সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায় - দক্ষিণ কোরিয়া কাজের ভিসা

দক্ষিণ কোরিয়া বর্তমান সময়ে শিল্প খাতে ব্যাপক উন্নতি সাধন করেছে। অনেক প্রবাসী শ্রমিকদের স্বপ্নের দেশ হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া যেখানে ভালো বেতনে কাজ করা যায়। তাছাড়া দক্ষিণ কোরিয়াতে কাজের সুযোগ সুবিধা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক ভালো। দক্ষিণ কোরিয়াতে অনেক অল্প সময় ডিউটি করে কর্মীরা ভালো টাকা বেতন পেয়ে থাকেন। 
দক্ষিণ কোরিয়া
দক্ষিণ কোরিয়া
দক্ষিণ কোরিয়াতে বেশ কয়েকটি পদ্ধতিতে যাওয়া যায়। আজকের পোস্টে দক্ষিণ কোরিয়া কিভাবে যাওয়া যায়? দক্ষিণ কোরিয়া যেতে কত টাকা লাগে ও দক্ষিণ কোরিয়া কাজের বেতন কত এই নিয়ে কিছু তথ্য রয়েছে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাকঃ

দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার নিয়ম?

বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়া খুবই সহজ। বাংলাদেশ থেকে কয়েকটি উপায়ে খুব সহজেই দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়া যায়। অনেকেই দক্ষিণ কোরিয়া স্টুডেন্ট ভিসা, দক্ষিণ কোরিয়া টুরিস্ট ভিসা ও দক্ষিণ কোরিয়া কাজের ভিসা সহ সরকারিভাবে লটারির মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া যায়। তবে এই পদ্ধতিগুলোতে যাওয়ার জন্য অবশ্যই কিছু শর্তাদি পালন করতে হবে।

দক্ষিণ কোরিয়া স্টুডেন্ট ভিসা?

যারা দক্ষিণ কোরিয়াতে পড়াশোনার জন্য যেয়ে থাকেন তাদেরকে দক্ষিণ কোরিয়া স্টুডেন্ট ভিসা নিতে হয়। কেননা এশিয়ার সেরা ইউনিভার্সিটি গুলো দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থিত। দক্ষিণ কোরিয়ার ইউনিভার্সিটি গুলো প্রতিবছর স্টুডেন্টদের বিভিন্ন স্কলারশিপের আওতায় সে দেশে পড়াশোনা করার জন্য স্টুডেন্ট ভিসা দিয়ে থাকে।
 
প্রতিবছর বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশ থেকে ছাত্রছাত্রীরা দক্ষিণ কোরিয়ায় স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যায়। দক্ষিণ কোরিয়াতে স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়ার জন্য কিছু শর্তাদি পূরণ করতে হবে।

দক্ষিণ কোরিয়া স্টুডেন্ট ভিসার শর্ত সমূহ?

দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার জন্য স্টুডেন্ট ভিসা পেতে হলে সর্বপ্রথম তিনটি শর্ত পূরণ করতে হবে। এই তিনটি শর্ত পূরণ ব্যতীত কোন ব্যক্তি স্টুডেন্ট ভিসায় দক্ষিণ কোরিয়া যেতে পারবেন নাঃ
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা
  • ভাষাগত যোগ্যতা
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট
এই তিনটি শর্ত পূরণ করা খুবই অপরিহার্য দক্ষিণ কোরিয়া স্টুডেন্ট ভিসা হাতে পাওয়ার জন্য।

শিক্ষাগত যোগ্যতা

দক্ষিণ কোরিয়ায় স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে হলে সর্বনিম্ন এসএসসি অথবা এইচএসসি পাস হতে হবে। এসএসসি ও এইচএসসি পাশ হওয়ার পাশাপাশি কমপক্ষে উভয়পরীক্ষায় ২.৮০ পয়েন্ট পেতে হবে। তাহলে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতার ধাপটি পূরণ হবে।

