তাইওয়ান কাজের ভিসা - তাইওয়ান যেতে কত টাকা লাগে

তাইওয়ানে অনেক দেশ থেকে লোক কাজ করতে যায়। তবে তাইওয়ানে কাজ করতে যেতে হলে অবশ্যই তাইওয়ান ভিসা দরকার পড়বে। তাছাড়া তাইওয়ানে কাজের ভিসা পাওয়ার উপায়,তাইওয়ান যেতে কত টাকা লাগে ও তাইওয়ান কাজের বেতন কত এই নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন রয়েছে।
তাইওয়ান
তাইওয়ান
তাই তাদের জন্য আজকের পোস্টে তাইওয়ান ভিসা সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে ও এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাকঃ

তাইওয়ান কাজের ভিসা পাওয়ার উপায় | তাইওয়ান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

তাইওয়ান খুবই উন্নত একটি দেশ। প্রযুক্তি খাতে এই দেশটি সময়ের সাথে সাথে ব্যাপক উন্নতি সাধন করেছ। অনেক দেশের লোক তাইওয়ানে কাজের ভিসা নিয়ে গিয়ে ভালো টাকা আয় করে থাকেন। যার কারণে অনেক বাংলাদেশী রয়েছেন যারা তাইওয়ান কাজের ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে চান।

বাংলাদেশ থেকে তাইওয়ান ওয়ার্ক পারমিট বা কাজের ভিসা পাওয়া একেবারেই অসম্ভব। কেননা তাইওয়ান এখনও বাংলাদেশীদের জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা চালু করেনি। তবে বাংলাদেশিরা চাইলে তাইওয়ানের ভারতীয় দূতাবাস থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। 

কোন এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করে তাইওয়ান ভিসা পাওয়া যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে অনেক বেশি টাকা খরচ হয়ে যেতে পারে।

তাইওয়ান যেতে কি কি ডকুমেন্ট লাগে?

তাইওয়ান যেতে হলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় কিছু ডকুমেন্ট ভিসা আবেদন করার সময় জমা দিতে হবে। এই ডকুমেন্টগুলোর মধ্যে থেকে যদি কোন ডকুমেন্ট ভুল দিয়ে থাকেন তাহলে আপনার ভিসা আবেদনটি বাতিল হতে পারে। নিচে তাইওয়ান যাওয়ার জন্য কি কি ডকুমেন্ট লাগে তা উল্লেখ করা হলঃ
  • ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম পূরণ করতে হবে।
  • যে কোম্পানিতে কাজের জন্য যাবেন সেই কোম্পানির ইনভাইটেশন লেটার লাগবে।
  • ভোটার আইডি কার্ড ও জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি লাগবে।
  • যে কাজের উপরে তাই ওয়ান যেতে চাচ্ছেন সেই কাজের উপর দক্ষতা সার্টিফিকেট লাগবে।
  • বৈধ পাসপোর্ট লাগবে এবং সেখানে কমপক্ষে ছয় মাসের মেয়াদ থাকতে হবে।
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট লাগবে এবং যে ব্যাংক একাউন্টে টাকা লেনদেন নিয়মিত করে থাকেন সেরকম একটি অ্যাকাউন্ট লাগবে।
  • আপনার ছবি প্রয়োজন হবে এবং ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা হতে হবে।
  • করোনা কার্ডের প্রয়োজন হবে।
যারা তাইওয়ান যেতে চান তাদের অবশ্যই এই ডকুমেন্টগুলো সংগ্রহ করে রাখতে হবে। তাছাড়া আর যদি কোন ডকুমেন্ট লেগে থাকে তাহলে এজেন্সির মাধ্যমে আপনারা জেনে নিতে পারবেন এবং সেই ডকুমেন্টগুলোও তাদের কাছে জমা দিতে পারবেন।

তাইওয়ান কাজের ভিসা খরচ কত | তাইওয়ান যেতে কত টাকা লাগে 

যারা বাংলাদেশ থেকে তাইওয়ানে কাজের ভিসা যেতে চান তাদের মধ্যে অনেকের প্রশ্ন রয়েছে তাইওয়ান কাজের ভিসা পেতে কত খরচ হয়ে থাকে। যেহেতু বাংলাদেশ থেকে সরাসরি তাইওয়ান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যাওয়া যায় না তাই খরচের পরিমাণ অনেক বেশি হয়ে থাকে।

