ফেসবুক গ্রুপ থেকে টাকা ইনকাম

বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া হচ্ছে ফেসবুক। ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর সাধারণত ফেসবুক কাদের ইউজারদের জন্য  নতুন সব ফিচার আপডেট করার পাশাপাশি ফেসবুক থেকে আয় করার অনেক ব্যবস্থাও করে দিয়েছে।
ফেসবুক গ্রুপ
ফেসবুক গ্রুপ
আপনারা এর আগে জেনেছেন ফেসবুক থেকে টাকা আয় করা যায় আজকের জানবেন ফেসবুক গ্রুপ থেকে টাকা আয় করা যায় এই সম্পর্কে। ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করতে হলে গ্রুপ এডমিন দের অনেক পরিশ্রম এবং কষ্ট করা লাগে। 

তাই ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ২০১৮ সালের পর থেকে মনিটাইজেশন সার্ভিস চালু করেছে ফেসবুক গ্রুপে। তাছাড়া ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে আপনারা কিভাবে ইনকাম করবেন এবং ফেসবুক গ্রুপ কিভাবে খুলবেন এই সম্পর্কে আমি আপনাদের সাথে আজ বিস্তারিত বলবো। তাহলে চলুন শুরু করা যাকঃ

ফেসবুক গ্রুপ কি?

ফেসবুকে গ্রুপ হচ্ছে সাধারণত কোন এক সম্প্রদায়, গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠানের জন্য তৈরি করা একটি কমিউনিটি।। ফেসবুক গ্রুপের  মাধ্যমে আপনি যেকোন কাজ করতে পারবেন।যেকোনো কাজের জন্য যে কেউ ইচ্ছে করলে ফেসবুক গ্রুপ খুলতে পারবেন।

ফেসবুক গ্রুপের কয়েকটি টাইপ?

সাধারণত বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে ফেসবুক গ্রুপ কে সাত ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এই ক্ষেত্রে প্রতিটি গ্রুপ টাইপের সাথে কিছু কিছু আলাদা ফিচারস পাওয়া যায়। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ফেসবুক গ্রুপের কয়েকটি ক্যাটাগরি সম্পর্কেঃ

জেনারেল

সাধারণত এটি হল ফেসবুকের একটি ডিফল্ট ধরনের গ্রুপ টাইপ। এই ধরনের গ্রুপে মূলত সব ধরনের ফিচারস দেওয়া থাকে।

বাই এন্ড সেল

কারো যদি টার্গেট থাকে যে গ্রুপে শুধু বাই এন্ড সেল করব তাহলে এই গ্রুপটা একটি তাদের জন্য দারুণ কার্যকারী হতে পারে।

আপনারা যদি এই গ্রুপটি সেট করেন তাহলে এখানে নতুন একটি ফিচার সমৃদ্ধ কারেন্সি পাবেন। তাছাড়া গ্রুপে করা আপনার সেল পোস্টটি ফেসবুক মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে দেখানো হয়ে থাকে।

গেমিং

আপনার গ্রুপটির যদি আপনি গেমিং বিষয় নিয়ে করতে চান তাহলে আপনি এই টাইপ টি নির্বাচন করতে পারেন। যারা সাধারণত গেম কে কেন্দ্র করে গ্রুপ করে থাকে তারা এই ক্যাটাগরিটি সিলেক্ট করে থাকে।

সোশ্যাল লার্নিং

সাধারণত কোন শিক্ষা বা নলেজ সংক্রান্ত জ্ঞানের জন্য এই গ্রুপ টাইপটা নির্বাচন করা হয়ে থাকে। এই গ্রুপ টাইপের ক্ষেত্রে কুইজ,লেসন,ইত্যাদি পোস্ট এর পাশাপাশি মেম্বারদের প্রগেস ও রেকর্ড করা যায়।

জবস

সাধারণত ওপেন জব পোস্টিং এর জন্য এই ধরনের গ্রুপ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।জব সালারি, লোকেশন ঘন্টা,ইত্যাদি সম্বলিত পোস্ট টেমপ্লেট এই ধরনের  গ্রুপে দেয়া হয়ে থাকে।

ওয়ার্ক

সাধারণত একই জায়গায় কাজ করে মানুষদের এক জায়গায় করে প্রোডাক্টিভিটি বাড়ানোর জন্য এই ধরনের গ্রুপ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

প্যারেন্টিং

আপনি যদি প্যারেন্টিং টাইপের গ্রুপ তৈরি করেন তাহলে এখানে আপনি তিনটি ইউনিক ফিচার পাবেন।তাছাড়া এখানে মেম্বারদের প্রগেশের ওপর ভিত্তি করে ব্যাজ দেওয়ার সুবিধাও রয়েছে।

ফেসবুক গ্রুপ খোলার নিয়ম?