ভাষাগত যোগ্যতা

দক্ষিণ কোরিয়া স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার দ্বিতীয় ধাপটি হলো ভাষাগত যোগ্যতা। ভাষাগত যোগ্যতা অর্জন করার জন্য দুটি মেথড দেওয়া হবে। একটি হচ্ছে ইংলিশ মিডিয়াম পড়াশোনা এবং অপরটি দক্ষিণ কোরিয়ার ভাষায় পড়াশোনা। এই দুইটি মাধ্যমের জন্য আলাদা আলাদা স্কোর থাকতে হবে ভাষাগত দক্ষতার উপর। 

দক্ষিণ কোরিয়ায় ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াশোনা করার জন্য স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে মিনিমাম আইইএলটিএস স্কোর থাকতে হবে ৫.৫ পয়েন্ট। এর নিচে পয়েন্ট হয়ে থাকলে দক্ষিণ কোরিয়া স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে না। দক্ষিণ কোরিয়ার টপিক কোর্সে পড়াশুনা করতে চান তাদের মিনিমাম টপিক লেভেল ৩ পাস করে যেতে হবে। 

তবে ইউনিভার্সিটিটি ভেদে কখনো কখনো টপিক লেভেল ৪ নেওয়া হয়। অর্থাৎ যারা কোরিয়ান ভাষায় পড়াশোনা করবেন বলে ভেবেছেন? তারা বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার ভাষা টপিক লেভেল ৪ কমপ্লিট করে দক্ষিণ কোরিয়া স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

ব্যাংক স্টেটমেন্ট

দক্ষিণ কোরিয়া স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য অবশ্যই ব্যাংক স্টেটমেন্টের তথ্য লাগবে। দক্ষিণ কোরিয়া স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য কমপক্ষে ১৮ হাজার ডলার ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে। যা বাংলাদেশী টাকায় হিসেব করলে ১৬ থেকে ১৮ লাখ টাকার মধ্যে। 

তবে এখানে কোন ধরনের এফডিআর বা ডিপিএস দেখালে হবে না। তাই ব্যাংকের চলতি হিসাবে কমপক্ষে ১৮ লাখ টাকা দেখাতে হবে। ব্যাংক স্টেটমেন্ট বাবা মায়ের বা অন্য কোন অভিভাবকের দিলেও হবে।

দক্ষিণ কোরিয়া স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার নিয়ম ধাপে ধাপে?

যারা দক্ষিণ কোরিয়া স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যেতে চান তাদের সুবিধার জন্য নিচে পয়েন্ট আকারে দক্ষিণ কোরিয়া স্টুডেন্ট ভিসা কিভাবে পাবেন এই বিষয়ে কিছুটা ধারণা দেওয়া হলঃ
  • দক্ষিণ কোরিয়া স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য প্রথমে পাসপোর্ট অথবা ভাষাগত দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
  • তারপরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঠিক করতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ফরেন মিনিস্ট্রির ছাড়পত্র জোগাড় করতে হবে।
  • তারপরে দক্ষিণ কোরিয়ার ইউনিভার্সিটি গুলোতে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স মেডিকেল সার্টিফিকেট যোগাড় করতে হবে।
  • তারপরে টিউশন ফি জমা দিতে হবে।
  • স্টুডেন্ট ভিসার জন্য দক্ষিণ কোরিয়া এম্বাসিতে যেতে হবে।
  • ভিসা হাতে পেয়ে গেলে বিমানের টিকিট ক্রয় করতে হবে এবং দক্ষিণ কোরিয়া চলে যেতে হবে।

দক্ষিণ কোরিয়া স্টুডেন্ট ভিসা খরচ?

দক্ষিণ কোরিয়া স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে হলে পাসপোর্ট, আইইএলটিএস, এবং টপিক দক্ষতা অর্জন করতে হবে যার ফি সাধারণত আপনাকেই বহন করতে হবে। তারপরে ফরেন মিনিস্ট্রি, নটারি ও এম্বাসি থেকে কাগজপত্র এটাস্ট করানো এগুলো সহ মোট যাতায়াত ভাড়া চার থেকে পাঁচ হাজার টাকার মতো খরচ চলে আসতে পারে। 

তারপরে university তে আবেদন করতে হবে। ইউনিভার্সিটিতে আবেদন করার জন্য সর্বনিম্ন ৬০০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ আসতে পারে। তারপরে এম্বাসি ফি ছয় হাজার টাকা দিতে হবে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়া স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যাওয়ার জন্য আপনাদের ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকার মতো খরচ আসতে পারে।

দক্ষিণ কোরিয়া টুরিস্ট ভিসা?