বাংলাদেশ থেকে তাইওয়ানে যেতে হলে অন্য কোন পদ্ধতিতে যেতে হবে কোন এজেন্সির মাধ্যমে। এই সকল এজেন্সি গুলো বাংলাদেশীদের তাইওয়ানে কাজের ভিসা সরাসরি না দিলেও অন্য কোন ভিসার মাধ্যমে যদি পাঠিয়ে থাকে তাহলে চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। 

আর যদি কোন দালালের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে তাইওয়ানে কাজের জন্য জান তাহলে খরচ আসতে পারে ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা। তবে এক্ষেত্রে অনেক ঝুঁকি থাকে তাই দালালের মাধ্যমে না গিয়ে এজেন্সির মাধ্যমে যাওয়াটাই সবথেকে ভালো হবে।

তাইওয়ানে কোন কাজের চাহিদা বেশি?

তাইওয়ানে যাওয়ার আগে তাইওয়ানে কোন কাজে চাহিদা বেশি বা বর্তমানে বাঙালিরা তাইওয়ানে গিয়ে কোন ধরনের কাজগুলো করে থাকে এই বিষয়ে অবশ্যই জেনে নিতে হবে।বাংলাদেশিরা তাইওয়ানে গিয়ে কনস্ট্রাকশনের বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকেন। 

তাছাড়া অনেক বাংলাদেশী রয়েছে যারা তাইওয়ানে পরিছন্নতা কর্মী হিসেবে কাজ করেন। বেশিরভাগ কর্মী তাইওয়ানে হোটেল ও রেস্টুরেন্টে কাজ করে থাকেন। খুবই কম সংখ্যক বাঙালি তাইওয়ানের আইটি খাতে অর্থাৎ ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন সহ আরো অন্যান্য ধরনের কাজগুলো করে থাকেন।

তাইওয়ানে কাজের বেতন কত?

যারা বাংলাদেশ থেকে তাই অনেক যেতে চান তাদের অবশ্যই তাই অনেক কাজের বেতন সম্পর্কে জেনে রাখাটা খুবই জরুরী। যেহেতু তাইওয়ান অর্থনৈতিক দিক থেকে খুবই উন্নত একটি দেশ এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে যত সময় যাচ্ছে তত তাই অনেক এগিয়ে যাচ্ছে তাই সেখানে বেতনের পরিমাণ বেশি থাকবে এটাই স্বাভাবিক।

তাছাড়া তাই অনেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে প্রচুর পরিমাণ লোক কাজ করে থাকে যাদের বেতনের পরিমাণ শুনলে চোখ কপালে উঠে যাবে। তাই যারা আইটি খাতে কাজ করে থাকেন তারা মাসে ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা বেতন পেয়ে থাকেন।

আর যারা তাই ওখানে কনস্ট্রাকশনের কাজ করে থাকেন তারা মাসে দুই থেকে তিন লক্ষ টাকার মত বেতন পান।তাছাড়া তাইওয়ানে অন্যান্য যারা পরিছন্নতা কর্মী হোটেল ও রেস্টুরেন্টের বিভিন্ন কাজ করে থাকে তারা মাসে এক লাখ টাকার উপরে বেতন পান।

তাইওয়ান থেকে কোন কোন দেশের কাজের ভিসা দেওয়া হয়?

তাইওয়ান থেকে সরাসরি বাংলাদেশের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দেওয়া না হলেও কিছু দেশের জন্য তারা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দিয়ে থাকে। নিচে এই দেশগুলোর তালিকা দেওয়া হলোঃ
  • ভারত
  • ইন্দোনেশিয়া
  • থাইল্যান্ড
  • মালয়েশিয়া
  • ফিলিপাইন
যারা এই সকল দেশের বসবাস করে থাকেন তারা সরাসরি প্রায় ওয়ান যাওয়ার জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। বাংলাদেশের সাথে তাইওয়ানের এখনো কোন চুক্তি হয়নি যার মাধ্যমে বাংলাদেশীরা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে তাইওয়ান যেতে পারবেন।

শেষ কথা, আশা করি ইতিমধ্যে তাইওয়ান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বা তাইওয়ান কাজের ভিসা পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জেনে গিয়েছেন। তাছাড়া আরও জানতে পেরেছেন তাইওয়ান যেতে কত টাকা লাগে ও তাইওয়ান কাজের বেতন কত এই সম্পর্কে। 

তারপরও যদি কোন ধরনের প্রশ্ন থাকে বা পোস্টটি করে কোন বিষয় সম্পর্কে বুঝবে কোন ধরণের অসুবিধা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বর্তমান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url