ফেসবুক গ্রুপ খুলতে হলে অবশ্যই আপনার ফেসবুকের একটি একাউন্ট থাকতে হবে। আপনার যদি ইতিমধ্যে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে থাকে তাহলে আপনার জন্য কাজটি খুবই সহজ হয়ে যাবে আর যদি আপনার ফেসবুকে কোন একাউন্ট না থাকে। 

তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। একাউন্টে লগইন করার পর আপনি নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করে ফেসবুকে একটি গ্রুপ খুলতে পারবেনঃ
  • প্রথমে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লগইন করুন
  • তারপর আপনাকে বামপাশের মেনু থেকে গ্রুপ এ ক্লিক করতে হবে
  • তারপর সেখানে আপনি ক্রিয়েট New বাটন নামক একটি অপশন দেখতে পারবেন। আপনাকে সেখান থেকে ক্রিয়েট New Group নামক অপশনে ক্লিক করতে হবে।
  • তারপর আপনি এখানে প্রাইভেসি নামক একটি অপশন দেখতে পারবেন। আপনাকে প্রাইভেসি অপশনে ক্লিক করতে হবে । আপনি এখানে দুইটা অপশন দেখতে পারবেন একটি হচ্ছে পাবলিক গ্রুপ অপসন অন্যটি হচ্ছে প্রাইভেট গ্রুপ।
  • আপনি যদি গ্রুপটি পাবলিক করতে চান তাহলে পাবলিকে ক্লিক করবেন। আর আপনি যদি আপনার গ্রুপটি প্রাইভেট করতে চান তাহলে প্রাইভেট এ ক্লিক করবেন।
  • তারপরে আপনি এইরকম অপশন দেখতে পারবেন। আপনার গ্রুপ খোলা যেহেতু শেষ এবার আপনাকে গ্রুপে আপনার বন্ধুদের ইনভাইট করতে হবে এবং গ্রুপটি আস্তে আস্তে বড় করতে হবে। ফেসবুক গ্রুপ তৈরী করা হয়ে গেলে আপনি খুব সহজেই আপনার গ্রুপে পোস্ট করতে পারবেন।
তাছাড়া আপনি চাইলে এই ক্ষেত্রে অ্যানাউন্সমেন্ট বাটনটি ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট গুলো আপনি আপনার গ্রুপে পিন করতে পারবেন। 

সাধারণত উপরের সব কাজগুলো করা সম্পন্ন হলে আপনার গ্রুপটি অ্যাক্টিভ হয়ে যাবে। আশা করি ফেসবুক গ্রুপ খোলার নিয়ম সম্পর্কে আপনারা বুঝতে পেরেছেন।

ফেসবুক গ্রুপের কয়েকটি সুবিধা?

সাধারণত ফেসবুক গ্রুপ হচ্ছে নিদৃষ্ট এক কমিউনিটিকে এক জায়গায় নিয়ে আসা।ধরুন আপনার একটি ব্লগ সাইট রয়েছে এবং আপনি ব্লগিং করেন। আপনি এক্সএক্সএক্স গ্রুপ খোলার মাধ্যমে আপনার ব্লগার বন্ধুদের ইনভাইট করতে পারেন এবং আপনার গ্রুপে আনতে পারেন।

সাধারনত এর মাধ্যমে তারা একে অন্যের ব্লগিং দক্ষতা সম্পর্কে জানতে পারবে এবং কোন সমস্যার সম্মুখীন হলে তারা আপনার গ্রুপে পোস্ট করে সমাধান চাইতে পারবে। এইভাবে যে যে কাজ করে সেই বিষয়ে একটি ফেসবুক গ্রুপ খুলতে পারেন।

আপনি যদি এই ক্ষেত্রে একজন ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার কাস্টমারদের সেবা বা ব্যবসার ফেসবুক গ্রুপে ইনভাইট করে এক জায়গায় একত্র করার মাধ্যমে খুব সহজেই কাস্টমার সাপোর্ট দিতে পারবেন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা সাধারণত অনলাইন থেকে পণ্য কিনে থাকেন। 

তাদের মধ্যে ৯২ শতাংশ মানুষই কাস্টমার সাপোর্ট কে অনেক প্রাধান্য দিয়ে থাকে। আপনি চাইলে ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার কাস্টমারদের সমস্যা জানতে পারবেন এবং সেই সমস্যাগুলো সমাধান করে দিতে পারবেন।

আপনার ব্রান্ডটি যদি এই ক্ষেত্রে অনেক ভালো হয় তাহলে আপনার ব্রান্ডের  কাস্টমার গুলোকে আপনি যদি এক গ্রুপে ইনভাইট করতে পারেন তাহলে তারা আপনার ব্রান্ড টার দিকে উদ্দীপ্ত হবে। 

সাধারণত অনেক সময় দেখা যায় গ্রুপের কাস্টমারগনই নতুন কাস্টমারদের সমস্যার সমাধান করে দেয়। তাছাড়া আপনি ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার প্রোডাক্ট খুব সহজে প্রমোট করতে পারবেন। যা সাধারণত আপনার ব্যবসার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ফেসবুক গ্রুপ থেকে আয় করার জন্য একটি কার্যকরী।

কিভাবে ফেসবুক গ্রুপ থেকে টাকা আয় করা যায়?

