদনকারী ব্যক্তির তথ্য প্রদান করতে হবে। শিশুদের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধনের জন্য দায়ী ব্যক্তি হচ্ছেন পিতা-মাতা, পিতামহ, মাতামহ ও পরিবারের অন্যান্য অভিভাবক সমূহ। তাই তারা চাইলে শিশুর জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে পারবেন। 

তাছাড়া কোন ব্যক্তি যদি চান তাহলে নিজের জন্ম নিবন্ধন আবেদন নিজে করতে পারবেন। নিজের জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করলে নিজ সিলেক্ট করতে হবে। আর যদি অন্য কারো জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেন তাহলে সেই ব্যক্তির সাথে সবাই তো সম্পর্ক কি সেটা সিলেক্ট করতে হবে।

তারপরে আবেদনকারী ব্যক্তির একটি সচল মোবাইল নাম্বার দিতে হবে ।পরবর্তীতে জন্ম নিবন্ধন আবেদন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় বা আপডেট এই মোবাইল নাম্বারে পাঠানো হবে। তাছাড়া কেউ চাইলে একটি ইমেইল আইডি ব্যবহার করতে পারেন অথবা নাও করতে পারেন।

ধাপ ৬ঃ 

এবার আবেদনকারী কে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করতে হবে। ছোট বাচ্চাদের জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার জন্য টিকা কার্ডের স্ক্যান কপি ও জমি বা বাড়ির ট্যাক্স প্রদানের রশিদ আপলোড করে দিতে হবে। 

কেউ চাইলে এখানে একাধিক ফাইল সংযোজন করে দিতে পারেন। তবে অবশ্যই একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে আপনারা এখানে যে ফাইলগুলো আপলোড করবেন সেগুলো যেন 100kb নিচে হয়।অতিরিক্ত ফাইল জমা দিলেও সংযোজন বাটনে ক্লিক করতে হবে।

ধাপ ৭ঃ

ডকুমেন্ট আপলোড করা হয়ে গেলে সবকিছু সঠিকভাবে দিয়েছেন কিনা আরেকবার দেখে নিতে হবে। তারপরে আবেদন পত্রটি প্রিন্ট করে নিতে হবে। কেননা পরবর্তীতে আবেদন পত্র প্রিন্ট করা হয়ে গেলে এখানে একটি নাম্বার রয়েছে সেই নাম্বারটি প্রয়োজন হবে। 

আবেদন শেষ হয়ে গেলে এই নাম্বারটি নিয়ে উপজেলা নির্বাচন কমিশনের অফিস বা ইউনিয়ন পরিষদ অথবা পৌরসভা থেকে যোগাযোগ করে ১৫ দিনের মধ্যেই নিয়ে আসতে পারবেন। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে অনেক আগেই চলে আসতে পারে আবার কারো কারো ক্ষেত্রে দেরি হতে পারে।

এভাবে খুব সহজেই আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করে জন্ম নিবন্ধন সংগ্রহ করতে পারবেন।

জন্ম নিবন্ধন সংগ্রহ করার নিয়ম?

জন্ম নিবন্ধন আবেদন সম্পূর্ণ হয়ে গেলে আপনারা ১৫ দিনের মধ্যে যে আবেদন পত্র পিন নাম্বারটি ছিল সেটি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ অথবা পৌরসভাতে চলে যাবেন। তারপরে সেখান থেকে জন্ম নিবন্ধন সংগ্রহ করে আপনারা দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিবের স্বাক্ষর ও সেল নিয়ে জন্ম নিবন্ধনটি নিয়ে চলে আসবেন। যদি ১৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন সংগ্রহ করতে না চান তাহলে আপনার জন্ম নিবন্ধন আবেদনটি আবার বাতিল হয়ে যাবে।

জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফি কত | জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে কত টাকা লাগে

জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফি খরচের পরিমাণটা বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে থাকে। শিশুর বয়স ০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে হলে ফ্রিতেই জন্ম নিবন্ধন আবেদন করা যায়। যাদের বয়স ৪৬ দিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে তাদের জন্ম নিবন্ধন ফি দিতে হবে দেশে ২৫ টাকা ও বিদেশে ১ ডলারের মত। পাঁচ বছর পর জন্ম নিবন্ধন আবেদন করলে ফি ৫০ টাকা ও বিদেশে ১ ডলার। 

তাছাড়া জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য দেশে বিলম্ব ফি ১০০ টাকা ও বিদেশে দুই ডলার নেবে। তাছাড়া জন্ম নিবন্ধনের অন্যান্য তথ্য সংশোধন ও বাংলা ইংরেজি উভয় ভাষার সনদের নকল সংগ্রহ করার জন্য দেশে ৫০ টাকা ও বিদেশে ১ ডলার লাগবে।এটা হচ্ছে সাধারণত জন্ম নিবন্ধন আবেদন ও সংশোধন করার ফি।

যারা নতুন জন্ম নিবন্ধন এর জন্য আবেদন করে তাদের কি কি ডকুমেন্ট লাগে?

নতুন জন্ম নিবন্ধন সনদ আবেদন করার জন্য ইপিআই, টিকাকার্ড হাসপাতালের ছাড়পত্র , ও বাসা বাড়ির কর পরিষদের রশিদ পার ট্যাক্স পরিষদের রশিদ লাগবে। তাছাড়া আবেদনকারী ব্যক্তির অবশ্যই একটি সচল মোবাইল নাম্বার প্রয়োজন হবে।

বাচ্চাদের জন্ম নিবন্ধন করতে হলে পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন কার্ডটি কি অনলাইন করা থাকতে হবে?
অতীতে বাচ্চাদের জন্ম নিবন্ধন করতে হলে পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করা লাগতো। কিন্তু এখন সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী বাচ্চাদের জন্ম নিবন্ধন করার জন্য পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন কার্ডটি অনলাইন করা না থাকলেও চলবে।

জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার পর মোবাইলে কি কোন এসএমএস আসবে জন্ম নিবন্ধন নিয়ে আসার জন্য?

জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার জন্য আপনাদেরকে একটি সচল মোবাইল নাম্বার দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে। মোবাইল নাম্বার প্রদান করলে সেই মোবাইল নাম্বারে জন্ম নিবন্ধন বিষয়ক সমস্ত আপডেট পাবেন এবং আপনার জন্ম নিবন্ধনটির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে আপনারা ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন তা এখান থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে।

জন্ম নিবন্ধন সংগ্রহ করতে গেলে বাড়তি কোন টাকা লাগে কি?

জন্ম নিবন্ধন সংগ্রহ করার সময় অনেকে দাবি করেন বাড়তি টাকা লাগে। জন্ম নিবন্ধন ও মৃত্যু নিবন্ধনের ওয়েবসাইটে এই বিষয়ে কোনো তথ্য দেওয়া নেই তাই সরকারি নিয়ম অনুযায়ী জন্ম নিবন্ধন সংশোধন বা সংগ্রহ করতে গেলে কোন টাকা লাগে না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বর্তমান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url