দক্ষিণ কোরিয়াতে যারা পড়াশোনার উদ্দেশ্যে যেতে চান তাদেরকে দক্ষিণ কোরিয়া টুরিস্ট ভিসা নিতে হবে। দক্ষিণ কোরিয়া টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে সেখানে ৩০ দিন থেকে সর্বোচ্চ ৯০ দিন পর্যন্ত ভ্রমন করা যাবে। তবে যারা দক্ষিণ কোরিয়াতে টুরিস্ট ভিসায় গিয়ে ৩০ দিনের বেশি থাকেন তাদের অবশ্যই বাড়তি ফি দিয়ে সেখানে অবস্থান করতে হবে।

দক্ষিণ কোরিয়া কাজের ভিসা | দক্ষিণ কোরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

দক্ষিণ কোরিয়াতে যারা বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে যে থাকেন তাদেরকে দক্ষিণ কোরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বা কাজের ভিসার মাধ্যমে যেতে হয়। দক্ষিণ কোরিয়াতে যদি কোন কাজের জন্য লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে তাহলে আগ্রহী কর্মীগণ দক্ষিণ কোরিয়ার এম্বাসের মাধ্যমে খুব সহজে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন। 

এই ধরনের ভিসা গুলো ব্যবহার করে দক্ষিণ কোরিয়াতে দুই থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত কাজ করার সুবিধা পাওয়া যায়। তবে বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়াতে অনেকেই সরকারিভাবে যাচ্ছেন যাদের খরচের পরিমাণ অনেকটা কম হচ্ছে।

সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায়?

কম খরচে দক্ষিণ আফ্রিকা যেতে চাইলে সরকারিভাবে যাওয়া সম্ভব। সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার ফলে উচ্চ বেতন ভাতা সুবিধার পাশাপাশি, কাজের পরিবেশগত নিরাপত্তা ও সকল ধরনের প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। নিচে সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া লটারির মাধ্যমে যাওয়ার নিয়ম উল্লেখ করা হলোঃ

সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার পদ্ধতি | দক্ষিণ কোরিয়ার লটারি ২০২৪

সরকারিভাবে প্রত্যক এপ্রিল ও মে মাসের দিকে বায়োসেলের অধীনে দক্ষিণ কোরিয়া লটারি ছাড়া হয়ে থাকে। একজন ব্যক্তিকে সরকারিভাবে যদি লটারির মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে হয় তাহলে অবশ্যই নিচের পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করতে হবেঃ
  • দক্ষিণ কোরিয়ার লটারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার পর বায়োসেলের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে লটারি নিবন্ধন করতে হয়।
  • লটারিতে নাম আসলে ২০০ নম্বরের ভাষাগত দক্ষতার পরীক্ষায় বসতে হয়।
  • ভাষাগত পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলে প্রার্থীকে স্ক্রিল টেস্ট পরীক্ষায় বসতে হয়।
  • তারপরে সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে বোয়োসেলে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ও মেডিকেল ফিট সনদপত্র জমা দিতে হবে।
  • রোস্টারে নাম আসলে আপনাকে ভিসা ফরমসহ সকল ডকুমেন্ট ও বোয়োসেলের ফি জমা দিতে হবে।
  • পরবর্তীতে এইচআরডি কোরিয়া কর্তৃক আপনার সিভি কালেক্ট করা হলে বোয়োসেলের আওতায় দুই সপ্তাহের ট্রেনিং করতে হবে।
  • তারপরে যদি সকল কিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে নির্দিষ্ট সময় পর সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়ায় পাঠানো হবে।

সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়াতে কি কাজের উপর লোক নেওয়া হয়?

সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়াতে লটারির মাধ্যমে কি কাজের উপর লোক নেওয়া হয় এ বিষয়ে অনেকে জানতে চাই। দক্ষিণ কোরিয়াতে বিভিন্ন ছোট ও মাঝারি শিল্পের উপর কারখানায় কাজ করার জন্য প্রতিবছর বায়োসেলের মাধ্যমে লোক নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে।

এই সকল কর্মীগণ সেখানে নানান ধরনের সুযোগ সুবিধা পাশাপাশি ভালো বেতন পেয়ে থাকেন এই সকল কাজ করার জন্য।

সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার খরচ কত | দক্ষিণ কোরিয়া যেতে কত টাকা লাগে 

সরকারিভাবে যদি কেউ দক্ষিণ কোরিয়াতে কাজের উদ্দেশ্যে যায় তাহলে তার খরচের পরিমাণ অনেক কম হবে। সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া লটারির আবেদনের ফি ৫০০ টাকা নেওয়া হয়ে থাকে। তবে আরো আনুষঙ্গিক কিছু খরচ রয়েছে সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার জন্য। 

যেমন কিছু টেস্ট করানো হয়ে থাকে ও আরও অনেক যাতায়াত খরচসহ কিছু টাকা যেতে পারে। তবে যদি বেসরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে চান কোন এজেন্সির মাধ্যমে তাহলে সাত থেকে আট লক্ষ টাকা খরচ হয়ে থাকে।

দক্ষিণ কোরিয়া কাজের বেতন কত?

দক্ষিণ কোরিয়াতে যারা বায়োসেলের মাধ্যমে সরকারিভাবে যেয়ে থাকেন তাদের বেতন মাসে এক লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। তাছাড়া দক্ষিণ কোরিয়াতে কর্মীদের দক্ষতা বাড়ার পাশাপাশি বেতনের পরিমাণ বেড়ে থাকে। দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মীদের ন্যূনতম মাসিক বেতন ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। 

দক্ষিণ কোরিয়াতে বাংলাদেশী কর্মীরা কনস্ট্রাকশন হোটেল ও রেস্টুরেন্ট ও বিভিন্ন ধরনের কারখানায় কাজ করে থাকেন। তাছাড়া যারা দক্ষিণ কোরিয়াতে আইটি খাতে কাজ করে থাকেন তারা মাসে ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকার উপরে বেতন পেয়ে থাকেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার মুদ্রার নাম কি | দক্ষিণ কোরিয়ার এক টাকা বাংলাদেশের কত টাকা

দক্ষিণ কোরিয়ার মুদ্রা কে উয়ন বলা হয়ে থাকে। বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ার এক উয়ন সমান বাংলাদেশি ০.০৮৩ টাকা। দক্ষিণ কোরিয়ার ১০০০ উয়ন সমান বাংলাদেশী ৮৩.৩৬ টাকা। অনেকেই দক্ষিণ কোরিয়ার টাকার মান এত কম অবাক হয়ে যেতে পারেন। বাংলাদেশে যেমন পয়সার হিসেব করা হয় দক্ষিণ কোরিয়াতে উয়ন হিসাব করা হয়ে থাকে। তাই কখনোই উয়নের সাথে টাকার মানের তুলনা করা উচিত নয়।

শেষ কথা, দক্ষিণ কোরিয়া অর্থনৈতিক দিক থেকে খুবই শক্তিশালী একটি দেশ। যেহেতু বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়া খুবই সহজ তাই আপনারা বায়ো সেলের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিয়ে অল্প খরচে দক্ষিণ কোরিয়া গিয়ে ভালো বেতনে কাজ করতে পারেন। 

পরবর্তীতে যদি মেয়াদ শেষ হয়ে থাকে তাহলে আবারও দক্ষিণ কোরিয়াতে এজেন্সির মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে পারেন। পোস্টটি পড়ে যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই শেয়ার করে অন্যদের দেখার সুযোগ করে দিন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বর্তমান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url