ফেসবুক গ্রুপ থেকে আয় করা যায় এই কথাটা শুনে কি আপনি অবাক হচ্ছেন।হ্যাঁ বর্তমানে ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে আয় করা যাচ্ছে। তাই ফেসবুক গ্রুপ খুলে আয় করার চিন্তা এখন অনেকের মাথায়ই রয়েছে।

আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের সাথে এই সম্পর্কে আলোচনা করব যে আপনারা কিভাবে ফেসবুক গ্রুপ থেকে টাকা ইনকাম করবেন। তাহলে চলুন দেরী না করে শুরু করা যাকঃ

১. ফেসবুক গ্রুপ মনিটাইজেশন করে আয়

ফেসবুক গ্রুপে মনিটাইজেশন থেকে আয় করা যাচ্ছে ২০১৮ সাল থেকে।যেহেতু ফেসবুক গ্রুপের এডমিন একটি গ্রুপ বড় করতে অনেক কষ্ট এবং পরিশ্রম করে থাকে তাই ফেসবুক কর্তৃপক্ষ গ্রুপ মনিটাইজেশন করার সিস্টেমটি চালু করেছে। তবে একটা বিষয় ফেসবুক কিন্তু ফ্রিতে আপনাকে এই টাকা দিবে না।

আপনার ফেসবুক গ্রুপ থেকে টাকা পেতে হলে আপনাকে সাবস্ক্রিপশন করতে হবে। অর্থাৎ আপনার যখন একটি বড় গ্রুপ থাকবে তখন আপনি চাইলে সেই গ্রুপে সাবস্ক্রিপশন ফিচার চালু করার মাধ্যমে, আপনি প্রতি মেম্বার থেকে মাসিক 0.99 ডলার থেকে 9.99 ডলার পর্যন্ত চার্জ করতে পারবেন এক্ষেত্রে।

তাছাড়া আপনি মনে করলে এই ক্ষেত্রে ডিসকাউন্ট সুবিধা রাখতে পারবেন। যেহেতু পেমেন্টের বিষয়টি ফেসবুকের মাধ্যমে হবে তাই আপনার এই ক্ষেত্রে টাকা হারানোর কোন সম্ভাবনাই নেই। আপনাকে একটি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে আপনার গ্রুপের সাবস্ক্রিপশন যে সে এমনিতেই নিবেনা।

আপনাকে এক্ষেত্রে প্রিমিয়াম এবং প্রয়োজনীয় কনটেন্ট,লাইভ স্ট্রিমি,  ভিডিও ইভেন্ট, ওয়েব ইউনার মতো গুরুত্বপূর্ণ সেবা দিতে হবে আপনাকে গ্রুপ থেকে। যাতে করে সাধারণত মানুষ আপনার গ্রুপের সাবস্ক্রিপশন নিতে আগ্রহী হয়।

২. পণ্য বিক্রি করে ফেসবুক গ্রুপ থেকে আয়

ই-কমার্স কথাটা কি আগে কেউ শুনেছেন। আমার মনে হয় ই-কমার্স কথাটার সাথে আমরা কমবেশি সবাই পরিচিত। ফেসবুক গ্রুপের এডমিন চাইলে বাই এন্ড সেল গ্রুপ তৈরি করতে পারে। ফেসবুক গ্রুপ এডমিন রুলস অনুযায়ী সে এটা করতে পারবে। আরে সব ধরনের গ্রুপে পণ্য বিক্রি করার জন্য ফেসবুক বিভিন্ন ধরনের ফিচারস এবং টুল দিয়ে থাকে।

আপনি যদি এই ধরনের গ্রুপ খুলেন তাহলে ভালোভাবে যদি টার্গেট নিয়ে কাজ করতে পারেন তাহলে অনেক পণ্য বিক্রি করতে পারবেন।Facebook groups make money online করার এটিও একটি কার্যকরী উপায়।

৩. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ফেসবুক গ্রুপ থেকে ইনকাম

সাধারণত ফেসবুক গ্রুপ থেকে আয়ের যত টিপস রয়েছে তার মধ্যে এটি অন্যতম।ফেসবুক গ্রুপ হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য সবথেকে ভালো একটি প্ল্যাটফর্ম। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং তাহলে আপনি আপনার ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে কোন কমার্স সাইটের পণ্য বিক্রি করে দিবেন।

আপনি তাদের পণ্য বিক্রি করে দিতে পারলে তারা আপনাকে নির্দিষ্ট একটা কমিশন দিবে। আপনি যে পণ্য বিক্রি করেছেন এটা প্রমাণ করার জন্য আপনাকে তাদের সাইটে একাউন্ট করার পর তারা নির্দিষ্ট পণ্যের একটি লিঙ্ক তৈরি করে দিবে।আর্ক ওয়েল্ডিং থেকে যদি কেউ পণ্য কিনে তাহলে আপনি কমিশন পেয়ে যাবেন।

৪. স্পনসরর্শিপ বা অ্যাডভার্টাইজমেন্ট

সাধারণত স্পন্সরশিপ অ্যাডভার্টাইজমেন্ট হচ্ছে ফেসবুক গ্রুপ থেকে আয় করার আরেকটি অন্যতম এবং কার্যকরী একটি উপায়। আপনার গ্রুপটি যখন অনেক বড় হয়ে যাবে তখন অনেক ওয়েবসাইট মালিক বা ইউটিউব চ্যানেলের মালিক তাদের প্রচারের জন্য আপনার গ্রুপে অ্যাডভার্টাইজমেন্ট দিতে পারেন। 

এই ক্ষেত্রে আপনি তাদের পণ্য বা সেবা প্রচারের জন্যে তাদের কাছে নিদৃষ্ট পরিমাণের টাকা  চার্জ করতে পারেন। তাছাড়া তাদের কোম্পানির বিজ্ঞাপন ও হতে পারে আপনার আয়ের অন্যতম একটি উৎস।

৫. ব্যবসার প্রসার বাস সার্ভিস বিক্রি করে ফেসবুক গ্রুপ থেকে আয় 

আপনার যদি নিজের কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে থাকে তাহলে আপনার প্রতিষ্ঠানের পণ্য আপনি ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে প্রচার করতে পারবেন এবং বিক্রি করতে পারবেন। সাধারণত অনেকে আছেন গ্রুপের নামের শেষে funs বা club এই দুটি যোগ করে থাকে। 

এই ধরনের লোক মূলত কাস্টমারদের সাথে পণ্যের একটা আলাদা সম্পর্ক তৈরি করে ফেলেন। তাছাড়া আপনি চাইলে আপনার ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে সার্ভিস কোর্স বিক্রি করে সেখান থেকে ভালো পরিমাণে আয় করতে পারেন।

৬. ফেসবুক গ্রুপ বিক্রি করে আয়

আপনি চাইলে ফেসবুক গ্রুপ বিক্রি করার মাধ্যমে আয় করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে আপনার গ্রুপটি একটিভ হতে হবে এবং আপনার গ্রুপে অনেক সদস্য থাকতে হবে। আপনি ফেসবুকে অসংখ্য মানুষ পেয়ে যাবেন যারা সাধারণত ভালো ফেসবুক গ্রুপ কিনতে আগ্রহী। 

তাই আপনি চাইলে ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করে এবং সেই গ্রুপের মেম্বার বৃদ্ধি করে সেটা বিক্রি করে আয় করতে পারেন ফেসবুক থেকে।

৭. ডোনেশন সংগ্রহ  করে ফেসবুক থেকে ইনকাম

আপনি যখন ফ্রিতে গ্রুপের মেম্বারদের সেবা দিতে থাকবেন তখন গ্রুপের মানুষদের সাথে আপনার একটি ভাল সম্পর্ক তৈরী হয়ে যাবে। তখন আপনি চাইলে আপনার পরিশ্রম এবং সেবার মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে ডোনেশন চাইতে পারেন। 

যদি আপনার গ্রুপটির দেশীয়দের জন্য তৈরি করা হয় তাহলে আপনি নগদ, বিকাশ এবং রকেটের মাধ্যমে  ডোনেশন চাইতে পারেন। আর যদি আপনার গ্রুপটি বিদেশি হয় তাহলে আপনি পেপাল, পেওনার এসব ব্যাবহার করে ডোনেশন চাইতে পারেন। 

আমাদের শেষ কথা

ফেসবুক গ্রুপ থেকে আয়ের আরো কিছু উপায় রয়েছে তবে আমার কাছে এই কয়েকটি উপায় সবথেকে জনপ্রিয় মনে হয় ফেসবুক গ্রুপ থেকে আয় করার ক্ষেত্রে। 

আপনি ফেসবুকের মাধ্যমে যে পদ্ধতিতেই আয় করুন না কেন অবশ্যই আপনার এই ক্ষেত্রে অনেক পরিশ্রম করতে হবে। তাহলে আপনি ফেসবুক গ্রুপ থেকে আয় করতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বর্তমান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url